২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি শুরু

-

- হাইকোর্টে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা আইনজীবীর
- কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি ২৭ নভেম্বর

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সাথে ছিলেন আইনজীবী মো: মাকসুদ উল্লাহ। প্রথম দিনের শুনানি শেষে আদালত আগামী বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করেন।
শুনানির পর আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, এই মামলাটি ছিল রাজনৈতিকভাবে মোটিভেটেড। মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে হয়রানি করার জন্যই মামলাটা করা হয়েছিল। এখানে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযোগ ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার হিসাব দেয়া হয় নাই। তবে এখানে যে অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। নিম্ন আদালত রায়ে ন্যায়বিচারের নামে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি অবিচার করেছেন। আমরা আশা করি আমরা হাইকোর্টে ন্যায়বিচার পাবো।
এর আগে গত ৩ নভেম্বর আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) তৈরি করতে অনুমতি নেয়া হয়েছিল।

২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো: আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মরহুম সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। সে সময় হারিছ চৌধুরী পলাতক ছিলেন। বাকি আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত শেষে ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি ২৭ নভেম্বর : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় চার্জ শুনানির জন্য আগামী ২৭ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক আবু তাহের এ দিন ধার্য করেন।
বুধবার এ মামলার চার্জশুনানির দিন ধার্য ছিল। এ দিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পক্ষে অব্যাহতির (ডিসচার্জ) আবেদনের শুনানি করেন তাদের আইনজীবী। তবে এ দিন শুনানি শেষ না হওয়ায় আগামী ২৭ নভেম্বর শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে গত বছর ৮ আগস্ট দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল চার্জ শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আর্জি জানান। এর পর থেকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা অব্যাহতির (ডিসচার্জ) আবেদন শুনানি করছেন।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কয়লা উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয়। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।


আরো সংবাদ



premium cement