১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩০, ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

নতুন ৪০ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশে বাংলাদেশের উদ্বেগ

-

মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে চলমান সঙ্ঘাত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে ৪০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে। এ ব্যাপারে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ইউ কিয়াও সোয়ে মোর কাছে উদ্বেগ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের আশু প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এই অভিমত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। আমাদের সম্পর্কের চ্যালেঞ্জগুলো অগ্রাধিকারভিত্তিতে সুরাহা করা প্রয়োজন। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা উভয় দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি অভ্যন্তরীণ সঙ্কট নিরসনে মিয়ানমার সরকার এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশীদাররা পরিস্থিতি মোকাবেলায় গঠনমূলক আলোচনায় বসবেন। এ সময় তিনি নতুন করে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের সাথে সম্পর্কিত মানব পাচার বৃদ্ধি ও সীমান্তে নিরাপত্তা হুমকির ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত ইউ কিয়াও সোয়ে মো মিয়ানমারে চলমান সঙ্ঘাতের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের কথা স্বীকার করে বলেন, ২০২৩ সালের নভেম্বরে আরাকান আর্মি যুদ্ধবিরতি ভাঙার কারণে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়েছে। তিনি প্রতিকূল পরিবেশে মিয়ানমার সেনাদের আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সাথে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। সেই সাথে আসিয়ান সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার মর্যাদা লাভের জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রতি মিয়ানমারের সমর্থন প্রত্যাশা করেন।
উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং ঢাকা ও ইয়াঙ্গুনের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট আবারো চালুর বিষয়ে আলোচনা করে। তারা দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় থাকা উপকূলীয় শিপিং চুক্তি চূড়ান্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement