২১ অক্টোবর ২০২৪, ৫ কার্তিক ১৪৩০, ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৬
`
নথিগুলোতে সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতির বর্ণনা রয়েছে

ইরানে হামলার গোপন মার্কিন নথি ফাঁস

উত্তর গাজার বাইত লেহিয়ায় ইসরাইলি হামলায় ধ্বংস হওয়া ভবন থেকে হতাহতদের উদ্ধার করছে কর্মীরা : আলজাজিরা -

ইরানে ইসরাইলের সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনা সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের অতি গোপন কিছু গোয়েন্দা নথি ফাঁস হয়েছে। এই ফাঁসের ঘটনার তদন্তে নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র। ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট তিন ব্যক্তির বরাতে এই তথ্য জানা গেছে। একজন নথির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। শনিবার এ নিয়ে প্রথম খবর প্রকাশ করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস। ১৫ ও ১৬ অক্টোবর তারিখ দেয়া নথিগুলো ‘মিডল ইস্ট স্পেকটেট’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে প্রকাশিত হয়। তবে গত শুক্রবার থেকে এগুলো অনলাইনে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সিএনএন।
সিএনএনকে নথি ফাঁসের এ ঘটনাকে ‘খুবই উদ্বেগজনক’ বলেছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা। নথিগুলোতে ‘অতি গোপনীয়’ চিহ্ন দেয়া আছে। চিহ্নগুলো দেখে মনে হচ্ছে- এগুলো শুধুই যুক্তরাষ্ট্র এবং এর ঘনিষ্ঠ ‘ফাইভ আইস’ ভুক্ত দেশ- অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও ব্রিটেন দেখতে পারবে। নথিগুলোতে ইরানের ওপর ইসরাইলের সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতির বর্ণনা রয়েছে। নথির অনুযায়ী, হামলা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েন করছে ইসরাইল। নথিগুলো তৈরি করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের একটি সংস্থা ‘ন্যাশনাল জিওসপ্যাটিয়াল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি’। নথিগুলো মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের অধীন আরেক গোয়েন্দা সংস্থা ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি’র সংগ্রহ করা।
গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসন ও তেহরানে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহতের জেরে গত ১ অক্টোবর ইসরাইলে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। এর প্রতিশোধ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইসরাইল। নথিতেও ইরানে হামলার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া চালানোর কথা বলা হয়েছে। তবে সিএনএন এসব নথি থেকে সরাসরি তথ্য উদ্ধৃত করেনি বা সেগুলো দেখেনি। নথি ফাঁসের এ ঘটনা এমন এক সময় ঘটল, যখন যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। ঘটনাটি এখন ইসরাইলিদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করবে।
নথি ফাঁস প্রসঙ্গে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনের কথিত এসব নথি কে বা কারা ফাঁস করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এ ধরনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (এফবিআই) পাশাপাশি পেন্টাগন ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তদন্তের কাজ করে। এফবিআই অবশ্য এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। নথিগুলো কিভাবে প্রকাশ্যে এলো? এগুলো কি হ্যাকড হয়েছে? নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁস করা হয়েছে। এসব প্রশ্নের উত্তর এখনো স্পষ্ট নয়। ইরানের হ্যাকিং তৎপরতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলেছে, এর আগে নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারসংক্রান্ত নথিপত্র গত আগস্টে হ্যাক করেছে ইরান। তবে নথি ফাঁসের ঘটনা সত্য হলে, একে নিরাপত্তার জন্য গুরুতর বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সাবেক উপসহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইক মুলরয়।


আরো সংবাদ



premium cement