২১ অক্টোবর ২০২৪, ৫ কার্তিক ১৪৩০, ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

বিচারপতিদের অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল

রিভিউ নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগের আদেশ
সুপ্রিম কোর্টে প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল : নয়া দিগন্ত -

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণে সংসদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ করে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেছেন আপিল বিভাগ। রায়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করা হয়েছে। গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর ফলে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেয়া আপিল বিভাগের রায় বহাল রইল।
এ রায়ের ফলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ করা যাবে। কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে অসমর্থতা ও পেশাগত অসদাচরণের কোনো অভিযোগ উঠলে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া যাবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠিত হয় প্রধান বিচারপতি ও পরবর্তী জ্যেষ্ঠ দু’জন বিচারপতিকে নিয়ে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মো: রুহুল কুদ্দুস আদালতের অনুমতি নিয়ে শুনানিতে অংশ নেন।
আপিল বিভাগের আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে কোনো অভিযোগ করলে বা পেলে তারা প্রাথমিক একটি অনুসন্ধান করবেন। যাচাই বাছাই করে দেখবেন যে, অসদাচরণ বা দুর্নীতি (অর্থনৈতিক বা বুদ্ধিভিত্তিক) পাওয়া গেছে কি না। তাহলে রিপোর্টটা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন। রাষ্ট্রপতি বিচার-বিবেচনা করে তারপর আবার সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে পাঠাবেন। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল তখন ফুল তদন্ত করবেন। কাউন্সিলের দায়িত্ব হলো মিসকন্ডাক্ট প্রমাণিত হয়েছে কি হয়নি এটাসহ সুপারিশ পাঠাবেন। তিনি বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহালের ফলে বিচার বিভাগ দুর্বৃত্তায়ন রাজনীতির খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসল এবং স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনের একটা জায়গায় পেল।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল উনারা উনাদের কাছে কেউ অভিযোগ করলে বা পেলে একটি প্রাথমিক তদন্ত করবেন। এরপর যাচাই-বাছাই করে উনারা যদি দেখেন মিসকন্ডাক্ট বা দুর্নীতি হয়েছে; দুর্নীতি অর্থ শুধু অর্থনৈতিক দুর্নীতি নয় এখানে ইন্টেলেকচুয়াল দুর্নীতিটাও দুর্নীতি। সেই জায়গাটায় উনারা উনাদের মতো করে তদন্ত করবেন। তদন্ত করে গোপনীয়তার সাথে রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট পাঠাবেন। রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে আবার রেফার করবেন। উনারা উনাদের মতো দেখবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতির। তবে এখানে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত মেকানিক্যাল। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের দায়িত্ব হলো অসদাচরণ প্রমাণিত হয়েছে কি না, এটাসহ সুপারিশ পাঠানোর।
অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, এ পর্যন্ত একজন বিচারপতিকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়। সেটা ২০০৪ সালের ২০ এপ্রিল হয়েছিল। ওই সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে আমি সাক্ষী ছিলাম। তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায়কে রিভিউ করার জন্য অনেক আগে রিভিউ পিটিশন দায়ের করা হয়। সেখানে ৯৪টা গ্রাউন্ড দেখানো হয়েছিল রায় রিভিউ করার জন্য। আমরা এক্সামিন করেছি ৯৪টার মধ্যে একটা গ্রাউন্ডও গুড গ্রাউন্ড না। আমরা আদালতকে বলেছি ওই গ্রাউন্ড আমরা প্লেস করব না। আমরা অ্যাডিশনাল গ্রাউন্ড পেশ করেছি।
অপর দিকে শুনানিতে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ৯৪টা গ্রাউন্ডের কথা বলা হয়েছে। এগুলো আপিলে ছিল। এই রিভিউ রিজেক্ট করা উচিত। আর অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডিশনাল গ্রাউন্ডে যুক্তি পেশ করেছেন। পারপাস হলো বিচারকদের কিভাবে অপসারণ করা যায়। তিনি বলেন, এই রায়ের সময় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেন। এতে কোনো সমস্যা বা বাধা হয়নি। এখানে রিভিউটা সরাসরি খারিজ করার আবেদন করছি। এখানে অপরাপর কিছু প্রয়োজন মনে করলে অপনারা সেটা বলতে পারেন।
আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের ২ থেকে ৮ পর্যন্ত বিধান ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যম বাতিল করা হয়েছিল। এগুলো পুনর্বহাল করেছেন আপিল বিভাগ।
এই রায় ঐতিহাসিক বলে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
অপর দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষে শুনানিতে অভিমত দিয়েছেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল। তিনি জানান, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল সংক্রান্ত সংবিধানের ৯৬ (২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮) অনুচ্ছেদ বহাল করা হয়েছে। আর পর্যবেক্ষণসহ রিভিউ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
যেভাবে কাজ করে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল : ষোড়শ সংশোধনীতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বাতিলের আগে সংবিধানের এ সংক্রান্ত ৯৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, (২) অনুচ্ছেদের নিম্নরূপ বিধানাবলী অনুযায়ী ব্যতীত কোনো বিচারককে তাঁর পদ হতে অপসারিত করা যাবে না।
