অক্টোবরে রফতানি আয় বেড়েছে ২০.৬৫ শতাংশ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৫
চলতি অর্থ বছরের অক্টোবরে দেশের পোষাক খাতের রফতানি মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি আয় ২০ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়ে ৪ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে এটি ছিল ৩ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার।
গতকাল বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরের মধ্যে রপ্তানি ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়ে ১৫ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৪ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে দেশের রপ্তানি আয় ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এটি ছিল ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরে মাসে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়ে ১২ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ১১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার।
ওভেন পণ্য থেকে রপ্তানি আয় ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেড়ে ৫ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারে এবং নিট পণ্যের রপ্তানি আয় ১২ দশমিক ০৮ শতাংশ বেড়ে ৭ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। অক্টোবর মাসে দেশের পোশাক খাত মোট ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন আয় করেছে, যা গত বছরের চেয়ে ২২.৮০ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন অক্টোবরে আটকে থাকা পণ্য পাঠানো হয়েছিল, যা রপ্তানি আয়কে তীব্রভাবে বাড়িয়েছে। তবে, প্রবৃদ্ধির প্রবণতা সম্পর্কে মন্তব্য করার জন্য আমাদের আগামী কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। কারণ সেক্টরে অস্থিরতা ছিল এবং ক্রেতারা কাজের অর্ডার দিতে ধীর গতিতে চলছেন।
পোশাক খাতে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা এত শক্তিশালী বৃদ্ধির জন্য কোনো যুক্তি খুঁজে পাইনি এবং এটি টিকবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। এখনই মন্তব্য করার সময় নয় বরং অপেক্ষা করতে হবে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পোশাক খাত অভূতপূর্ব অস্থিরতা দেখেছে এবং ক্রেতারা কাজের আদেশ স্থানান্তর করেছে।’
সংশ্লিষ্টরা বলেন পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির জন্য খাতটির নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রয়োজন, যা বাংলাদেশের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে স্থায়ী হওয়া উচিত। প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আমাদের আন্তরিক আহ্বান।
এদিকে অক্টোবর মাসে কৃষিপণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১১৩ মিলিয়ন ডলার। এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। প্লাস্টিক পণ্য ৩০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা এক বছর আগের একই সময়ে ২০ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় ৫৪ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় ১ শতাংশ কমে ৮৩ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। পাট ও পাটজাত পণ্যের আয় ৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ কমে ৭৯ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।
বিশেষায়িত টেক্সটাইল সেক্টর ৩৬ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। এ খাত থেকে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। হোম টেক্সটাইল খাতের রপ্তানি আয় কমেছে ০.৪ শতাংশ এবং আয় করেছে ৬৪ মিলিয়ন ডলার। হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ থেকে রপ্তানি আয় অক্টোবরে ৩২ শতাংশ বেড়েছে। আয় হয়েছে ৫২ মিলিয়ন ডলার, যা গত অক্টোবরের একই সময়ে ছিল ৩৯ মিলিয়ন। অক্টোবরে ওষুধ পণ্য রপ্তানি ৪৯ শতাংশ বেড়ে ২১ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা