বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নতুন তদন্ত ও বিচার করতে হবে : ডা: শফিক
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০৫
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নতুন করে তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা কথিত বিডিআর বিদ্রোহের নামে দেশের ৫৭ জন দেশপ্রেমী ও চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সীমান্তকে অরক্ষিত করে ফেলেছে। এ সময় তিনি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অপশাসন-দুঃশাসনমুক্ত, বৈষম্যহীন, ইনসাফপূর্ণ, তারুণ্য সমৃদ্ধ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
গতকাল রাজধানীর মগবাজারস্থ আল ফালাহ মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মাদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা: ফখরুদ্দীন মানিক, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য হেমায়েত হোসাইন, ইয়াছিন আরাফাত ও ড. মাওলানা আহসান হাবিব এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার প্রমুখ।
ডা: শফিকুর রহমান বলেন, দেশ ও জাতির প্রেক্ষাপটে ৭ নভেম্বর একটি ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। কিন্তু স্বাধীনতাপরবর্তী শাসকচক্র আমাদেরকে ইতিহাস জানার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ১৯৭৫ সালের জুনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেশে একদলীয় বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। রাষ্ট্রায়ত্ত মাত্র চারটি পত্রিকা বাদে সব গণমাধ্যমের ডিক্লারেশন বাতিল করে গণমানুষের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন সে সময়ের তরুণ সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার মঈনুল হোসেন এবং কর্নেল এম এ জি ওসমানী। কিন্তু এ জন্য তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্চিতও হতে হয়েছিল। এটিই ছিল বাস্তবতা। সে সময়ের বাকশাল প্রতিষ্ঠিত থাকলে দেশে কোনো পত্রিকাই থাকত না। মানুষের অধিকারও হতো ভূ-লুণ্ঠিত। মূলত, বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী-বাকশালীরা দেশের গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছিল। তিনি মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত শাহাদত বরণকারী শহীদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং আহত-পঙ্গুত্ববরণকারীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন : আমেরিকার জনগণ ডোনাল্ড জে. ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান গতকাল আমেরিকার জনগণ ও নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়ে এক বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ৫ নভেম্বর আমেরিকার জনগণ ডোনাল্ড জে. ট্রাম্পকে আমেরিকার ৪৭-তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করায় আমি আমেরিকার জনগণ ও তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা আশা প্রকাশ করছি, তিনি আমেরিকার পাশাপাশি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ বন্ধের যে ঘোষণা দিয়েছেন, বিশ্ববাসী তার বাস্তবায়ন দেখতে চায়। আমি তার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সফলতা কামনা করছি।
চট্টগ্রামে জামায়াতের আলোচনা সভা
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমির সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, ৭ নভেম্বর হলো সিপাহি জনতার বিপ্লব। ৭ নভেম্বর হলো এ দেশের তৌহিদি জনতার সম্পদ। তিনি বলেন, শেখ মুজিবের মাথার টুপি মুসলমানের টুপি নয়, এটা হলো মহাত্মা গান্ধীর মাথার টুপি। দেশের মানুষ গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারকে সমূলে উৎখাত করেছে। এখন দেশে গণতন্ত্র ও দেশের মানুষকে পূর্ণভাবে মুক্ত করতে ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে প্রয়োজন আরেকটি বিপ্লব, যা এই জাতির ভবিষ্যৎ রচনা করবে। ৭ নভেম্বর একনায়কতন্ত্র, শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে যেভাবে দেশের মানুষ সম্মিলিতভাবে গর্জে উঠেছিল, একইভাবে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা সব আধিপত্যবাদী শক্তির মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করেছে।
গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াত আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমির ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ এবং মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মহানগরী অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খায়রুল বাশার, মুহাম্মদ উল্লাহ ও মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ বলেন, যারা ঘোষণা করেছিল পালায় না, তাদের এখন চেরাগ দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশের জনগণ মিলে এক ঐতিহাসিক বিপ্লব সংঘটিত করে, যে বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করতে শুরু করে।
গোলাম পরওয়ারের বিবৃতি : বাংলাদেশী ২০ জেলেকে ১৫টি নৌকাসহ মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী অন্যায়ভাবে ধরে নিয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ৫ নভেম্বর বিকেলে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা নাইক্ষ্যংদিয়ার কাছাকাছি বৈদ্যপাড়া সংলগ্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশী ২০ জন জেলেকে ১৫টি নৌকাসহ মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী অন্যায়ভাবে ধরে নিয়ে যাওয়ায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর নাফ নদী থেকে নৌকাসহ পাঁচজন বাংলাদেশী জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তাদেরকে বাংলাদেশের কাছে ফেরত দেয়া হয়েছিল। এসব ঘটনা বাংলাদেশের নিরাপত্তার ওপর এক মারাত্মক হুমকি। অবিলম্বে এ ধরনের ঘটনা বন্ধ হওয়া উচিত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা