২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

গণতন্ত্রের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে

নয়া দিগন্তের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পাঠক-শুভাকাক্সক্ষীদের প্রত্যাশা
প্রতিষ্ঠার দুই দশক পূর্তির উৎসবে কেক কাটছেন অতিথিরা : নয়া দিগন্ত -

গত ১৫ বছর ধরে নয়া দিগন্ত নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে সত্য প্রকাশ করেছে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই সংগ্রাম করেছে। একইভাবে বর্তমান স্বাধীন পরিবেশেও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই-সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।

গতকাল নয়া দিগন্ত প্রতিষ্ঠার দুই দশক পূর্তিতে রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তন ও টিকাটুলির অফিস কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা, সুশীলসমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সকালে বিয়াম মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, গত ১৫ বছর সংগ্রাম করে নয়া দিগন্ত টিকে আছে। তারপরও সংবাদ পরিবেশনে নয়া দিগন্ত সবসময় নিরপেক্ষ ভূমিকা রেখেছে। সেই সাথে সব ধর্মের সংবাদ পরিবেশন ছিল সমভাবে। তাদের প্রতিটি সংবাদকর্মী ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এখন মেঘ কেটে গেছে। তিনি বলেন, আমরা একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে কাজ করছি। এজন্য আমি আগে থেকেই সবার ঐক্য নিয়ে লিখালিখি করেছিলাম। সেসব লেখা প্রকাশের মাধ্যমে নয়া দিগন্ত আমাকে সমাজে একটি পরিচয় এনে দিয়েছিল। যা আমার উপদেষ্টা হওয়ার প্লাটফর্মও তৈরি করেছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, নয়া দিগন্ত শুধু একটি পত্রিকাই নয়, এটি একটি প্রতিবাদ। আমরা এখানে এসেছি সেই প্রতিবাদকে সম্মান জানাতে। নয়া দিগন্ত দেশের মানুষের জন্য অবদান রেখে চলেছে জানিয়ে তিনি বলেন, গত ১৫ বছর সংবাদপত্রের গলা চেপে রেখেছিল সরকার। গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। গত আড়াই মাসেও কেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হলো না?

গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদের সময় আমি নয়া দিগন্ত থেকে প্রকৃত সত্য জানতে পেরেছি, পড়তে পেরেছি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, এজন্য আমার কাছে প্রিয় সংবাদপত্র নয়া দিগন্ত। অনেক কঠিন সময় পার করেছে, তবুও এ পত্রিকাটি পিছ-পা হয়নি। আমি নয়া দিগন্তের কল্যাণ কামনা করি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো: তাহের বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে রাজনৈতিক দলগুলো যেমন লড়াই সংগ্রাম করেছে, তেমনি নয়া দিগন্তও সংগ্রাম করেছে। তাদের কর্মীরা ঠিকমতো বেতন না পেয়েও পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন। ফ্যাসিবাদ তোয়াক্কা না করে তারা সত্য লিখে গেছেন।

তিনি আরো বলেন, গত ৫ আগস্ট আমাদের বিজয় হয়েছে। কিন্তু সব সমস্যার সমাধান হয়নি। একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। এটাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। আবার যেন চাঁদাবাজি, অত্যাচার ফিরে না আসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ২৪ সালের নতুন স্বাধীনতা আমাদের যে সুযোগ দিয়েছে তা কাজে লাগাতে হবে।
দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের চেয়ারম্যান শিব্বির মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন, নয়া দিগন্তের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সালাহউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর। সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন সবাইকে ধন্যবাদ জানান। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়–য়া, নয়া দিগন্তের পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুছ ও খন্দকার এনায়েত হোসেন, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদ, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার ইকতেদার আহমেদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা: মোজাহেরুল হক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ, পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আব্দুল্লাহ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান কাদের ও আব্দুল হান্নান মাসুদ, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা মুহিউদ্দিন রব্বানী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন নয়া দিগন্তের নির্বাহী সম্পাদক মাসুমুর রহমান খলিলী। সঞ্চালনা করেন সাহিত্য সম্পাদক কবি জাকির আবু জাফর। কুরআন তেলাওয়াত করেন অনলাইনের সাব-এডিটর মুফতি আবু সাঈদ। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা শেষে উপস্থিত সবাইকে নিয়ে ২৫ পাউন্ডের একটি কেক কাটা হয়।

বিকেলে নয়া দিগন্ত কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনের সভাপতিত্ব্ েও নির্বাহী সম্পাদক মাসুমুর রহমান খলিলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সালাহউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর। আরো বক্তৃতা করেন মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম-মহাসচিব উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা প্রমুখ।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা ডা: রফিকুল ইসলাম, মীর সরাফত আলী সফু, শিরিন সুলতানা, রেহানা আক্তার রানু, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আব্দুল খালেক, শায়রুল কবির খান, রোকসানা খানম মিতু, ফরিদা আখতার, ফারজানা রহমান হোসনা, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, নায়েবে আমির ড. অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান, সহকারী অফিস সম্পাদক আব্দুস সাত্তার সুমন, প্রচার ও মিডিয়া সহকারী সাইফুল ইসলাম মিঠু, মাহফুজুর রহমান, রুবেল ইসলাম, নাইম আহমেদ, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুল জলিল, প্রচার সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাফিজ খসরু, ইসলামী আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, ১২ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে এহসানুল হুদা, মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, নুরুল আমিন ব্যাপারী, লায়ন ফারুক, শামসুদ্দিন পারভেজ, মাওলানা আবদুল করিম, হোমল্যান্ড আবাসন লিমিটেডের প্রধান মাকুসদ জামিল, ডিইউজে সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব বাছির জামাল, বাসসের এমডি মাহবুব মোর্শেদ, মিরেরসরাই দরবারের পীর মাওলানা আব্দুল মোমেন নাসেরী, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সুলতান মহিউদ্দিন, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন, অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি মো: মহসিন রশিদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবু হানিফ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা সালেহ আহমদ আজম ও মাওলানা আবুল কাসেম ইসলামাবাদী, প্রচার সম্পাদক সৈয়দ তালহা আলম, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্র জমিয়ত সভাপতি নিজামুদ্দীন আল আদনান, ছাত্র জমিয়তের কেন্দ্রীয় সভাপতি খালেদ মাহমুদ, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যন অধ্যাপক মৌলানা ইলিয়াছ মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব মৌলানা ইলিয়াছ আতহারি, সহকারী মহাসচিব শেখ মো: ইসমাইল, সংগঠন সচিব আ ন ম রহিমুল্লাহ, প্রচার সচিব মাওলানা আনোয়ার হোসেন আনসারী, সমাজ কল্যাণ সচিব মাওলানা ফয়েজ উল্লাহ, ঢাকা মহানগর যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হক, ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, অর্থ সম্পাদক মো: জাকির হুসাইন, কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য মো: শরীফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো: মিজানুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মো: ফারুক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ হামিদুর রহমান, প্রকাশনা সম্পাদক মো: জাকির হোসেন, গণ অধিকার পরিষদের ফারুক হাসান ও তারেক হাসান, ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের আম্পায়ার ও জাতীয় দলের কোচ রাজু আহমেদ, হকি ফেডারেশনের আম্পায়ারস বোর্ডের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম কিসমত, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোরসালিন ইসলাম বাবু, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো: ময়নুল ইসলামের পক্ষে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো: ইনামুল হক সাগর এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপপ্রধান তথ্য অফিসার) এ কে এম কামরুল আহছান।
র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যা ব) মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমানের পক্ষে শুভেচ্ছা জানান আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মো: মুনিম ফেরদৌস, উপপরিচালক সিনিয়র এএসপি আল-আমিন সরকার, সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি শেখ মুত্তাজল ইসলাম।

ডিএমপি কমিশনার মাইনুল ইসলামের পক্ষে শুভেচ্ছা জানান মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের এডিসি ওবায়দুর রহমান এবং এসি মো: জাহাঙ্গীর কবির, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক ইসমাইল হুসাইন ইমু।
আরো শুভেচ্ছা জানান ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম-এনডিএফের অর্থ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ডা: হাসানুল বান্না, সহকারী অধ্যাপক ডা: জিয়াউল হক, ডা: নাজমুল আরেফিন, সিনিয়র সাংবাদিক হাসনাত করিম পিন্টু, জার্নালিস্ট কমিউনিটি অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক মো: মাহফুজুর রহমান, সহ-আহ্বায়ক জিয়াউল হক সবুজ, সদস্যসচিব মো: মিয়া হোসেন, সদস্য মো: মুস্তাফিজুর রহমান ও নাজমুল ইসলাম ফারুক, ঢাকা সংবাদপত্র হকার্স সমিতির উপদেষ্টা সরোয়ার হোসেন, সহসভাপতি বেলাল খান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সার্কুলেশন ম্যানেজার মো: আবুল কালাম, সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ সমিতির সভাপতি সালাউদ্দিন মোহাম্মদ নোমান, বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিবহন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আকতার হোসেন রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আসরাফ উদ্দিন ভুঁইয়া মিলন, বাংলাদেশ সংবাদপত্র এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ হাসিম, আনোয়ার শিকদার, আব্দুল মতিন, ফিরোজ কামাল, আব্দুল আলিম মজুমদার রান্টু, শহীদুল ইসলাম বকুল, বাংলাদেশ সংবাদপত্র এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আইয়ুব খান, সহসভাপতি আল হারুন, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, নিউটাউন সোসাইটির যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন শিকদার, সদস্যসচিব আবু জাফর, সদস্য ডা: দেলোয়ার জাহান ইমরান, খাজা মাসুম বিল্লাহ কাওসারী, সুশীল ফোরামের জাহিদ হোসেন প্রমুখ।

শিব্বির মাহমুদ বলেন, পতিত সরকার দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। পরিকল্পিতভাবে পাট, চামড়া শিল্প ধ্বংস করেছে। এর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। হাসিনা যে হেলিকপ্টারে করে পালিয়ে গিয়েছেন সেটি জাদুঘরে রাখা হোক। তাহলে ভবিষ্যতেও জাতি স্বৈরাচারদের সম্পর্কে জানতে পারবে।
নয়া দিগন্তের প্রতি ভালোবাসার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা এক প্রকার মোহাবিষ্ট হয়েই এর সাথে আছি। অনেকে ক্ষতির শিকার হয়েছেন, বেতন না পেয়েও নয়া দিগন্তকে বাঁচিয়ে রাখতে কাজ করে গেছেন।

আলমগীর মহিউদ্দিন বলেন, ‘সত্যের সঙ্গে প্রতিদিন’ এ স্লোগানকে ধারণ করে নয়া দিগন্তের পথ চলা শুরু হয়েছিল। আমরা আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করি।

সালাহউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর নয়া দিগন্তের গত ১৫ বছরের লড়াই সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরে বলেন, আমাদের অনেক পরিচালককে সর্বস্বান্ত করে দেয়া হয়েছে। অনেকের ওপর চরম নির্যাতন করা হয়েছে। কর্মীরা বেতন না পেয়েও বছরের পর বছর কাজ করে গেছেন শুধু নয়া দিগন্তকে ভালোবেসে। এ চরম দুর্দিনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ যেসব দল পাশে ছিল, পাঠক, শুভানুধ্যায়ীসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, গত ১৫ বছর দেশে গণতন্ত্রের যে লড়াই, সে লড়াইয়ে নয়া দিগন্ত সাহসী ভূমিকা পালন করেছে। পত্রিকাটি সব সময় আমাদের পাশে ছিল। কারাগারে নয়া দিগন্ত পড়তে দিতো না। সেজন্য আদালতে আসলে নয়া দিগন্ত সংগ্রহ করে মুড়িয়ে গোপনে কারাগারে নিয়ে তারপর পড়তাম। সব সময় মনে হতো নয়া দিগন্ত থেকে কোনো একটি সত্য মেসেজ পাবো। বিপ্লবের দিনগুলোতে নয়া দিগন্তের যে ভূমিকা তা আমাদের স্মরণ রাখতে হবে।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, নয়া দিগন্তের দুই দশক পূর্তিতে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি যিনি মাথার ঘাম পায়ে ফেলে টাকা সংগ্রহ করে নয়া দিগন্ত ও দিগন্ত টিভি চালু করেছিলেন, দেশের ইসলামী অর্থনীতির অন্যতম পুরোধা শহীদ মীর কাসেম আলীকে। এক সময় এ পত্রিকা বাড়িতে রাখাও বিপজ্জনক ছিল। কিন্তু মানুষ আস্থা ও বিশ্বাসের কারণে ঝুঁকি নিয়েও নয়া দিগন্ত গোপনে বাড়িতে রাখতো। বস্তুনিষ্ঠ খবর পেতে মানুষ নয়া দিগন্তের দিকে তাকিয়ে থাকতো। এটা একটি পত্রিকার জন্য বড় অর্জন।

নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, নয়া দিগন্তকে অনেক চড়াই উতরাই পার হতে হয়েছে। কিন্তু কখনো লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়নি। অনেক সঙ্কট মোকাবেলা করতে হয়েছে। এখনো সঙ্কট পুরোপুরি কাটেনি। এর মধ্যেও নয়া দিগন্ত ঝুঁকি নিয়ে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। আগামীতেও নয়া দিগন্ত দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাবে এ প্রত্যাশা করছি।

মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, নয়া দিগন্ত প্রতিষ্ঠায় অনেক ইতিহাস আছে। গত ১৫ বছরে আমাদের প্রতিটি কর্মীকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হেেছ। যারা পত্রিকার সাথে জড়িত তারা নয়া দিগন্তের নাম নিলেও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এখন এটি দেশের প্রথম সারির পত্রিকা। এজন্য গর্ববোধ হচ্ছে। আগামীতে নয়া দিগন্ত সত্যের সঙ্গে প্রতিদিন এ স্লোগানকে ধারণ করে এগিয়ে যাবে।

ইকতেদার আহমেদ বলেন, ১/১১ এর সরকারের কোনো বৈধতা সংসদের দেয়া হয়নি। এর ধারাবাহিকতায় পরবর্তী তিনটি নির্বাচন হয়েছে। ফলে সে তিনটি নির্বাচনও অবৈধ। বর্তমান সরকারের কাছে দাবি একটি অবাধ নির্বাচন। এজন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন তা করে নির্বাচন দিন। এজন্য সংবিধান সংশোধন বা পুনঃলিখন যেটি প্রয়োজন হয় সেটি করুন।

সুকোমল বড়–য়া বলেন, সংবাদপত্র জাতির দর্পণ। জাতির আশা-আকাক্সক্ষার কথা তুলে ধরে সংবাদপত্র। সেক্ষেত্রে নয়া দিগন্ত সঠিক ভূমিকা পালন করছে। নয়া দিগন্ত একটি সর্বজনীন ও অসম্প্রদায়িক পত্রিকা।

শফিকুল আলম বলেন, গত ১৫ বছরে বিপরীত ভয়েজ বন্ধ করার ভয়ঙ্কর চেষ্টা হয়েছে। তারা একটি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র কায়েম করতে চেয়েছে। এর মধ্যেও নয়া দিগন্ত সত্য ও পেশাদার সংবাদপত্রের চর্চা করে গেছে। এজন্য এ অনুষ্ঠানে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, গণমাধ্যম যে কতটা দাসত্বপনা করতে পারে তা আমরা গত ১৫ বছরে দেখেছি। অনেক গণমাধ্যম ফ্যাসিবাদকে সমর্থন করেছে, তাদের সহযোগিতা করেছে। কিন্তু তাদের মধ্যে এখনো লজ্জাবোধ নেই। বর্তমান সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারতো, কিন্তু নিচ্ছে না। কারণ সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চায়। এখন গণমাধ্যমকেই নিজেদের মধ্যের শুদ্ধিটা করতে হবে।

এম আব্দুল্লাহ বলেন, সংবাদমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়নি। এখনো অনেক পত্রিকা-টিভিতে উসকানিমূলক সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। বিষয়টি আমাদের ভেবে দেখতে হবে। নয়া দিগন্ত প্রথম দিন থেকেই সত্যের সাথে প্রতিদিন স্লোগানকে ধারণ করে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কলম চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য তাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।

আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ফ্যাসিবাদী আন্দোলনের সময় নয়া দিগন্ত সব সময় আমাদের পাশে ছিল। এজন্য তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা। নয়া দিগন্তসহ কয়েকটি গণমাধ্যম যদি আন্দোলনকে সহযোগিতা না করতো তাহলে বিজয় কঠিন হতো।

আব্দুল হান্নান কাদের বলেন, পতিত সরকার দেশে আইয়ামে জাহেলিয়াত কায়েম করেছিল। সে সময় অনেক মিডিয়া কুক্ষিগত করে রেখেছিল সরকার। ফ্যাসিবাদী হাসিনা থেকে দেশকে বাঁচাতে তরুণ সমাজ রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ে জাতিকে রক্ষা করেছে। এ সময় ¯্রােতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে নয়া দিগন্ত তরুণ সমাজের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। এজন্য তাদের সাধুবাদ জানাই।

হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, ৫ আগস্ট ও নয়া দিগন্ত অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। গত ১৫ বছরে নয়া দিগন্ত বুক টান করে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। এজন্য চরমোনাই পীরের পক্ষ থেকে নয়া দিগন্তের প্রতি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

মাওলানা মুহিউদ্দিন রব্বানী বলেন, গত ১৫ বছরে নয়া দিগন্ত সত্য সংবাদ পরিবেশন করেছে। তারা জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে। কিন্তু অনেক গণমাধ্যম ফ্যাসিবাদের পক্ষ নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল