১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

মন্দির ও দেব-দেবীর অবমাননার অভিযোগ ভিত্তিহীন অযৌক্তিক : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

-

বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মালম্বীদের মন্দির ও দেব-দেবীর অবমাননা ও ক্ষয়ক্ষতি সুপরিকল্পিত বলে ভারতের করা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গতকাল মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ১২ অক্টোবর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের দেয়া একটি বিবৃতির প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশেষ করে ধর্মীয় উৎসবের সময়ে হিন্দু ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং তাদের ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের। একই বিবৃতিতে আরেকটি অভিযোগ করা হয়েছে, “...অপবিত্রকরণ এবং মন্দির ও দেবতাদের ক্ষতি একটি পদ্ধতিগত প্যাটার্ন।” বাংলাদেশ সরকার এই ধরনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক বলে মনে করে। উৎসবের সময় অনাকাক্সিক্ষত কয়েকটি ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছিল। তবে হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারি কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছিল।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বাংলাদেশের উদারনীতি ও গণতন্ত্রের একটি যুগান্তকারী বৈশিষ্ট্য, যা সব মানুষকে একত্র করে। বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, ধর্ম বা বিশ্বাস নির্বিশেষে প্রত্যেক ব্যক্তির তার ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান কোনো বাধা ছাড়াই পালন করার অধিকার রয়েছে। এবার সারা বাংলাদেশে স্থাপিত ৩২ হাজারেরও বেশি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা স্বতঃস্ফূর্ত এবং শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার মাধ্যমে এটি প্রমাণিত হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে গত ১০ অক্টোবর একটি সোনার মুকুট চুরির ঘটনা ঘটেছিল। এ দিন মন্দিরের প্রধান পুরোহিত বেলা ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত নিয়মিত পূজা করেছিলেন। পুরোহিত এবং মন্দিরের কর্মচারীরা কেন এই ধরনের মূল্যবান সম্পত্তি অরক্ষিত ও অনিরাপদ রেখে গিয়েছিলেন তা নির্ধারণের জন্য তদন্ত চলছে। চুরির ঘটনায় ইতোমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সব নাগরিক, বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকারের কর্তব্য বলে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, পরিচয়, ধর্ম বা বিশ্বাস নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকারকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করতে চাই, বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের ধর্মনিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিচয় ধরে রাখতে অন্তর্বর্তী সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement