০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে নেতাকর্মীদের ঢল। মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানান নেতারা (ইনসেটে) : নয়া দিগন্ত -

সারা দেশে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। শোভাযাত্রা, র‌্যালী, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এ দিবস পালিত হয়।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মুক্ত পরিবেশে গতকাল ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাঙ্গুনিয়ার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রথম কবর এবং চট্টগ্রাম নগরীর বিপ্লব উদ্যানকেন্দ্রিক নানা কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
৭ নভেম্বরের কর্মসূচিতে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহি-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে দেশের তৎকালীন রাজনীতির গতিধারা পাল্টে গিয়েছিল। সিপাহি-জনতার মিলিত সেই বিপ্লবে বন্দী অবস্থা থেকে মুক্ত হন জিয়াউর রহমান। বিএনপি সরকারের আমলে এ দিনটিতে ছিল সরকারি ছুটি। তবে আওয়ামী লীগের দেড় যুগের শাসনামলে দিবসটি স্বাচ্ছন্দ্যে উদযাপন করতে পারেনি বিএনপি। তাই ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি পুনর্বহাল করতে হবে।
তিনি গতকাল সকালে নগরীর বিপ্লব উদ্যানে শহীদ জিয়ার স্মৃতি বেদিতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম, সদস্যসচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন যুগ্ম আহ্বায়ক যথাক্রমে আরিফুর রহমান মিঠু, শহীদুল ইসলাম সুমন, সাব্বির আহমেদ, এম এ হাসান বাপ্পা, সদস্য আল মামুন সাদ্দাম ও দেলোয়ার হোসেন শিশিরসহ বিভিন্ন থানা, কলেজ ও ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ।
এ দিকে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেছেন, সামনের বাংলাদেশ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, মানবিক বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সারা পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। আমরা জিয়াউর রহমানের সৈনিকেরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আজকে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনাকে ধারণ করে ইনশা আল্লাহ আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব।
৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে ঐতিহাসিক বিপ্লব উদ্যানে শ্রদ্ধা নিবেদন ও র‌্যালিপূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। সেদিন সিপাহি জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশে এক নতুন অধ্যায় সূচিত হয়েছিল। গতকাল দুপুরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাঙ্গুনিয়ার প্রথম কবরে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সাবেক এমপি মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশের সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে হবে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে বাংলাদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র উপহার দিতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তারেক রহমানের ভূমিকা উল্লেখ করে বিএনপি নেতা মিনু বলেন, দেশে ফিরিয়ে এনে তাকে (তারেক রহমান) মুক্ত রাজনীতির চর্চা করতে দিতে হবে। অন্যথায় রাজপথে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তারা তাদের নেতাকে ফিরিয়ে আনবেন। গতকাল রাজশাহীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সকালে তিনি ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট সংলগ্ন বড় মসজিদ প্রাঙ্গণে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় তার সাথে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলসহ স্থানীয় বিএনপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মিজানুর রহমান মিনু ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও ফ্যাসিস্ট সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে ৫ আগস্ট বিতাড়িত করতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনায় গতকাল বিকেলে মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে খুলনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়নের সভাপতি মো: আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন এবং প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন।
গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, গাজীপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বিকেলে গাজীপুর প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ক্লাবের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা: মাজহারুল আলম। ক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টিটুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন, ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির আহমেদ, সহসভাপতি মো: রেজাউল বারী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক শাহ সামসুল হক রিপন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: আমিনুল ইসলাম, সাংবাদিক শামসুল হক ভুইয়া, জিয়া পরিষদের নেতা আসাদুজ্জামান সোহেল প্রমুখ।
সিলেট ব্যুরো জানায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ দেশের অরক্ষিত স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত করতে ৭ নভেম্বরের চেতনায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগকে গণতন্ত্র হত্যাকারী, গণহত্যাকারী, ফ্যাসিবাদী, একনায়কতন্ত্র ও স্বৈরাচারী চরিত্রের এক অমানবিক দানব শক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, এই গণবিরোধী আওয়ামী লীগকে আবার এ দেশে রাজনীতির, নির্বাচন করার সুযোগ দেবে কি না তা এ দেশের জনগণই ঠিক করবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ গতকাল ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিকেল ৪টার দিকে সিলেট মহানগর ও জেলা বিএনপি আয়োজিত গণমিছিল-পূর্ব বিরাট সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যের সময় এসব কথা বলেন। সিলেটের ঐতিহাসিক রেজিস্টারি মাঠে বিএনপির এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী।
মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গৌছ, সিলেট বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী। সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরীসহ স্থানীয় অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রংপুর ব্যুরো জানায়, বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বলেছেন, কর্মফলের কারণেই ’৭৫ -এর ১৫ আগস্ট অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। একই সাথে ৭ নভেম্বরও অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। ঠিক সেভাবেই অনিবার্য হয়ে উঠেছিল ৫ আগস্ট। নিজের অপকর্মের কারণে আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এখন আমাদের প্রয়োজন বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ। গতকাল দুপুরে পীরগঞ্জ শহীদ মিনার মাঠে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদুননবী চৌধুরী পলাশের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্যসচিব আনিসুর রহমান লাকুসহ কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বগুড়া অফিস জানায়, বগুড়া জেলা বিএনপির বর্ণাঢ্য আয়োজনে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল দুপুরে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে শেষ হয়। এতে অংশ নেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট এ কে এম মাহবুবর রহমানসহ দলের নেতৃবৃন্দ। এর আগে আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রায় বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, মহিলা দল, কৃষক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
এ দিকে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র রেজাউল করিম বাদশা বলেছেন, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতা নস্যাৎ করতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিতে একের পর এক চেষ্টা করছে। কিন্তু এই বিপ্লব ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। এজন্য সবাইকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে বগুড়া প্রেস ক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া (জেইউবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। প্রেস ক্লাব সভাপতি ওয়াসিকুর রহমান বেচানের সভাপতিত্বে ও জেইউবি সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সাইদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আলহাজ মোশারফ হোসেন, জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল, বগুড়া প্রেস ক্লাবের সদস্যসচিব সবুর শাহ লোটাস, জেইউবির সভাপতি গণেশ দাস, দৈনিক বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রেজাউল হাসান রানু।
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, র‌্যালি ও আলোচনাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করেছে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনগুলো। বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌরপার্ক থেকে জেলা শহরে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, রুহুল হোসাইন, জালাল মোহাম্মদ গাউস প্রমুখ। জেলা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে র‌্যালিতে অংশ নেন। র‌্যালিটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে স্টেশন রোডে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, কুড়িগ্রামে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করেছে জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির বিলুপ্ত ও বিবদমান দু’টি গ্রুপ আলাদা আলাদাভাবে এই দিবসটি পালন করে।
দিবসটি উপলক্ষে গতকাল দুপুরে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদের নেতৃত্বে দাদা মোড় থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে কলেজ মোড়ের বটতলায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আব্দুল আজিজসহ অন্যরা।
এর আগে জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার নেতৃত্বে ঘোষপাড়া থেকে একটি বিশাল র‌্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে কলেজ মোড়ে সমাবেশ করে।
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, দীর্ঘ বছর পর উৎসবমুখর পরিবেশে সুনামগঞ্জে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সকাল থেকেই সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাস স্টেশনের পাশেই বিএনপি কার্যালয়ের সামনে খণ্ড-খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
এ সময় স্লোগানে প্রকম্পিত হয় সুনামগঞ্জে রাজপথ। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ব্যানার ও ফেস্টুনসহ মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন। এ সময় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন, ‘লাল সবুজের পতাকায়, জিয়া তোমায় দেখা যায়’, ‘বাংলাদেশের অপর নাম জিয়াউর রহমান’, ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া লও লও, লও সালাম’ ইত্যাদি।
দুপুরে জেলার দলীয় কার্যালয়ে সামনে থেকে এক বিশাল মিছিল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের হাছননগরের হোসেন বখ্ত চত্বরে গিয়ে মিলিত হয়।
পরে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলসহ নেতৃবৃন্দ বলেন, ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ তুলে ধরে বলেন।
নড়াইল প্রতিনিধি জানান, বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে নড়াইলের কালিয়ায় ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে কালিয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে গতকাল) সকালে আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম।
বিএনপি নেতা সরদার আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আসজাদুর রহমান মিঠু, স ম ওয়াহিদুজ্জামান মিলুসহ অনেকে।
ইবি সংবাদদাতা জানান, নানা আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় অনুষদ ভবন থেকে রথ্যালি বের করে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জিয়া পরিষদ, ইউট্যাব এবং শাখা ছাত্রদল। রথ্যালিটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় শতাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জিয়া পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর ড. নুরুন নাহারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, প্রফেসর ড. আলীনূর রহমান, ইউট্যাবের সহসভাপতি প্রফেসর ড. ইদ্রীস আলী, কেন্দ্রীয় জিয়া পরিষদের মহাসচিব প্রফেসর ড. এমতাজ হোসেন, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী মহাসচিব ড. ওলিউর রহমান পিকুল, জিয়া পরিষদের কর্মকর্তা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদ গোলাম মাহফুজ মঞ্জু, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্যসচিব মাসুদ রুমী মিথুন।
জয়পুরহাট প্রতিনিধি জানান, নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জয়পুরহাটে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করা হয়েছে। গতকাল সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও শহীদ জিয়ার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদ জিয়ার মাগফিরাত কামনায় ও বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়। পরে শহীদ ডা: আবুল কাশেম ময়দানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় জয়পুরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক সেলিম রেজা ডিউক প্রমুখ।
বরগুনা প্রতিনিধি জানান, বরগুনায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকালে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে বেলা ১১টায় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, তাতীদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা শহরে র‌্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সদর রোড এসে শেষ হয়। এ সময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বরগুনা জেলা বিএনপির নজরুল ইসলাম মোল্লা, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তালিমুল ইসলাম পলাশ প্রমুখ।
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মানিকগঞ্জ বর্ণাঢ্য র‌্যালি করেছে জেলা বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
গতকাল বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয় থেকে জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করেন। স্থানীয় শহীদ রফিক চত্বরে র‌্যালি শেষ সমাবেশ করেন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্না কবীর, যুগ্ম সম্পাদক সত্যেন কান্ত পণ্ডিত ভজন, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরতাজ আলম বাহার প্রমুখ।
এ ছাড়া সমাবেশে কৃষকদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
নোয়াখালী অফিস জানায়, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মো: শাহাজাহান বলেছেন, যত তাড়াতাড়ি নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে জনগণের নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা বুঝিয়ে দেয়া হবে ততই হবে দেশের জন্য মঙ্গল। তিনি গতকাল দুপুরে নোয়াখালীতে জেলা বিএনপির উদ্যোগে ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নোয়াখালীর মাইজদী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের সামনে এক বিশাল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, বিএনপির কোষাধ্যক্ষ আবু নাছের, বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
বগুড়া অফিস আরো জানায়, ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখার উদ্যোগে গতকাল বিকেলে শহর কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শহর আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল হালিম বেগ, সেক্রেটারি অধ্যাপক আ স ম আব্দুল মালেক, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক রফিকুল আলম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালালেও দেশ এখনো ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়নি। ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো দেশের নানা জায়গায় ঘাপটি মেরে আছে। এই দোসরদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিতে হবে।
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) সংবাদদাতা জানান, ফরিদপুরের ভাঙ্গায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির উদ্যেগে ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইকবাল হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বিকেলে ডাক্তার কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়াম থেকে বাদ্যযন্ত্রসহ একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে তা উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ভাঙ্গা খন্দকার টাওয়ারে বিএনপি অফিসের সামনে এসে শেষ হয়। পরে খন্দকার টাওয়ারে বিএনপির অফিসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।


আরো সংবাদ



premium cement