অস্তিত্ব রক্ষায় পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির হুমকি ইরানের
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১১
অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ইরান তার সামরিক নীতিতে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে। এমনকি পারমাণবিক অস্ত্রের দিকেও ঝুঁকতে পারে। গত শুক্রবার তেহরানে লেবাননের আল-মায়াদিন নিউজ চ্যানেলকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ হুঁশিয়ারি দেন ইরানের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কৌশলগত পরিষদের প্রধান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল খাররাজি। তিনি বলেন, প্রজাতন্ত্র ইরানের অস্তিত্বের জন্য হুমকি তৈরি করা হলে আমরা নিশ্চিতভাবে আমাদের সামরিক নীতিতে আমূল পরিবর্তন আনব। দেশের ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বৃদ্ধি করা হতে পারে। খবর : টাইমস অব ইসরাইল ও এপি।
তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা অর্জন করেছে ইরান। কিন্তু গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরির বিরুদ্ধে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির ফতোয়ার কারণে তা তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি সামরিক নীতিতে ‘আমূল পরিবর্তন’ বলতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ফতোয়া পরিবর্তন বুঝিয়েছেন বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
সাক্ষাৎকারে ইরান এত দিন ইউরোপীয় দেশগুলোর কারণে নিজের ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়ায়নি বলে জানান কামাল খাররাজি। তিনি বলেন, এতদিন আমরা পশ্চিমাদের, বিশেষ করে ইউরোপীয়দের স্পর্শকাতরতার কথা বিবেচনা করেছি। কিন্তু যখন তারা আমাদের ব্যাপারে বিশেষ করে ইরানের ভৌগোলিক অখণ্ডতার ব্যাপারে স্পর্শকাতরতা দেখাতে ব্যর্থ হবে তখন তাদের স্পর্শকাতরতা বিবেচনা করার কোনো কারণ থাকবে না। ইরানের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাজেই, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বৃদ্ধি করার একটি সম্ভাবনা রয়েছে।
কঠোর হুঁশিয়ারি খামেনির
এ দিকে ইসরাইলের পাশাপাশি এবার যুক্তরাষ্ট্রকেও কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। গতকাল শনিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইরান ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খামেনি। ১৯৭৯ সালে তেহরানের মার্কিন দূতাবাস দখলের বার্ষিকীর আগে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভাষণ দেন খামেনি। ভাষণে তিনি বলেন, ইহুদিবাদী শাসন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেই হোক না কেন, ইরান, ইরানি জাতি ও প্রতিরোধ গোষ্ঠীর ওপর যা করছে তার জন্য অবশ্যই কঠিন প্রতিক্রিয়া পাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
৮৫ বছর বয়সী খামেনি এমন এক সময়ে এই মন্তব্য করলেন যখন ইসরাইলের ওপর আরেকটি হামলা চালানোর হুমকি বাড়াচ্ছেন ইরানি কর্মকর্তারা। এর আগে গত ২৬ অক্টোবর ইরানের সামরিক ঘাঁটি ও অন্যান্য স্থানে হামলা চালায় ইসরাইল। এতে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হন। তবে নির্দিষ্ট কোনো আক্রমণের সময় বা পরিসর নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি সর্বোচ্চ এই নেতা।
অন্য দিকে ইরানের পাল্টা জবাব মোকাবেলা করার জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ইসরাইল। ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর একটি সূত্র সিএনএনকে এই তথ্য জানিয়েছে। সূত্রটির তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলের হামলার জবাব দিতে ইরাকি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর সাহায্য নিতে পারে ইরান। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওয়েস জানিয়েছিল, ইসরাইলের হামলার জবাব দিতে ইরান প্রতিবেশী ইরাকের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে পারে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা