প্লানটেশন সেক্টরে একাধিক শর্তে কর্মী নেবে মালয়েশিয়া
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া হচ্ছে কর্মীর নিয়োগ অনুমতি- মনির হোসেন
- ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮
মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশসহ সোর্সকান্ট্রিভুক্ত দেশ থেকে একাধিক শর্তে আবারো শ্রমিক নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এবার শুধু প্লানটেশন সেক্টরে কর্মী নেবে দেশটি। এরই ধারাবাহিকতায় রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মসংস্থান শাখা থেকে মালয়েশিয়াগামী কর্মীর নিয়োগানুমতি দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
গত ১৩ নভেম্বর মেসার্স ফাতিন অ্যান্ড ফাহিম হোল্ডিংস লিমিটেড (আরএল ২৬৩৭) নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৪৬ জন কর্মীর নিয়োগানুমতি শর্তসাপেক্ষে দেয়া হয়েছে বলে প্রবাসী কল্য্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া আরো বেশ কয়েকটি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মী বাছাইয়ের জন্য নিয়োগানুমতি দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের (কর্মসংস্থান শাখা-২) উপসচিব মো: হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল স্বাক্ষরিত নিয়োগানুমতির চিঠি জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক ও রিক্রুটিং এজেন্সি ফাতিন অ্যান্ড ফাহিম হোল্ডিংস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে ইতোমধ্যে দেয়া হয়েছে। নিয়োগানুমতি প্রদানের চিঠিতে বলা হয়, রিক্রুটিং এজেন্সির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মালয়েশিয়ার ফিমা করপোরেশন বারহাদ কোম্পানিতে প্লানটেশন সেক্টরে জেনারেল ওয়ার্কার পদে ৩৪ জন এবং ফিমা এসজি সিপুট স্টেট এসডিএন বিএইচডি কোম্পানিতে জেনারেল ওয়ার্কার পদে ১২ জনসহ মোট ৪৬ জন কর্মীর নিয়োগানুমতি শর্তসাপেক্ষে দেয়া হলো। কর্মীর সুযোগ সুবিধার বিষয়ে বলা হয়েছে, বেতন হবে ১৫০০ রিংগিত। কর্মীর বয়স হতে হবে ১৮-৪০ বছর। বাসস্থান, যাতায়াত, চিকিৎসা ও ইন্সুরেন্স কোম্পানি দেবে। চুক্তির মেয়াদ হবে ২ বছর। বিমানভাড়া উভয়পথ ফ্রি। আর দৈনিক কাজের সময় ৮ ঘণ্টা, সপ্তাহে ৬ দিন।
কর্মী নিয়োগানুমতি ১৬টি শর্তের মধ্যে অন্যতম একটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে রিক্রুটিং এজেন্সিকে অবশ্যই বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়া উভয় দেশের বিধিবদ্ধ আইন বিধান অনুসরণ করতে হবে। কর্মীর ভিসা এবং ফ্লাইট নিশ্চিত হওয়ার পর রিক্রুটিং এজেন্ট কর্তৃক দাখিলকৃত অভিবাসন ব্যয় সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার ৯০০ টাকা কর্মীর কাছ থেকে চেক, ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডারের মাধ্যমে নিতে পারবেন। যার প্রমাণপত্র বিএমইটির মহাপরিচালক বরাবর উপস্থাপন করতে হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করে ১৪ দিনের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে জানাতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য মালয়েশিয়া সরকার গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশসহ মোট ১৫টি সোর্স কান্ট্রি থেকে বিদেশী শ্রমিক নেয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর পর থেকেই দেশটিতে বাংলাদেশী শ্রমিক যাওয়া পুরোপুরি স্থগিত রয়েছে। এতে শ্রমবাজারে ব্যাপক ধাক্কা লাগে। যদিও শ্রমবাজার স্থগিত হওয়ার আগে মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশকে পৌনে ৫ লাখ কর্মীর চাহিদাপত্র দিয়েছিল। এর মধ্যে নানা জটিলতার কারণে চাহিদাপত্র অনুযায়ী অর্ধলক্ষাধিক শ্রমিকের মালয়েশিয়া যাওয়া হয়নি। অনেকে এজেন্সি মালিক ও তাদের দালালদের হাতে জমা দেয়া টাকা এখনো ফেরত পাননি। যদিও এই সংখ্যা নিয়ে এজেন্সি মালিকদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। সার্বিক বিষয়গুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) থেকে এসব অনিয়মের অভিযোগ সমাধানের জন্য আলাদা একটি সেল গঠন করা হয়েছে। ওই সেলের কর্মকর্তারা এসব নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছেন। আর এসব ঘটনার সাথে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে সেই রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক এবং ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের শুনানির জন্য চিঠি দিয়ে ডাকা হচ্ছে। নেয়া হচ্ছে লিখিত মতামত। ব্যুরোতে যে অভিযোগগুলো সমাধান না হচ্ছে সেগুলোর বিষয়ে সুপারিশসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পাঠানো হচ্ছে মন্ত্রণালয়ে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা