দ্বিতীয় দিনের শুরুতে হাসানের জোড়া উইকেট
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৩
জশুয়া ডা সিলভা ও আলজারি যোশেফকে আউট করে দ্বিতীয় দিনের শুরুটা রাঙিয়েছেন পেসার হাসান মাহমুদ। সেই সাথে দেশের হয়ে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ২৫ উইকেটের মালিক হন তিনি। লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত ক্যারিবিয়দের সংগ্রহ ১১০ ওভারে সাত উইকেটে ৩৩৬।
অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিনের শুরুতে তাসকিন আহমেদের ঝলকের পর মিকাইল লুইস (৯৭) এবং অ্যালিক আথানেজের (৯০) ব্যাটিংয়ে ম্যাচ ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলেও শেষদিকে এই দু’জনকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ-তাইজুল ইসলাম-তাসকিনরা। এরপরও ক্যারিবীয়রা দিন শেষ করেছিল ৮৪ ওভারে পাঁচ উইকেটে ২৫০ রান নিয়ে। জাস্টিন গ্রেভস ২৬ বলে ১১ এবং জশুয়া দা সিলভা ২১ বলে ১৪ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন। তবে দ্বিতীয় দিন সিলভাকে বেশিক্ষণ থিতু হতে দেননি হাসান মাহমুদ। দারুণ এক ইন সুইঙ্গারে এই উইকেটকিপার ব্যাটারকে এলবিডব্লিউ করেছেন হাসান। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি সিলভা। রিপ্লেতে দেখা যায় হাসানের বল লেগ স্টাম্প ছুঁয়ে গেছে। আম্পায়ার্স কলের কারণে ফিরে যেতে হয় তাকে।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে হাসান ফিরিয়েছেন আরেক ক্যারিবীয় ব্যাটার আলজারি যোশেফকে। হাসানের বলে লেগ সাইডে পুশ করতে চেয়েছিলেন, তবে বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় গালিতে। সেখানে ফিল্ডিং করা জাকির হাসান লাফিয়ে সেই ক্যাচ নিয়েছেন। ফলে মাত্র চার রানে ফিরতে হয় তাকে। ২৬১ রানে সপ্তম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর কেমার রোচকে নিয়ে ১৪২ বলে ৭৫ রানের জুটি গড়ে লাঞ্চ বিরতি যান গ্রেভস। এর মধ্যে হাফ সেঞ্চুরিও পূর্ণ করেন এই ব্যাটার। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১০৩ বলে ৬৩ নিয়ে গ্রেভস ও ৭৪ বলে ১৯ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে ছিলেন রোচ।
গত শুক্রবার প্রথম দিনে একপ্রান্ত আগলে রাখা লুইস সেঞ্চুরির সুবাস জাগিয়ে ৯৭ রানে আউট হন। তিনি ২১৮ বল ৯ চার ও এক ছক্কায় ওই রান করেন। ৯০ রানে একবার তাকে জীবন দেন মিরাজ। তাইজুলের ডেলিভারিতে সিøপে বলে হাত ছোঁয়ালেও মুঠোয় জমাতে পারেননি। সেই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মিরাজই পরে থামান খুঁটি গেঁড়ে বসা লুইকে। জীবন পেয়ে খোলসবন্দী হয়ে যান ডান হাতি ওপেনার। এরপর ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে ছক্কা মেরে তিন অঙ্কে পৌঁছানোর তাগিদে বিপদ ডেকে আনেন। এই দফায় সিøপে কোনো ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু।
২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি ভাঙার পর সাথী হারিয়ে আথানেজও টেকেননি। দলের খাতায় আর চার রান যোগ হতেই ধরেন সাজঘরের পথ। বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুলকে প্যাডল সুইপ করার চেষ্টায় বল উঠে যায় ওপরে। অনায়াসে ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। ১০ চার ও এক ছক্কায় বাঁ হাতি ব্যাটার আথানেজ ১৩০ বলে করেন ৯০ রান। টেস্টে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নড়বড়ে ৯০-এর শিকার হলেন তিনি।
দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন গ্রিভস ও ডা সিলভা। আলোকস্বল্পতায় খেলা শেষ হয় ৬ ওভার বাকি থাকতে। শেষবেলায় হালকা বৃষ্টিও ঝরছিল। দ্বিতীয় নতুন বল দিয়ে তাই উইকেট নেয়ার তেমন সুযোগ পায়নি সফরকারীরা।
উইন্ডিজের ইনিংসের শুরুতে পেস সহায়ক পিচে প্রথম সেশনে ২৩ ওভারে দুই উইকেটে ৫০ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ডান হাতি পেসার তাসকিন আহমেদ পরপর দুই ওভারে আউট করেন ক্যারিবিয়ান দলনেতা ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও কেসি কার্টিকে। দ্বিতীয় সেশনে ৩১ ওভারে এক উইকেট খুইয়ে স্বাগতিকরা করে ৬৬ রান। রানআউটে কাটা পড়েন কাভেম হজ। থামে লুইয়ের সাথে তার ১৩০ বলে ৫৯ রানের জুটি। রান তোলার মন্থর গতি পাল্টে যায় তৃতীয় সেশনে। বিশেষ করে, শুরুতে নড়বড়ে থাকা আথানেজ পাল্টা আক্রমণে মনোযোগী হন। শেষ সেশনে ৩০ ওভারে দুই উইকেট পড়লেও তার কল্যাণে স্কোরবোর্ডে জমা হয় আরও ১৩৪ রান। ৬৫তম ওভারে লুইয়ের বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের রিভিউ নেয়ার পর দেখা যায়, বল প্যাডে লেগেছিল। ওই ওভারেই ক্যাচ দিয়েও বাঁচেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : (দ্বিতীয় দিন চলমান)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস : (দ্বিতীয় দিন লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত) ১১০ ওভারে ৩৩৬/৭ (ব্র্যাথওয়েট ৪, লুই ৯৭, কার্টি ০, হজ ২৫, আথানেজ ৯০, গ্রিভস ৬৩ ব্যাটিং, ডা সিলভা ১৪, আলজারি ৪, কেমার রোচ ১৯ ব্যাটিং, হাসান ২/৭৫, শরিফুল ০/৩৫, তাসকিন ২/৬০, তাইজুল ১/৮৭, মিরাজ ১/৫৯)।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা