২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ রোহিঙ্গাবিষয়ক প্রতিনিধি হলেন খলিলুর রহমান

-


রোহিঙ্গাসঙ্কট ও সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলিসংক্রান্ত হাইরিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে ড. খলিলুর রহমানকে নিয়োগ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলিসংক্রান্ত ‘হাইরিপ্রেজেন্টেটিভ’ হিসেবে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন ড. খলিলুর রহমান উপদেষ্টার মর্যাদা, বেতনভাতাদি ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
ড. খলিলুর রহমান ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পররাষ্ট্র) ক্যাডারে যোগদান করেন। তিনি ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের প্রথম নিয়মিত বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান এবং একই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। ১৯৭৮-৭৯ সালে তিনি আমেরিকান এক্সপ্রেস ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকে নির্বাহী পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮০-৮৩ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের টাফটস ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। আইন ও কূটনীতিতে এমএ এবং অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।

১৯৮৩-৮৫ সময়কালে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগে এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৫ সালে তাকে নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে বদলি করা হয়। সেখানে তিনি জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অর্থনৈতিক ও আর্থিক কমিটিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) মুখপাত্র হিসেবে এই কমিটি ও জাতিসঙ্ঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদে দায়িত্ব পালন করেন।
ড. রহমান ১৯৯১ সালে জেনেভায় জাতিসঙ্ঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলনে (আঙ্কটাড) বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে জাতিসঙ্ঘ সচিবালয়ে যোগ দেন। জাতিসঙ্ঘে পরবর্তী ২৫ বছরে তিনি নিউ ইয়র্ক ও জেনেভায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন, যার মধ্যে ছিল জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের নির্বাহী কার্যালয়ে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও উন্নয়নবিষয়ক প্রধান; জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের উচ্চপর্যায়ের প্রযুক্তি গ্রুপের নির্বাহী সচিব; আঙ্কটাডের প্রযুক্তি বিভাগ, ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যনীতি বিশ্লেষণ গ্রুপের প্রধান; জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে আঙ্কটাড ব্যুরো প্রধান; জাতিসঙ্ঘ সচিবালয়ে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর কর্মসূচির প্রধান; আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অশুল্ক বাধাসংক্রান্ত জাতিসঙ্ঘের আন্তঃসংস্থা গ্রুপের চেয়ার; এবং বিশ্ববাণিজ্যের নতুন ও গতিশীল খাতগুলোর কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়কারী।

২০০১ সালে ড. খলিলুর রহমান তৃতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি লতিফুর রহমানের একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করেন। তিনি রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
ড. রহমান জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন ফ্ল্যাগশিপ প্রকাশনার প্রধান রচয়িতা এবং অবদানকারী ছিলেন। এ ছাড়া তিনি জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব এবং আঙ্কটাড মহাসচিবের বাণিজ্য, অর্থনীতি ও উন্নয়ন সম্পর্কিত অনেক বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদন রচনা ও সম্পাদনা করেছেন। ২০০১ সালে ব্রাসেলস স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সম্মেলনে কর্মসূচি পরিকল্পনার খসড়া তৈরিতে তিনি নেতৃত্ব দেন, যা এলডিসি দেশের রফতানির জন্য শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা প্রদানের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বেক্সিমকোর শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধে অর্থঋণ প্রদানের সিদ্ধান্ত জরুরি অবস্থা জারি করে আমেরিকা থেকে শরণার্থী তাড়াবেন ট্রাম্প! শেষ ম্যাচে হেরে টেনিসকে বিদায় রাফার ২৯ বছরের দাম্পত্য ভেঙে বিচ্ছেদের পথে এ আর রহমান-সায়রা বানু হিজবুল্লাহ-ইসরাইল সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি পর্যালোচনা করছে লেবানন আদানির বিদ্যুৎ নিয়ে অনুসন্ধান কমিটির নির্দেশ হাইকোর্টের ভারতকে অবশ্যই ফিরিয়ে দিতে হবে হাসিনাকে নির্বাচন বিলম্বিত করার শঙ্কা বাড়ছে বিএনপিতে নর্থ মেসিডোনিয়ায় ২০ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ খুঁড়িয়ে চললেও কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না : অর্থ উপদেষ্টা মানবসম্পদ উন্নয়নে কাঠামোগত সংস্কার ও জাতীয় উদ্যোগ জরুরি

সকল