(৩) একটি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থাকিবে যাহা এই অনুচ্ছেদে ‘কাউন্সিল’ বলিয়া উল্লেখিত হইবে এবং বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারকের মধ্যে পরবর্তী যে দুইজন কর্মে প্রবীণ তাঁহাদের লইয়া গঠিত হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, কাউন্সিল যদি কোনো সময়ে কাউন্সিলের সদস্য এইরূপ কোনো বিচারকের সামর্থ্য বা আচরণ সম্পর্কে তদন্ত করেন, অথবা কাউন্সিলের কোনো সদস্য যদি অনুপস্থিত থাকেন অথবা অসুস্থতা কিংবা অন্য কোনো কারণে কার্য করিতে অসমর্থ্য হন তাহা হইলে কাউন্সিলের যাহারা সদস্য আছেন তাঁহাদের পরবর্তী যে বিচারক কর্মে প্রবীণ তিনিই অনুরূপ সদস্য হিসাবে কার্য করিবেন।
(৪) কাউন্সিলের দায়িত্ব হইবে- (ক) বিচারকগণের জন্য পালনীয় আচরণবিধি নির্ধারণ করা; এবং (খ) কোনো বিচারকের অথবা কোনো বিচারক যেরূপ পদ্ধতিতে অপসারিত হইতে পারেন সেইরূপ পদ্ধতি ব্যতীত তাঁহার পদ হইতে অপসারণযোগ্য নহেন এইরূপ অন্য কোনো পদে আসীন ব্যক্তির সামর্থ্য বা আচরণ সম্পর্কে তদন্ত করা।
(৫) যে ক্ষেত্রে কাউন্সিল অথবা অন্য কোনো সূত্র হইতে প্রাপ্ত তথ্যে রাষ্ট্রপতির এইরূপ বুঝিবার কারণ থাকে যে কোনো বিচারক-
(ক) শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে তাঁহার পদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করিতে অযোগ্য হইয়া পড়িতে পারেন, অথবা
(খ) গুরুতর অসদাচরণের জন্য দোষী হইতে পারেন, সেইক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি কাউন্সিলকে বিষয়টি সম্পর্কে তদন্ত করিতে ও উহার তদন্ত ফল জ্ঞাপন করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারেন।
(৬) কাউন্সিল তদন্ত করিবার পর রাষ্ট্রপতির নিকট যদি এইরূপ রিপোর্ট করেন যে, উহার মতে উক্ত বিচারক তাঁহার পদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে অযোগ্য হইয়া পড়িয়াছেন অথবা গুরুতর অসদাচরণের জন্য দোষী হইয়াছেন তাহা হইলে রাষ্ট্রপতি আদেশের দ্বারা উক্ত বিচারককে তাঁহার পদ হইতে অপসারিত করিবেন।
(৭) এই অনুচ্ছেদের অধীনে তদন্তের উদ্দেশ্যে কাউন্সিল স্বীয় কার্য-পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করিবেন এবং পরওয়ানা জারি ও নির্বাহের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের ন্যায় উহার একই ক্ষমতা থাকিবে।
১৯৭২ সালে প্রণীত মূল সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ছিল। ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এ ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে অর্পণ করা হয়। পরে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা দেয়া হয় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে। মার্শাল প্রক্লেমেশনে করা পঞ্চম সংশোধনীতে এক্ষেত্রে ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা হয়েছিল।
২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ষোড়শ সংশোধনীতে সেটা বাতিল করে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়া হয় সংসদকে। বিলটি পাসের পর একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
সংবিধানের এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ৯ আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৯ নভেম্বর এ সংশোধনী কেন অবৈধ, বাতিল ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সে রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ৫ মে হাইকোর্টের তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। সে আপিলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন। ফলে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে।
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ১ আগস্ট। বিচারপতি সিনহা তার লেখা রায়ে গণতন্ত্র, রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, সুশাসন, দুর্নীতি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দেন। রায়ে তার বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের সরকারের মন্ত্রী, দলীয় নেতা ও দলটির সমর্থক আইনজীবীরা। তারা প্রধান বিচারপতি সিনহার পদত্যাগের দাবি তোলেন।
একপর্যায়ে বিচারপতি সিনহা ছুটি নিয়ে বিদেশে চলে যান। তাকে অসুস্থতার কথা বলে ছুটিতে যেতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও তখন আলোচনা ছিল। যদিও ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর বিদেশে যাওয়ার প্রাক্কালে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, তিনি অসুস্থ নন, ক্ষমতাসীনদের সমালোচনায় তিনি বিব্রত। পরে অবশ্য বিদেশে থাকা অবস্থায়ই তিনি পদত্যাগ করেন। আর দেশে ফেরেননি। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
অপর দিকে গত ১৭ অক্টোবর এর আগে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারক উল্লেখ করে তাদের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে হাইকোর্টের ১২ বিচারপতিকে কোর্ট পরিচালনার জন্য বেঞ্চ দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। ওই দিন প্রধান বিচারপতি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞা। তিনি জানান, বিচারপতিদের অপসারণের কোনো বিধান এখন না থাকায় বিচারপতিদের অপসারণের বিধানসংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের রিভিউটি ২০ অক্টোবর আপিল বিভাগে ১ নম্বর আইটেমে শুনানির জন্য থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
নতুন চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড ডেন্টালের সভাপতি ডা: পরিমল মহাসচিব ডা: কবির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের সাথে স্বাস্থ্য ও তথ্য উপদেষ্টার মতবিনিময় বায়তুল মোকাররমে হামাস প্রধান সিনওয়ারের গায়েবানা নামাজে জানাজা পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সাথে ডিবিএর বৈঠক আজ মোহাম্মদপুরে ১১ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ মুফতি রেজাউল হককে অব্যাহতি অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান গণতান্ত্রিক ঐক্যের সাশ্রয়ী মূল্যে দুধ গোশত জোগানে খামারিদের সহায়তা জরুরি স্ত্রীসহ সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান ও এমপি ইকবালুরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা বিচারপতিদের অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল

সকল