০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

হাসিনার নির্দেশেই সেনাকর্মকর্তাদের হত্যা করা হয় : ডা: শফিক

নীলফামারী জেলা জামায়াতের কর্মী সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন ডা: শফিকুর রহমান : নয়া দিগন্ত -

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সাড়ে পনেরো বছরে মানুষকে শান্তি দেয়নি। দেশবাসীর শান্তি কেড়ে নিয়েছিল। সব ধরনের, সব বর্ণের মানুষ তাদের কাছে নির্যাতিত হয়েছিল। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের অফিসগুলো সিলগালা করে বন্ধ করে দিয়েছিল। ঘরে বসেও জামায়াতের নেতাকর্মীরা শান্তি পায়নি। ঘর থেকে তুলে নিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহীর মামলা দেয়া হয়েছে। শীর্ষ নেতাদের নামে যুদ্ধাপরাধীর মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে বিচারের নামে খুন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে নীলফামারী বড় মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা শাখার কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ডা: শফিকুর রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ১০ জানুয়ারি ক্ষমতায় বসার পরেই ঝাল মিটিয়েছিল আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ওপর। হাসিনার নির্দেশেই তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে ৫৭ জন চৌকস, সাহসী ও দেশপ্রেমিক সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। হত্যা করেছিল নির্মমভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের। লাশ ভাসিয়ে দিয়েছিল পিলখানার ড্রেনের মধ্যে। রাতে বাতি নিভিয়ে দিয়ে ঘাতকদের পিলখানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই ঘাতকরা কারা ছিল। এদের পরিচয় জাতিকে জানতে দেয়া হয়নি। সেনাবাহিনী নিজস্ব একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। তারা তন্ন তন্ন করে খোঁজ নিয়ে সত্যতা তুলে এনেছিল। কিন্তু সেনাবাহিনীর তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করতে দেয়া হয়নি। এসময় এ হত্যাকাণ্ডের যারা প্রতিবাদ করেছিল তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল।

তিনি বলেন পিলখানার ঘটনার পরেই তাদের পরবর্তী টার্গেট ছিল জামায়াতে ইসলামীর ওপর। ২৯ জুন তৎকালীন জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমির আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ডা: শফিকুর রহমান বলেন, দেশবাসী সাক্ষী। আমি বুকে হাত দিয়ে বলছি আমাদের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছিল তা ষোলো আনা ছিল মিথ্যা। তার প্রমাণ হলো ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবের শাসনামলে ’৭১ সালে যারা বিভিন্ন অপরাধ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে যে মামলা হয়েছিল সেখানে একটি মামলাও তাদের বিরুদ্ধে ছিল না। এছাড়া শেখ মুজিব সরকার সে সময় যাচাই-বাছাই করে ১৯৫ জনের যে তালিকা করেছিল, তার মধ্যে বর্তমান বাংলাদেশের সীমানার ভিতরে কোনো নাগরিক ছিল না। তিনি বলেন, যদি সত্যিই জামায়াত নেতারা বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকতেন তাহলে বাংলাদেশের কোনো না কোনো থানায় একটি হলেও মামলা হতো। তাহলে এতদিন পরে কেন মামলা দায়ের করা হলো। অভিযোগকারীদের দামি ফ্ল্যাট ও অর্থ সম্পদের লোভ দেখিয়ে রাজি করা হয়েছে। অভিযোগকারী ও সাক্ষীদের তোষামোদ করে এনে শিখিয়ে দেয়া হয়েছে। বিচারক ছিল হাতের পুতুল। তাদের যেভাবে রায় দিতে বলা হয়েছিল তারা সেভাবে রায় দিয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, সেই শহীদদের আপনারা উত্তরসূরি। আপনারা ২৪ এর শহীদদের উত্তরসূরি। যে শহীদদের রুহানি লাশ আপনাদের জাতির ঘাড়ে। এখন আমাদের আচরণে প্রকাশ করতে হবে। আগামীর দেশ পরিচালনায় সেটা প্রকাশ করতে হবে। এই শহীদদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আগামীর দেশ পরিচালনায় এমন একদল মানুষ লাগবে যারা মুখে যা বলবে কাজেও তা করবে।
তিনি বলেন, ফ্যাস্টিস্ট শেখ হাসিনা সাড়ে পনেরো বছর দেশ শাসন করেছেন। তিনি যখন কথা বলতেন, মানুষ তখন বলতেন হাসিনা আমরা আর হাসি না। যেমন ছিল প্রধানমন্ত্রী, তেমন ছিল তার উজির-নাজিররা। কে কার চেয়ে কত মিথ্যা বলতে পারে এ নিয়ে ছিল প্রতিযোগিতা। তারা জাতিকে ধোঁকা দিয়েছে। তারা জাতির ওপর জুলুম করেছে। খুন, গুম ও আয়নাঘর তৈরি করেছে। হাজারো মায়ের বুক খালি করেছে। এটাই ছিল বাংলাদেশর চলমান বাস্তবতা।
তিনি বলেন, ৫ তারিখ যখন পরিবর্তন এলো আমরা সাথে সাথে দেশবাসীকে অনুরোধ করেছি ধৈর্য ধরার জন্য। বলেছি কেউ কারো ওপর হাত তুলবেন না। ব্যক্তিগত প্রতিশোধ নিবেন না। কিছু করতে হলে আইনের আশ্রয় নিবেন। দেশবাসী আমাদের কথা শুনেছে। ধৈর্য ও দাযিত্বশীলের পরিচয় দিয়েছে। ওবায়দুল কাদের তাদের নেতাকর্মীদের বলেছিল আওয়ামী লীগের পতন হলে দু’দিনে পাঁচ লাখ নেতাকর্মীকে বিরোধীরা হত্যা করবে। কিন্তু দু’দিনে এর কিছুই হয়নি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্দয় হতে পারে, খুনি হতে পারে কিন্তু ১৮ কোটি মানুষ অত্যন্ত দায়িত্বশীল ও দেশপ্রেমিক।

ডা: শফিকুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা বলেছিলেন পালাবো না। তিনি চলেন, গেলেন তার প্রিয় দেশে। তারা আমাদের প্রতিবেশী। আমরা তাদের সম্মান করি। কোনো প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া আমরা বিশ্বাস করি না। অনুরূপ ভাবে কোনো প্রতিবেশীর কাছ থেকেও আমরা সুপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ পেতে চাই। আমরা আমাদের প্রতিবেশীকে অনুরোধ করব। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫০টিরও অধিক মামলা হয়েছে। আমাদের বিচারালয় যখন তাকে চাইবেন তখন তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনার হাতে তুলে দিবেন।
তিনি বলেন, সাড়ে ১৫ বছরে তারা গোটা জাতির বিরুদ্ধে জুলুম করেছে। বিচারের নামে তামাশা করেছে। অবিচার করেছে। সেটি যেন শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের কারো ক্ষেত্রে না হয়। তাদের জন্য যেন ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হয় এটা আমরা চাই। আমরা চাই বৈষম্যহীন ন্যায়বিচারের পরিবেশ সৃষ্টি করতে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে আমরা দুর্নীতি করব না, কাউকে দুর্নীতি করতে দিবো না। আমরা ঘুষ খাবো না, কাউকে খেতে দিবো না। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের প্রত্যেককে সমাজের বিভিন্ন জায়গায় পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে। সে দিন আমরা থাকব সজাগ আর জাতি শান্তিতে ঘুমাবে। আমরা হবো জাতির পাহারাদার। আমরা এমন একটি সমাজ গড়তে চাই, যে সমাজে লেখাপড়া করার পরে এই শব্দটি আমাদের কানে আসবে না আমরা শিক্ষিত বেকার। শিক্ষা শেষ হওয়ার সাথে সাথে কাজ যেন তাদের ঘরে চলে যায়।
তিনি নারীদের উদ্দেশে বলেন, আমরা এমন একটা বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে সমাজের উন্নয়নে নারীরা অবদান রাখতে পারে। নারীরা নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মর্যাদার সাথে জাতিগঠনে অবদান রাখবেন।
তিনি আরো বলেন, উত্তরবঙ্গ দু’টি কারণে আমার কাছে বিশেষ মর্যাদার। এক. এ এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ছিল। দুই. এলাকার মানুষের চাহিদা সীমিত। তারা অল্পতেই সন্তুষ্ট ও ধর্মপরায়ণ। আমরা এই অঞ্চলের মানুষের ঋণ পরিশোধে খেয়াল রাখব।

নীলফামারী জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি আন্তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মিসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী অঞ্চল পরিচালক মাওলানা মমতাজ উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টিম সদস্য আব্দুর রশীদ, রংপুর মহানগর সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ সালাফী, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ড. খায়রুল আনাম, ঠাকুরগাঁও জেলা আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দীন প্রধান, পঞ্চগড় জেলা আমির অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, লালমনিরহাট জেলা আমির অ্যাডভোকেট আবু তাহের, দিনাজপুর জেলা আমির অধ্যক্ষ আনিছুর রহমান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য প্রভাষক ছাদের হোসেন, জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার, খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মনিরুজ্জামান জুয়েল, জলঢাকা উপজেলা জামায়াতের আমির মোখলেছুর রহমান, ডোমার উপজেলা আমির খন্দকার আহমুদুল হক মানিক, ডিমলা আমির মজিবুর রহমান ও জেলা শিবির সভাপতি তাজমুল হাসান। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি প্রভাষক আনোয়ারুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আল ফারুক আব্দুল লতীফ, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মনিরুজ্জামান মন্টু, আব্দুল কাদিম প্রমুখ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, এদেশের মানুষের কল্যাণে জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জামায়াত তাদের কর্মীদের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে না। দল, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কিভাবে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যায় সে চেষ্টাই করে জামায়াত। তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশের জন্য সংস্কার প্রয়োজন। সংস্কার না করে যদি নির্বাচন করা হয়, তাহলে অতীতের মতো হতে পারে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি। সংস্কার বাস্তবায়ন করে নতুন নির্বাচন উপহার দেয়ার আহবান জানান তিনি।

সরকার রাষ্ট্রের সব অঙ্গকে বিকলাঙ্গ করে ফেলেছে : মিয়া গোলাম পরওয়ার
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানান, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রের সব অঙ্গকে একেবারেই বিকলাঙ্গ করে ফেলেছে বলে মন্তব্য করে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, এগুলোকে সংস্কারের মাধ্যমে কার্যকর করতে না পারলে আমাদের ছাত্র-জনতার সব ত্যাগ বিফলে যাবে। তিনি গতকাল দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত জেলার রোকন (সদস্য) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরো বলেন, রোকনরা হলো জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের খুঁটি, আর এই খুঁটিকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব আমিরের। তাই রোকনদের শক্তিশালী হয়ে দেশের যেকোনো পরিস্থিতিতে ঈমানী শক্তিতে বলীয়ান হয়ে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম ও দেশ গড়ার কাজ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘রোকনদের শপথের আগে ঈমানের পথে চলার অঙ্গীকার করা হয় আর শপথের পরে পরিবার-পরিজন নিয়ে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ঈমানী পথে চলতে গেলে বাধা-বিপত্তি ও সমস্যা আসবেই। পরীক্ষাকে পরীক্ষা মনে করে নিজের জীবনকে পরিচালিত করতে হবে।
রোকন সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও কুষ্টিয়া-যশোর অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন। জামায়াতের কুষ্টিয়া জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সুজাউদ্দিন জোয়ার্দারের সঞ্চালনায় জামায়াতে ইসলামী কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের আব্দুল ওয়াহেদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ রোকন সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যক্ষ এ কে এম আলী মুহসিন, জামায়াতের মজলিসে শূরা অধ্যাপক ফরহাদ হোসাইন, শাজাহান আলী মোল্লা, হাফেজ রফিকউদ্দিন প্রমুখ।

পলাতক অপশক্তি সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্র করছে : শাহজাহান চৌধুরী
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমির সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। যুগ যুগ ধরে এ দেশে জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। একটি পলাতক অপশক্তি ও গোষ্ঠী দেশের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ভঙ্গ করে শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্টের অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। সম্প্রতি একজন ব্যবসায়ীর ব্যক্তিগত শেয়ারকে কেন্দ্র করে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর ওপর হামলা করে একটি গোষ্ঠী চরম ধৃষ্ঠতা প্রদর্শন করেছে।
গতকাল চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্মপরিষদ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেওয়ানবাজারস্থ মহানগরী জামায়াতের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমির ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ এবং মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মহানগরী অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খায়রুল বাশার, মুহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস ও মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান।

সিলেট মহানগর জামায়াতের নতুন শেসনের কমিটি গঠন
সিলেট মহানগর জামায়াতের আগামী ২০২৫-২০২৬ শেসনের নতুন কমিটি গঠন সম্পন্ন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে মহানগর জামায়াত কার্যালয়ে উপস্থিত মহানগর কর্মপরিষদ ও শূরা সদস্যদের উপস্থিতিতে নতুন শেসনের কমিটির নেতৃবৃন্দের নাম ঘোষণা করা হয়।
নতুন শেসনের জন্য সিলেট মহানগর আমির হিসেবে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের নাম ইতোমধ্যে কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মহানগর সেক্রেটারি হিসেবে মোহাম্মদ শাহজাহান আলী, নায়েবে আমির হিসেবে ড. নুরুল ইসলাম বাবুল, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব, জাহেদুর রহমান চৌধুরী ও মাওলানা ইসলাম উদ্দিন মনোনীত হন। নতুন শেসনের কমিটি ঘোষণা করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম।

চুয়াডাঙ্গায় জামায়াতে রুকন সম্মেলন
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেশে নতুন চক্রান্ত চলছে। রাজনীতিতে নানান খেলা চলছে। অনেকে আওয়ামী অপশক্তির সাথে রং-রস আর আপসের কথা বলছেন, অথচ এখনো শহীদের মায়েদের চোখের পানি শুকায়নি, রক্ত শুকায়নি। রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশ্বাসঘাতকতার ধ্বনিও শোনা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। গতকাল বিকেলে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত জেলা রুকন সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসাইন, অঞ্চল টিম সদস্য মনোয়ার হোসেন, ড. আলমগীর বিশ্বাস ও মেহেরপুর জেলা আমির তাজ উদ্দীন খান উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আজিজুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান।


আরো সংবাদ



premium cement