২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৩ রজব ১৪৪৬
`
শেখ হাসিনাকে অ্যাটর্নি জেনারেল

সাহস থাকলে দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হন

-

অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগে কথায় কথায় তার বিরোধীদের সাহস থাকলে দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানাতেন। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিজের বক্তব্য আপনারা এক্সামিন (পর্যালোচনা) করে দেখেন। ওনারা (বিভিন্ন সময়ে অন্যদের) বলেছেন, সাহস থাকলে বাংলাদেশে এসে আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে বিচারের মুখোমুখি হন। আশা করি উনি এটা বিশ্বাস করেন এবং এটা ওনার জন্য ভালো হবে। গতকাল অ্যাটর্নি জেনারেল তার নিজ কার্যালয়ে ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ আদেশের বিষয়ে ব্রিফিং কালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ওনার বক্তব্য, উনি যে দর্শনে বিশ্বাস করেন, প্রত্যেকটা আসামির উচিত আদালতের সামনে এসে বিচারের মুখোমুখি হওয়া, উনি হয়তো সেটাই করবেন।
অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বলেন, এটা এখনো অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের বিষয় না। আইনের ব্যাখ্যা যদি বলেন, একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা আমাদের ট্রাইব্যুনাল জারি করেছেন। সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করতে শেখ হাসিনা কোথায় আছেন সেটা যদি প্রসিকিউশন টিম জানেন, তাহলে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেটা কার্যকর করা যেতে পারে। এ ছাড়া ইন্টারপোলের সহায়তা নেয়া যেতে পারে। ইন্টারপোল তখন আসামি যে দেশে আছেন, ওই দেশের আইনে কাভার করতে পারে কি না তা বিচার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালানো আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের এক মামলায় ১৭ অক্টোবর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো: শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো: মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। মামলার পরবর্তী তারিখ ১৮ নভেম্বর রেখে এই সময়ের মধ্যে আসামিকে আদালতে হাজির করতে বলা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement