কমলা-ট্রাম্প হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
যুক্তরাষ্ট্রে আজ নির্বাচন- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৭
আজ ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আজকের নির্বাচনে মার্কিন ভোটাররা বেছে নেবেন তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্টকে। এতে একাধিক প্রার্থী থাকলেও মূল লড়াই হবে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে। ভোটের আগে শেষ মুহূর্তে ভোটারদের মন জিততে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেছেন এই দুই নেতা, দিয়েছেন নানা প্রতিশ্রুতি। এ নির্বাচনে চূড়ান্ত ফল নির্ধারণী দোদুল্যমান সাত রাজ্যে শেষ সময়ে চষে বেড়িয়েছেন রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। নির্বাচন নিয়ে করা জরিপগুলো দুই প্রার্থীর মধ্যে তুমুল লড়াইয়ের আভাস দিয়েছে। বিবিসি, এএফপি ও ইউএসএ টুডে।
জর্জিয়া থেকে বিবিসির নর্থ আমেরিকা করেসপন্ডেন্ট জন সুদওয়ার্থ লিখেছেন, শেষ দিকের প্রচারেও ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রচারে অভিবাসনবিরোধী বার্তাকেই সামনে রেখেছেন। অন্য দিকে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে বিবিসির কোর্টনি সুব্রামানিয়ান লিখেছেন, কমলা হ্যারিসের প্রচার দল তার জয়ের বিষয়ে সতর্ক আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। তারা এখন ‘সুইং স্টেট’ বা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য বলে পরিচিতি অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটারদের নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা করছেন। আজ মঙ্গলবার এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর মধ্যেই প্রায় পঁচাত্তর লাখ ভোটার আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন।
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে এক সমাবেশে দেয়া বক্তৃতায় কমলা হ্যারিস বলেছেন, গাজা যুদ্ধ অবসানে তিনি তার ক্ষমতা অনুযায়ী সবকিছুই করবেন। মিশিগানেই রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় আরব আমেরিকান জনগোষ্ঠীর বাস। ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার আরব-সংখ্যাগরিষ্ঠ শহর ডিয়ারবর্নে সমাবেশ করেছেন। ডেমোক্র্যাটদের মধ্যপ্রাচ্য নীতি ও ইসরাইলকে আর্থিক সুবিধা দেয়া নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে থাকা ক্ষোভকে পুঁজি করে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।
মিশিগান থেকে বিবিসির ম্যাডেলাইন হালপার্ট লিখেছেন, ট্রাম্পের কয়েকটি বক্তৃতা শুনে তার মনে হয়েছে যে তিনি পেনসিলভানিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা ও জর্জিয়ায় যেসব কথা বলেছেন সে অবস্থানেই তিনি থাকতে চান। তিনি গত কয়েক মাস ধরে অর্থনীতি নিয়ে যেসব নীতির কথা বলেছেন সেগুলোরই পুনরাবৃত্তি করেছেন। ট্রাম্প ও হ্যারিসের একই বক্তব্য বারবার বলা, বিজ্ঞাপন ও দলীয় স্বেচ্ছাসেবীদের তৎপরতা সুইং ভোটারদের জন্য কিছুটা ক্লান্তিকর হয়ে উঠেছে। ভোটারদের মন জয় করার জন্য রাজনৈতিক কর্মীরা সেখানকার ভোটারদের ঘরে ঘরে যাচ্ছেন। এসব কিছুই অবশ্য প্রমাণ করে, সেখানে কতটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে।
বিবিসির যুক্তরাষ্ট্র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট কাট্টি কে লিখেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা সাতটি ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যের ছয়টিতে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। শুক্রবার ভার্জিনিয়াতে সমাবেশ করে গেছেন ট্রাম্প। আগের দু’টি নির্বাচনে তিনি সেখানে বড় ব্যবধানে হেরেছেন।
রোববার ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জেডি ভান্স নিউ হ্যাম্পশায়ারে গেছেন। জরিপ অবশ্য বলছে, কমলা হ্যারিস সেখানে কিছু পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। সর্বশেষ নিউ ইয়র্ক টাইমস-সিয়েনা জরিপ অনুযায়ী তুমুল লড়াই হচ্ছে। প্রতিটি সুইং স্টেটে ব্যবধান খুব সামান্য। এ বছরের নির্বাচনে সুইং স্টেট হিসাবে পরিচিত পাওয়া রাজ্যগুলোর মধ্যে আছে অ্যারিজোনা, পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, উইসকনসিন, মিশিগান, নর্থ ক্যারোলাইনা ও নেভাদা। এসব রাজ্যের ভোটারদের জয় করতে শেষ মুহূর্তের চেষ্টা করেছেন দুই প্রার্থী। নিউ ইয়র্ক টাইমসের গতকাল সোমবারের সবশেষ জরিপে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে ছিলেন। যদিও গত কয়েক মাসের ধারাবাহিত জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে এক পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন কমলা। গতকাল সোমবারের সবশেষ জরিপ অনুসারে পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৯ শতাংশ সমর্থন, আর কমলা পেয়েছেন ৪৮ শতাংশ। মিশিগানে কমলা ও ট্রাম্প সমান ৪৮ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন। নর্থ ক্যারোলিনায়ও ট্রাম্প ও কমলার সমান সমর্থন ৪৮ শতাংশ। কিন্তু নেভাদায় ট্রাম্প ৪০ শতাংশ সমর্থন পেলেও কমলা পেয়েছেন ৪৮ শতাংশ। উইসকনসিনেও কমলার চেয়ে এক শতাংশ বেশি সমর্থন পেয়েছেন ট্রাম্প। তিনি পেয়েছেন ৪৯ শতাংশ, আর কমলা পেয়েছেন ৪৮ শতাংশ সমর্থন। জর্জিয়াতেও কমলার চেয়ে এক শতাংশ বেশি সমর্থন পেয়েছেন ট্রাম্প। সেখানে ট্রাম্প ও কমলার পাওয়া সমর্থন যথাক্রমে ৪৯ ও ৪৮ শতাংশ। এ দিকে অ্যারিজোনায় ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বী কমলার চেয়ে ৪ শতাংশ সমর্থন বেশি পেয়েছেন। তিনি ৫০ শতাংশ সমর্থন পেলেও কমলা পেয়েছেন ৪৬ শতাংশ। আইওয়াতে নতুন জরিপে দেখা যাচ্ছে, কমলা হ্যারিস সেখানে অপ্রত্যাশিতভাবে ভালো করতে পারেন। ট্রাম্প আগের দু’টি নির্বাচনে সেখানে জয়ী হয়েছিলেন। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আর ডেমোক্র্যাট দলীয় কমলা হ্যারিসের মধ্যে ব্যাপক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে অন্যান্য জনমত জরিপেও।
দোদুল্যমান রাজ্য কী?
যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্যই প্রতিটা নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে একই দলকে ভোট দিয়ে আসে। আমেরিকান নির্বাচনে রিপাবলিকান দুর্গ বলে পরিচিত এই অঙ্গরাজ্যগুলোকে বলা হয় রেড স্টেট বা লাল রাজ্য। আর ডেমোক্র্যাটদের প্রাধান্য পাওয়া স্টেটগুলোকে বলা হয় ব্লু স্টেট বা নীল রাজ্য। ফলে এসব রাজ্য নিয়ে প্রার্থীদের খুব বেশি চিন্তা করতে হয় না বা মনোযোগ দিতে হয় না। কিন্তু হাতে গোনা কিছু অঙ্গরাজ্য আছে যে রাজ্যগুলোর ভোট প্রার্থীদের কারণে যেকোনো শিবিরে যেতে পারে।
ফলে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা নির্দিষ্ট কিছু সুইং স্টেটের দিকে নজর দেন যেখানে ভোট কোন পার্টির পক্ষে যাবে, তা নির্দিষ্ট করে বোঝা যায় না। এগুলোই হলো আমেরিকান নির্বাচনের ব্যাটলগ্রাউন্ড বা নির্বাচনী রণক্ষেত্র। এগুলোকেই অনেকে বলে থাকে বেগুনি রাজ্য। প্রার্থীদের কাছে এসব অঙ্গরাজ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। যেগুলোকে বলা হয় ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট বা নির্বাচনী রণক্ষেত্র। আর এই অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটই শেষ পর্যন্ত হয়ে দাঁড়ায় জয় পরাজয়ের মূল চাবিকাঠি। এই রাজ্যগুলোতেই হয় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, পেনসিলভানিয়া এবং উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যগুলো ২০১৬ সালে এভাবেই ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট হয়ে উঠেছিল। প্রত্যেক নির্বাচনের সময় দেখা গেছে যেসব রাজ্যের ভোট বেশি, প্রার্থীরা সেসব রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারণার পেছনে অনেক বেশি সময় ও অর্থ ব্যয় করে থাকেন।
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে সব কিছু করার অঙ্গীকার কমলার : ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। টানা ১৩ মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে এবং গুরুত্বপূর্ণ এই ভোটে এখন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে গাজায় চলমান যুদ্ধের বিষয়টি।
আর এরই অংশ হিসেবে ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস বলেছেন, গাজায় চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে তিনি তার ক্ষমতার সব কিছু করবেন। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে কমলা হ্যারিস স্থানীয় সময় রোববার রাতে ইস্ট ল্যান্সিংয়ের মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে সমাবেশে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি বলেন, গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আমি আমার ক্ষমতার সব কিছু করব।
যুক্তরাষ্ট্রের এই মিশিগানেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আরব-আমেরিকান নাগরিক বাস করেন এবং সেটা মাথায় রেখেই কমলা এই বক্তব্য দেন। এর আগে গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন, ডিসিতে দেয়া বক্তৃতায় কমলা হ্যারিস কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প কে এবং তার বিজয় হলে কী হবে তা বলেছিলেন। পরে কমলা এজেন্ডা এবং আরো সহযোগিতামূলক, দ্বিপক্ষীয় ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন। তবে রোববার রাতে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের সাথে জনাকীর্ণ একটি ফিল্ডহাউজে কমলা উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। আমি এটি সম্পর্কে খুব আশাবাদী। অবশ্য ডোনাল্ড ট্রাম্প গত শুক্রবার সবচেয়ে বড় আরব-সংখ্যাগরিষ্ঠ শহর ডিয়ারবোর্নে প্রচারণা চালান। সেখানে তিনি কিছু ক্ষোভকে পুঁজি করে কথা বলেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে সঙ্ঘাতের বিষয়ে ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করার পাশাপাশি ইসরাইলের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়েও কথা বলেন।
আমার হোয়াইট হাউজ ছেড়ে যাওয়া উচিত হয়নি : ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল এবং তারপর মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউজ ত্যাগের স্মৃতি স্মরণ করে আফসোস জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি, সেই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিরুদ্ধে কারচুপির যে অভিযোগ ট্রাম্প তুলেছিলেন, তা পুনর্ব্যক্তও করেছেন তিনি। রোববার পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের লিটিৎজ শহরে আয়োজিত এক প্রচারণা সভায় ট্রাম্প বলেন, ডেমোক্র্যাটিক পার্টি হলো একটি দুর্নীতি-কারচুপির মেশিন। ২০২০ সালের নির্বাচনে শুধু তাদের কারচুপির কারণে আমাদের পরাজিত হতে হয়েছিল।
আসলে আমার হোয়াইট হাউজ ছেড়ে যাওয়া উচিত হয়নি। মানে, সত্যিকার অর্থেই আমরা ভালো করছিলাম একটা কারচুপির ফলাফল আমরা মেনে নিলাম, আর চোখের সামনে দেখলাম- চার বছরে কিভাবে একটু একটু করে একটি মহান দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হলো। ২০২০ সালের নির্বাচনে সাধারণ বা পপুলিস্ট এবং ইলেকক্টোরাল কলেজ-উভয় ভোটেই ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের থেকে পিছিয়ে থাকায় পরাজিত হন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেননি তিনি।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনেন তিনি, এমনকি ভোট পুনর্গণনা ও ফলাফল পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে বেশ কয়েকটি আদালতে মামলাও করেন তিনি। তেমনি ২০২১ সালের ৬ নভেম্বর বাইডেনকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটলে যে বিশেষ অধিবেশন বসেছিল, সেখানে হামলা চালিয়েছিল কয়েক শ’ উগ্র ট্রাম্প সমর্থক।
এ হামলার উসকানিদাতা হিসেবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও মামলা করেছিল বাইডেন প্রশাসন। তবে গত বছর সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আর নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তনের দাবিতে যেসব মামলা করেছিলেন ট্রাম্প, সেগুলো খারিজ করা হয়েছে ২০২২ সালে।
এ হামলার উসকানিদাতা হিসেবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও মামলা করেছিল বাইডেন প্রশাসন। তবে গত বছর সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আর নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তনের দাবিতে যেসব মামলা করেছিলেন ট্রাম্প, সেগুলো খারিজ করা হয়েছে ২০২২ সালে।