০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১,
`

রিপাবলিকান অঙ্গরাজ্য আইওয়ায় এগিয়ে কমলা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
-


রিপাবলিকান অঙ্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত আইওয়ায় নতুন এক জনমত জরিপে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। যুক্তরাষ্ট্রের ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তিন দিন আগে শনিবার প্রকাশিত ডে মইন রেজিস্টার সংবাদপত্র ও মিডিয়াকম কমিউনিকেশন করপোরেশনের যৌথ জরিপের ফলাফলে এমনটি দেখা গেছে।
২০১৬ ও ২০২০ এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই অঙ্গরাজ্যে সহজ জয় পেয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু এ জরিপে এবার বাতাস ঘুরে যেতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। রয়টার্স বলছে, সম্ভবত অঙ্গরাজ্যটির নারী ভোটারদের কারণে এই পরিবর্তন ঘটছে। নির্বাচনে হ্যারিস জয়ী হলে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে প্রথমবারের মতো একজন নারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবেন।
আইওয়ায় ২৮ থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে পরিচালিত ডে মইন রেজিস্টার ও মিডিয়াকমের জরিপে ৮০৮ জন সম্ভাব্য ভোটার অংশ নেন। তাদের মধ্যে ৪৭ শতাংশ হ্যারিসের পক্ষে ও ৪৪ শতাংশ ভোটার ট্রাম্পের পক্ষে সমর্থন জানান। এই জরিপে সম্ভাব্য গ্রহণযোগ্য ভুলের মাত্রা ধরা হয়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। এর আগে সেপ্টেম্বরে আইওয়ায় পরিচালিত আরেকটি জরিপে ট্রাম্প ৪ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন বলে ডে মইন রেজিস্টার সংবাদপত্র জানিয়েছে।

গত বছরগুলোতে আইওয়ায় গভীরভাবে রিপাবলিকান প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলার ক্লিনটনের চেয়ে ৯ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে এবং ২০২০ সালে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের চেয়ে ৮ শতাংশ ভোট বেশি পেয়ে অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল ভোটগুলো নিজের ব্যাগে ভরেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু নির্বাচনের প্রায় শেষ মুহূর্তে জনমতের এ প্রতিফলনের বিষয়ে ডে মইন রেজিস্টার বলেছে, “জরিপে দেখা গেছে নারীরা, বিশেষভাবে যারা কিছুটা বয়স্ক এবং রাজনৈতিকভাবে স্বনির্ভর তারা শেষের দিকে এসে হ্যারিসের দিকে ঝুঁকছেন।”
ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির একটি মেমো প্রকাশ করে ডে মইন রেজিস্টারের জরিপের ফলাফলকে ‘পরিষ্কার অস্বাভাবিক’ বলে আখ্যায়িত করেছে। বরং শনিবার প্রকাশিত এমারসন কলেজের জরিপে আরো নিবিড়ভাবে আইওয়ার ভোটারদের প্রবণতা প্রকাশ পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছে তারা। রয়টার্স জানায়, এমারসন কলেজ পোলিং ও রিয়েলক্লিয়ারডিফেন্সের যৌথ জরিপে ১ থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় একই সংখ্যক সম্ভাব্য ভোটারের মতামত নেয়া হয়। এই জরিপে স্পষ্ট ভিন্ন ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে দেখা গেছে অঙ্গরাজ্যটিতে ট্রাম্প হ্যারিসের চেয়ে ১০ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। এই জরিপেও সম্ভাব্য গ্রহণযোগ্য ভুলের মাত্রা ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।

এমারসন কলেজের জরিপে দেখা গেছে, পুরুষ ও স্বতন্ত্র ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে হ্যারিসের চেয়ে ট্রাম্পের জনসমর্থন অনেক বেশি, কিন্তু ৩০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে হ্যারিসের ভালো গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। জাতীয়ভাবে হোয়াইট হাউজে যাওয়ার দৌঁড়ে পরস্পরের সাথে পাল্লা দিয়ে লড়ছেন হ্যারিস ও ট্রাম্প। মঙ্গলবার নির্বাচনের দিন হলেও যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আগাম ভোট গ্রহণ আগেই শুরু হয়েছে।
আইওয়াতে যে প্রার্থীই জয়ী হবেন অঙ্গরাজ্যের ছয়টি ইলেকটোরাল ভোট তার পক্ষে যাবে। হোয়াইট হাউজে যেতে হলে একজন প্রার্থীকে অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হবে। নির্বাচনের আগে শেষ মুহূর্তের প্রচারে উভয় দল দোদুল্যমান হিসেবে পরিচিত অঙ্গরাজ্যগুলোতে বেশি জোর দিচ্ছেন। এবারের নির্বাচনে পেনসিলভ্যানিয়া, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, মিশিগান, উইসকনসিন, অ্যারিজোনা ও নেভাদা- এ সাতটি অঙ্গরাজ্য দোদুল্যমান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement