জাতিসঙ্ঘে ইয়ং অ্যাক্টিভিস্ট লরিয়েট সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশের সোহানুর

চলতি বছর ইয়াং অ্যাক্টিভিস্ট সামিট লরিয়েট সম্মাননা জিতেছেন বাংলাদেশের জলবায়ু কর্মী সোহানুর রহমান। জেনেভায় জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে সোহানুর রহমান তৃণমূল পর্যায়ে জলবায়ু সুবিচার, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যুব নেতৃত্ব বিকাশে অসাধারণ ভূমিকার এ পদকে ভূষিত হয়েছেন।
‘অনেক দূরে যাও, একসাথে যাও’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সম্প্রতি জেনেভায় আয়োজিত সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাঁচজন তরুণ নেতাকে সম্মানিত করা হয়। অন্যান্য হলেন যুক্তরাষ্ট্রের মার্লে ডায়াস (মিডিয়ায় কৃষ্ণাঙ্গ প্রতিনিধি), ফ্রান্সের শানলি ম্যাকলারেন (অনলাইনে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ), মেক্সিকোর আলভারো
কৃইরোজ (গৃহহীনদের সাহায্য করা) এবং সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সিনথিয়া হোউনিউহি (জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবাধিকার)।

২৭ বছর বয়সী সোহানুর রহমান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস’, যা এখন ‘ইয়ুথনেট গ্লোবাল’ নামে পরিচিত। জলবায়ু সুবিচার নিয়ে তৃণমূলে কাজ করছে এমন তরুণদের সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম ‘ইয়ুথনেট গ্লোবাল। ২০১৬ সালে বরিশাল শহরে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সংগঠনটি যুব জলবায়ু ঘোষণাপত্র তৈরি করে বর্তমানে দেশের প্রায় ৫০টি জেলায় কয়েক হাজার তরুণ স্বেচ্ছাসেবকের নেতৃত্বে কাজ করছে।
২০১৯ সালে সুইডেনের গ্রেটা থুনবার্গ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির বিরুদ্ধে প্রথম জলবায়ু আন্দোলনের ডাক দেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশে আন্দোলন শুরু করেন ইয়ুথনেটের জলবায়ু কর্মীরা। এখনো চলছে সবুজের আন্দোলন গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক। এ আন্দোলনের উত্তাপ দেশের সীমানা পেরিয়ে পৌঁছে গেছে বহির্বিশ্বের রাজপথেও। স্থানীয় নেতৃত্বের অভিযোজনের উদাহরণ তৈরি করতে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নে গড়ে তোলা হয়েছে চর ইয়ুথনেট।
সম্প্রতি সোহানুর ও তার দল বাংলাদেশে বৃহত্তর গণতন্ত্রের পক্ষে ছাত্র নেতৃত্বাধীন জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। সোহানুর অন্তর্বর্তী সরকারের এজেন্ডায় জলবায়ু পদক্ষেপকে অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছেন। জেনেভায় বাংলায় দেয়া ভাষণে তিনি তার সাহসী সহকর্মী শ্রাবণসহ জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদ ও আহত সব তরুণ যোদ্ধাদের এবং বিশ্বকে আরো ভালো, আরো সুন্দর জায়গা করে তোলার জন্য অক্লান্ত জলবায়ু যোদ্ধাদের এই পুরস্কার উৎসর্গ করেছেন।