রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশ বাংলাদেশ
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৮
পররাষ্ট্রসচিব জসিম উদ্দিন রোহিঙ্গা সঙ্কটের টেকসই সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন। তিনি মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে রোহিঙ্গা সঙ্কটের দ্রুত সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমারে নিযুক্ত ফ্রান্সের বিশেষ দূত ক্রিশ্চিয়ান লেচারভির সাথে বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
মিয়ানমারে, বিশেষ করে রাখাইন রাজ্যে চলমান সশস্ত্র সঙ্ঘাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সচিব বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এ দেশের জন্য বিরাট বোঝা। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সঙ্ঘাত শুরু হওয়ার সাথে সাথে নতুন করে মিয়ানমারের নাগরিকদের বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদার ও দাতাদের কাছ থেকে মানবিক সহায়তা কমছে।। সহায়তা কমার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী উভয়ের চ্যালেঞ্জগুলো আরো বাড়তে পারে।
পররাষ্ট্রসচিব রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের জন্য জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের কাছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক আহ্বানের কথা উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত লেচেরভি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি বাংলাদেশের চলমান মানবিক সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি এ ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য ফ্রান্সের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। লেচেরভি মিয়ানমার সীমান্তজুড়ে, বিশেষ করে রাখাইন রাজ্যে ক্রমবর্ধমান সঙ্ঘাত মোকাবেলার ওপর জোর দেন। পাশাপাশি মিয়ানমারে রাজনৈতিক সংলাপে রোহিঙ্গা ইস্যুকে অন্তর্ভুক্ত করার ওপর জোর দেন।
রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের চাহিদা ও অবস্থা মূল্যায়ন করার জন্য বাংলাদেশে নতুন আগতদের প্রকৃত সংখ্যা জানার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
উভয় পক্ষের মধ্যে মিয়ানমারে সশস্ত্র সঙ্ঘাতের জটিলতা, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের ভূমিকা এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার জন্য জবাবদিহিতা নিয়ে আলাপ হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা