বড় পরিকল্পনা না থাকলে একদিনে এত ঘটনা ঘটত না : তথ্য উপদেষ্টা
ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে : আসিফ মাহমুদ- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২১
পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিরতার চেষ্টা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বড় কোনো পরিকল্পনা না থাকলে একদিনে এতগুলো ঘটনা ঘটত না, এটা কাকতালীয় না। আমরা মনে করছি এখানে নানা পক্ষের ষড়যন্ত্র আছে। সরকার সফলভাবে প্রশাসনিক কার্যক্রম করুক, এটা অনেকেই চাচ্ছে না।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুইয়া, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ প্রেসসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার ঘটনাবহুল দিন কেটেছে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ঋণ দেয়ার নাম করে অহিংস গণঅভ্যুত্থানের ব্যানারে ভোররাত থেকে বাস-মাইক্রোবাসে করে সাধারণ মানুষকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। তারা মিথ্যা প্রচারণা করে মানুষকে নিয়ে আসে। তাদের আহ্বায়ককে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বিষয়টি যে মিথ্যা তা মানুষকে বুঝানো হয়েছে।
দৈনিক প্রথম আলো নিয়ে উত্তেজনার বিষয়ে তিনি বলেন, রাজশাহীতে তাদের অফিসে ভাঙচুর হয়েছে। চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে কোনো গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে জনগণের কোনো অংশের অভিযোগ ও ক্ষুব্ধতা থাকলে, তা প্রকাশ করতে পারে। তবে সেটি অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হতে হবে। কোনো পত্রিকা অফিস ভাঙচুর করা ও বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করা আমরা সমর্থন করি না। এ ধরনের ঘটনা পরবর্তীতে ঘটলে টলারেট করা হবে না। ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারে। আমরা জনগণকে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে অংশ না নিতে আহ্বান জানাব। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এ রকম কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকি।
গত কিছু দিন ধরে ঢাকার বিভিন্ন কলেজে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে উল্লেখ করে আরেক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতি বারবার আহ্বান জানাচ্ছি যাতে কোনো উসকানিতে পা না দিয়ে ধৈর্য ধারণ করে। তাদের দাবির বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সরকার অংশীভূত হতে পারে। এর মাধ্যমে সমাধান হতে পারে।
মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের ঘটনা ছয় দিন আগ থেকে সূত্রপাত্র হয় বলে জানিয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, এখন পর্যন্ত কারো নিহত হওয়ার কোনো সংবাদ আমরা পাইনি। নানা মাধ্যমে চেষ্টা করেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠিত কোনো গণমাধ্যমেও এ ধরনের খবর আমরা পাইনি।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, অনেকেই আহত হয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, এটি আমরা জানতে পেরেছি। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কারা কারা জড়িত, ভাঙচুরসহ হতাহতের বিষয়গুলোতে অবশ্যই আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনাকে আর কোনোভাবেই টলারেট করা হবে না। আইনশ্ঙ্খৃলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে কোনো ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে। কোনোভাবেই যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ না হয় এবং নিজেদের মধ্যে যাতে সংঘর্ষ না হয়। সেজন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করে যাচ্ছিল, কিন্তু কোনোভাবেই সংঘর্ষ এড়ানো যায়নি।
সিসিটিভি ফুটেজ, গণমাধ্যমের ফুটেজে যারা এসেছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় কারো ইন্ধন রয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, অনেক ধরনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করার আগ পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না।
অতীতের সরকারের আন্দোলন মোকাবিলার প্রক্রিয়া থেকে সরকার সরে এসেছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, অনেকেই দেখতে চান না আমাদের পুলিশ লাঠিচার্জ করুক। সে জায়গা থেকে আমাদের সরে আসা। আমরা পরিস্থিতি মনিটর করছিলাম। তাদের বাধাও দেয়া হয়েছিল। ঘটনা যেটা ঘটেছে সেটা অনাকাক্সিক্ষত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা