শেখ হাসিনাকে ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী’ বিবেচনা করে ভারত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ভারত সরকার বাংলাদেশের ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে বিবেচনা করে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল গতকাল মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা আগেও বলেছি, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান এটাই।
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর তাকে অভিনন্দন জানিয়ে আওয়ামী লীগের দেয়া বিবৃতিতে শেখ হাসিনাকে ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ভারত শেখ হাসিনাকে ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী’ নাকি ‘নির্বাসিত প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে বিবেচনা করছে। জবাবে ভারত সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন রণধীর জয়সোয়াল। তবে কোনো মর্যাদায় শেখ হাসিনা ভারতের আশ্রয়ে আছেন, সে সম্পর্কে কিছু বলেননি মুখপাত্র।
গত মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের ঘটনা নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জয়সোয়াল বলেন, চট্টগ্রামে হিন্দুদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী পোস্ট দেয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এবং তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, এসব ঘটনার পিছনে চরমপন্থীরা রয়েছে। তিনি বলেন, ভারত সরকার বেশ কয়েকটি ভিডিও দেখেছে, যেগুলোতে চট্টগ্রামে হিন্দুদের ওপর হামলা, ভয় দেখানো এবং হিন্দুদের ধর্মীয় সংগঠনগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলার চিত্র উঠে এসেছে। এটা নিন্দনীয়।
মুখপাত্র বলেন, এসব ঘটনা ওই এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়াবে এবং সম্প্রীতি বিনষ্টে ভূমিকা রাখবে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ এবং এসব হামলার জন্য দায়ী চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।