গত তিন জাতীয় নির্বাচনের অনিয়ম চিহ্নিত করা হবে
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১১
গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত তিনটা জাতীয় নির্বাচনে ঘটে যাওয়া অনিয়ম ও ব্যত্যয়গুলো চিহ্নিত করা হবে। এরপর কিছু সুপারিশমালা তৈরি করে উপদেষ্টামণ্ডলীর কাছে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, আমরা আইন পর্যালোচনা করছি। সবচেয়ে বড় আইন হলো গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ। আরপিও আমরা গভীরভাবে পর্যালোচনা করছি। জাতীয় নির্বাচনের জন্য এটা মাদার অব ‘ল’। এরপর সীমানা পুনর্নিধারণ আইন আছে, ভোটার তালিকা আইন আছে, ইসি সচিবালয় আইন আছে, এ রকম অনেক আইন আছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে গতকাল দীর্ঘ বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান তিনি। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা একটা ওয়েবসাইট তৈরি করছি। এতে কী থাকা উচিত তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের ফেসবুক পেজ হবে ও ই-মেইল হবে। সবার কাছ থেকে তথ্য, প্রস্তাব, সুপারিশ চাইব। ওয়েবসাইট ইসির ওয়েবসাইটের সাবডোমেইন হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই হয়ে যাবে।
ইসি সংস্কার কমিশন প্রধান বলেন, এখন আইন-কানুন বিধিমালা পর্যালোচনা করছি। যাতে আমাদের সুস্পষ্ট ধারণা হয় এবং সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে সংস্কার করতে পারি। আমাদের স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন আছে। সেগুলো নিয়েও পর্যালোচনা করতে হবে। পর্যালোচনা করে সে বিষয়ে সুপারিশ করতে হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণে এমন অনেক কাজ বিস্তৃত, যেগুলো আমরা পর্যালোচনা করব। কমিশনের নিয়োগের আইন অগ্রাধিকার। সরকার যখন চাইবে আমরা আশা করি তখনই উনাদের একটা খসড়া দিতে পারব। বিগত তিনটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে কী অগ্রাধিকার দেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম বলেন, অবশ্যই যেসব অনিয়ম, ব্যত্যয় ঘটেছে, এগুলো আমরা চিহ্নিত করব। ভালো কিছু হয়ে থাকলে সেগুলোও চিহ্নিত করব। নির্বাচনী প্রক্রিয়াটা তো একদিনের বিষয় নয়। এটা একটা সাইকেল। এ সাইকেল পর্যালোচনা করে ব্যত্যয় যা করেছে তা চিহ্নিত করে সুপারিশ করব। স্থানীয় নির্বাচন কখন হবে, এটাও আমাদের এখতিয়ারবহির্ভূত। অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করবেন কি না এমন প্রশ্নে সংস্কার কমিশন প্রধান বলেন, আমাদের সুপারিশ থাকবে। তবে সে কথা বলার সময় এখনো আসেনি। আমরা কর্মকর্তা এবং কমিশনের বিষয়ও পর্যালোচনা করব।
ওয়েবসাইটে কী বিষয়ে মতামত চাইবেন, সংবিধান নিয়ে কোনো আলোচনা করছেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা লাইন ধরে ধরে পর্যালোচনা করছি। সুনির্দিষ্ট কোনো কিছু নয়। যেদিন আমরা সুপারিশ সরকারের কাছে পাঠাব, সেদিন এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।
‘না’ ভোট প্রসঙ্গে বদিউল আলম বলেন, আমরা সব কিছুই বিবেচনায় নেবো। যত মতামত আসবে তত পর্যালোচনা করব। নির্বাচন বিষয়ে যে কেউ যে কোনো মতামত দিতে পারবেন। উন্মুক্ত মতামত নেয়া হবে। আমরা তো নিশ্চিত করতে পারবো না যে কেউ অপকর্ম করবে না। তবে আমরা গার্ডরেল তৈরি করবো। তিনি বলেন, সিঁড়ির পাশ দিয়ে যেমন বেরিয়ার থাকে। কেউ যেন পড়ে না যায়। কিন্তু কেউ যদি ঝাঁপ দিতে চায় তাহলে তো কিছু করার নেই। কিন্তু আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করবো এমন সব সুপারিশ করার, যেন একটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা