১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ৯ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনা অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ

রয়টার্সের প্রতিবেদন
-


অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুত ক্রয় এখনই বন্ধ করছে না। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদানির সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনা করলেও বিদ্যুৎ ক্রয় অব্যাহত রাখা হবে। বিদ্যুৎ সরবরাহের উদ্বেগ এবং চুক্তি বাতিলের দিক থেকে আইনি চ্যালেঞ্জে যেতে চাচ্ছে না অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন সরকার তার পূর্বসূরির চুক্তিগুলো পর্যাপ্তভাবে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে কি না তা পরীক্ষার জন্য একটি প্যানেল তৈরি করেছে। তাদের কাজ হচ্ছে অতি দ্রুত ত্রুটিযুক্ত প্রকল্পগুলোতে কোনো স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে কি না।
ভারতের আদানি বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদার প্রায় এক-দশমাংশ পূরণ করে থাকে। তাই আদানির সঙ্গে চুক্তিটি সরাসরি বাতিল করা কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক আদালতে এ চুক্তি নিয়ে আইনি লড়াইয়ে গেলে অন্যায়ের শক্তিশালী প্রমাণ ছাড়া ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অন্তর্বর্তী সরকারকে এটিও বিবেচনা করতে হচ্ছে। তবে একমাত্র সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে শুল্ক কমানোর জন্য একটি পারস্পরিক চুক্তির বিবেচনা করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান বলেছেন, কমিটি বর্তমানে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে এবং এখনি মন্তব্য করা ঠিক হবে না। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একজন কর্মকর্তা ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের সর্বশেষ অডিট রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, আদানির কাছ থেকে বাংলাদেশে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ আমদানিতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১২ টাকা। এটি ভারতের অন্যান্য বেসরকারি উৎপাদকদের তুলনায় ২৭% এবং ভারতীয় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুতের তুলনায় ৬৩% বেশি।
চুক্তির অধীনে বাংলাদেশ ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আদানির কাছ থেকে প্রায় ১১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনেছে। ভারতের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বাংলাদেশ চুক্তিটি পর্যালোচনা করছে বলে আদানির কাছে কোনো তথ্য নেই। মুখপাত্র বলেন, ‘বকেয়া বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও আমরা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রেখেছি, যা বড় ধরনের উদ্বেগের বিষয়। বাংলাদেশ আদানি পাওয়ারের ৮০০ মিলিয়ন ডলারের পাওনা পরিশোধে চেষ্টা করছে। ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের কাছে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি পাওনা রয়েছে। বাংলাদেশের তরফে ডলারের প্রাপ্তি সাপেক্ষে এসব পাওনা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। আদানি মুখপাত্র আরো জানান, আমরা বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে ক্রমাগত সংলাপ করছি, তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে আমাদের বকেয়া শিগগিরই পরিশোধ করা হবে। আদানি পাওয়ার আত্মবিশ্বাসী যে ঢাকা তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে, ঠিক যেমন কোম্পানিটি তার চুক্তির শর্তাবলী পূরণ করেছে। তবে বিদ্যুতের মূল্য অন্যদের চেয়ে বেশি কেন সে প্রশ্নের উত্তর দেননি আদানি মুখপাত্র।

এ দিকে বিএনপির সিনিয়র নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘আদানির সাথে চুক্তিটি শুরু থেকেই অতিরিক্ত মূল্যের বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এবং এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ যে সরকার এখন এটি পর্যালোচনা করছে। আমি আশা করি তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।
অন্তর্বর্তী সরকার আগস্টের শুরুতে বাংলাদেশে ক্ষমতা গ্রহণ করে। এর আগে দেশব্যাপী বিরাট গণবিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে প্রতিবেশী ভারতে পালিয়ে যান। এরপর সরকার একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের মতো প্রকল্প বাতিল করেছে, কর্মকর্তারা বলছেন আরো বাতিল করা সম্ভব।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
মুখ থুবড়ে পড়েছে ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম’ কার্যক্রম সবার জন্য সমান অধিকারের বাংলাদেশ গড়তে চাই : ড. ইউনূস বঞ্চিত কর্মকর্তাদের চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগে বৈষম্য এস আলমের দুই লাখ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিপাকে ব্যাংকগুলো ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হিংসা ও বিভক্তির কবর রচনা করে জাতীয় ঐক্য চাই : ডা: শফিক আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনা অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ দুবাইয়ে প্রোটিয়াদের কাছেও হারল টাইগ্রেসরা নিহন হিদানকিওর নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ে ইউনূসের অভিনন্দন ভারতের রেকর্ড : হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সাথে পররাষ্ট্র সচিবের সিরিজ বৈঠক

সকল