২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ঢাবি সিন্ডিকেটে এখনো বহাল আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা

-


বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার সর্বোচ্চ পরিষদ হলো সিন্ডিকেট। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্রিয়াকলাপ, আর্থিক বিষয়াদি, সাধারণ ব্যবস্থাপনাসহ সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তত্ত্বাবধানে সিন্ডিকেট দায়িত্ব পালন করে। তবে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এখনো বহাল তবিয়তে আওয়ামী মদদপুষ্ট শিক্ষকরা।
শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো চলে যায় আওয়ামীপন্থীদের দখলে। প্রশাসন থেকে শুরু করে শিক্ষালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো নিজেদের ঘাঁটিতে পরিণত করেছিল তারা। তবে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকার পতনের পর বিভিন্ন জায়গায় সেটার পরিবর্তন শুরু হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক নিয়াজ আহম্মেদ খান। প্রোভিসি, ট্রেজারারসহ দায়িত্বশীল পদগুলোতেও আসছে পরিবর্তন। তবে সিন্ডিকেটের এখনো অর্ধেক সদস্য আওয়ামী লীগপন্থী। ওইসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, গণ-অভ্যুত্থানে বিরোধিতার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি সিন্ডিকেটে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা বহাল থাকার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলও করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনও তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

সিন্ডিকেটে আওয়ামীপন্থী ৯ সদস্য : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে এখনো আওয়ামীপন্থী ৯ সদস্য বহাল রয়েছেন। ১) সাবেক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: আব্দুস সামাদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের আহ্বায়ক ছিলেন। ২) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের সাবেক প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো: মাসুদুর রহমান। ২০২৩ সালে আওয়ামী প্যানেল থেকে শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ৩) পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: নিজামুল হক ভূঁইয়া নীল দলের নেতা ও আওয়ামী লীগ প্যানেল থেকে নির্বাচিত শিক্ষক সমিতির সভাপতি; তিনি এখনো শিক্ষক সমিতির সভাপতি। ৪) লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু হোসেন মুহম্মদ আহসান ২০২২ সালে সিন্ডিকেটের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে নীল দলের হয়ে সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে প্রার্থী হন। তাকে বিভিন্ন সময়ে নীল দলের হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। ৫) তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শরিফ উল ইসলাম নীল দলের প্যানেল থেকেই সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ৬) উদ্ভিদ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহিন মাহিদ নীল দলের প্যানেল থেকে সিন্ডিকেট সদস্য হন। ৭) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যখন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন, তখন এস এম বাহালুল মজনুন চুন্নু সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। ২০০৯ সালে তিনি ঢাবির সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য হন। এখন পর্যন্ত তিনি সদস্য হিসেবেই আছেন। ৮) সাবেক প্রোভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার প্রোভিসি হওয়ার আগে নীল দলের আহ্বায়ক ছিলেন। ৯) অভিনেতা ও নির্মাতা রামেন্দু মজুমদার আওয়ামী লীগপন্থী শিল্পী হিসেবে পরিচিত। ইতঃপূর্বে তাকে বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গেছে।

যা বলছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা : ৫ আগস্টের পর থেকেই শিক্ষার্থী, ছাত্রসংগঠনসহ বিভিন্ন মহল সিন্ডিকেটে আওয়ামীপন্থীদের অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছে। সিন্ডিকেটে আওয়ামীপন্থীদের কেন অপসারণ চান- এ ব্যাপারে নয়া দিগন্তের ঢাবি প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহম্মদ বলেন, আওয়ামী লীগের দালাল নীল দলের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়াসহ ৯ জন দালাল শিক্ষক এখনো সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারকের ভূমিকায় আছেন। যে সিন্ডিকেট ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফ্যাসিবাদী হাসিনার সহায়কের ভূমিকায় ছিল, সেই সিন্ডিকেট অবৈধ। তিনি আরো বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিদ্যমান সিন্ডিকেটে আওয়ামী দোসরদের অপসারণের দাবি জানিয়েছি। প্রশাসন বলছে সিন্ডিকেট মেম্বারদের অপসারণের একক ক্ষমতা তাদের হাতে নেই। একমাত্র রাষ্ট্রপতির আদেশে তাদের অপসারণ করা যায়, এর আগে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে আমাদের আশ্বাস দেয়া হয়েছে যে, আমাদের দাবিগুলো রাষ্ট্রপতির কাছে জানাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মেফতাহুল মারুফ নয়া দিগন্তকে জানান, ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের এত দিন পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে ফ্যাসিবাদের দোসরদের থাকা অত্যন্ত বিপজ্জনক ও লজ্জাজনক। বিভিন্ন আইনি জটিলতা থাকায় সিন্ডিকেট সম্পূর্ণ ভেঙে দেয়া বেশ কষ্টসাধ্য। তাই বর্তমান সরকারকে অবিলম্বে ঢাবি সিন্ডিকেটের আওয়ামী দোসরদের সরিয়ে দিয়ে যোগ্য লোকদের সিন্ডিকেট সদস্য নিয়োগ করার আহবান জানাচ্ছি।

যা বলছে ছাত্রসংগঠন : সিন্ডিকেটে আওয়ামীপন্থীদের বহাল তবিয়তে থাকার ব্যাপারে নিন্দা জানিয়েছে ঢাবিতে সক্রিয় বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদ্দুজামান শিপন বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকেই আমরা সিন্ডিকেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিরোধিতাকারীদের অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছি। আমরা দেখেছি, গত ১৫ আগস্ট যখন ছাত্রলীগের ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা ঢাবি শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট তখন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি, বরং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিরোধিতা করেছে। পরে গত ১৭ জুলাই ঢাবি সিন্ডিকেটের এই সদস্যদের মিটিংয়েই পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও সোয়াত দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এবং আবাসিক হল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই সিন্ডিকেট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের মতো জায়গায় ফ্যাসিবাদের পক্ষের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ভালোভাবে চলতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন আমাদের জানিয়েছে, সিন্ডিকেট মেম্বারদের অপসারণে তাদের একক কর্তৃত্ব নেই। যেহেতু আইন জটিলতা রয়েছে, আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অতিদ্রুত তাদের অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।

সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার দাবি জানিয়ে ঢাবি শিবির সভাপতি সাদিক কাইয়েম নয়া দিগন্তকে বলেন, আওয়ামী মদদপুষ্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এখনো ভাঙা হয়নি। শহীদদের রক্তের ওপর কিভাবে নিজাম ভূঁইয়ারা সিন্ডিকেট সভা করতে পারে? আমাদের চব্বিশের বিপ্লবের প্রতি এক প্রকার কৌতুকের নামান্তর। সিন্ডিকেট ভাঙার ব্যাপারে প্রশাসন কার্যকর ভূমিকা রাখেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই প্রশাসনের সাথে ছাত্রসংগঠনের মিটিংয়ে সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার দাবি তুলেছি। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩ দফা সংস্কার প্রস্তাবনায়ও ছাত্রশিবির আওয়ামী চাটুকারদের সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার কথা উল্লেখ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রোভিসি (শিক্ষা ও প্রশাসন) এবং প্রক্টর এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। দাবি মেনে না নেয়া হলে রাজপথে তার সমাধান হবে উল্লেখ করে সাদিক কাইয়েম বলেন, আমরা চাই চব্বিশের শহীদদের আকাক্সক্ষা লালন করতে সক্ষম এমন সিন্ডিকেট। তোষামোদি ও দালালবৃত্তির সংস্কৃতি ভেঙে দিয়ে প্রকৃত অর্থেই কাজ করতে সক্ষম এমন সিন্ডিকেট দ্রুততম সময়ের মধ্যে গঠন করতে হবে। অন্যথায় রাজপথে ফয়সালা করতে বাধ্য হব।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, সিন্ডিকেট শেখ হাসিনার দুঃশাসন টিকিয়ে রাখতে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। গত ১৭ জুলাই ঢাবি সিন্ডিকেটের এই সদস্যদের মিটিংয়েই পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও সোয়াট দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এবং আবাসিক হল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই সিন্ডিকেট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। এমনকি এই সিন্ডিকেটের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা এখনো নিরাপত্তহীনতায় আছে। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে ব্যাপক দলীয়করণ করা হয়েছে। তাই সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে নতুন সিন্ডিকেট গঠন করতে হবে। দলীয় আনুগত্যের বিবেচনায় সিন্ডিকেট গঠন করা যাবে না। ইতোমধ্যে কয়েকজন সদস্যকে পরিবর্তন করে নতুনদের যুক্ত করা হয়েছে, শিগগিরই বাকিদেরও পরিবর্তন করা দরকার। এক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়াগুলোতে ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধিদের যুক্ত করা দরকার। সিন্ডিকেটে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নেই, সিন্ডিকেটে অবশ্যই শিক্ষার্থী প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করা দরকার।
প্রশাসনের বক্তব্য : ছাত্ররা আমাদের কাছে সিন্ডিকেটে আওয়ামীপন্থীদের অপসারণের দাবি জানিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা অবগত আছি। ইতোমধ্যে আমরা কিছু সংস্কার করেছি। সিন্ডিকেটে নতুন চ্যান্সেলর নমিনিসহ ৯ জন নতুন সদস্য যোগদান করেছে। বাকি প্রতিনিধিদের মধ্যে ছয়জন শিক্ষক প্রতিনিধি রয়েছেন যারা শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন। শিক্ষার্থী, ছাত্রসংগঠনের নেতারা সিন্ডিকেটে আওয়ামীপন্থীদের থাকার ব্যাপারে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আমরা তাদের বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে দেখছি। ইতোমধ্যে আমরা অভিযুক্ত শিক্ষকদের ব্যাপারে আইনজ্ঞদের পরামর্শ চেয়েছি। শিক্ষার্থী দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনাপূর্বক আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে।


আরো সংবাদ



premium cement
প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে বাংলাদেশ বছরে ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়নের দাবি বাংলাদেশ অরবিসের সাথে কাজ করতে আগ্রহী : অধ্যাপক ইউনূস ঢাবি সিন্ডিকেটে এখনো বহাল আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা হাসিনা বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ করতে দিগন্ত টেলিভিশনসহ অসংখ্য গণমাধ্যম বন্ধ করেছে : ফখরুল শীত শুরু হচ্ছে তবু কমেনি ডেঙ্গুর প্রকোপ ব্যয়বহুল তদন্তেও শনাক্ত হয়নি লাশটি কার ‘রহস্যজনক’ কারণে নেয়া হয়নি ডিএনএ নমুনা নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন যুদ্ধবিরতির মার্কিন চেষ্টার মধ্যে লেবাননে ইসরাইলি হামলায় চিকিৎসাকর্মী নিহত অস্বস্তিতে ক্রেতারা : কমিয়ে দিতে হচ্ছে কেনাকাটা গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৪৪ হাজার ছাড়াল

সকল