২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নোবেল শান্তি পুরস্কার পেল জাপানের পরমাণু অস্ত্রবিরোধী সংগঠন

-


এ বছর বহুল আলোচিত নোবেল শান্তি পুরস্কার পেল জাপানের পরমাণু অস্ত্রবিরোধী সংগঠন নিহন হিদানকায়ো। ১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমা নাসাসাকিতে মার্কিন বোমা হামলায় বেঁচে যাওয়া কিছু মানুষ এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিল। নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি গতকাল বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় নরওয়ের রাজধানী অসলোর নোবেল ইনস্টিটিউট থেকে নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০২৪-এর জন্য নিহন হিদানকায়োর নাম ঘোষণা করে।

এ বছরের শান্তি পুরস্কারের জন্য মোট ২৮৬ জন প্রার্থীর নাম নিবন্ধন করে, যার মধ্যে ১৯৭ জন ব্যক্তি এবং ৮৯টি সংস্থা ছিল। ১৯০১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ১১৪ বার নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়েছে। ১১১ ব্যক্তি ও ৩১ সংস্থা মিলে পুরস্কার বিজয়ীর সংখ্যা ১৪২। রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি ১৯১৭, ১৯৪৪ ও ১৯৬৩ সালে তিনবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে। জাতিসঙ্ঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার দফতর ১৯৫৪ ও ১৯৮১ সালে দুইবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে। এ ছাড়া ২৭ স্বতন্ত্র সংস্থা নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।

হিবাকুশা নামেও পরিচিত জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের এ তৃণমূল আন্দোলন হিদানকিওকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রচেষ্টা এবং পারমাণবিক অস্ত্র যে আর কখনো ব্যবহার করা উচিত নয়, তা প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার মাধ্যমে প্রদর্শনের জন্য নোবেল পুরস্কার দেয়া হলো। নোবলে কমিটির প্রধান ইয়রর্গেন ওয়াটন ফ্রাইডনেস পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার না করার আন্দোলনে সংগঠনটি বিরাট ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। সংগঠনটি ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান হিরোশিমা শহরে ইউরেনিয়াম বোমা নিক্ষেপ করে। এতে এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ প্রাণ হারান আর আহত হন অসংখ্য মানুষ। এর তিন দিন পর নাগাসাকি শহরে আরেকটি বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এর দুই সপ্তাহ পর জাপান মিত্র পক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করে।

পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ার জাপানে সাংবাদিকদের সামনে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে চোখের পানি সামলাতে পারেননি সংগঠনটির যুগ্ম প্রধান তেশিইউকি মিমাকি। তিনি বলেন, এমন অর্জনের বিষয় আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি ।
প্রতি বছর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর দিবস ডিসেম্বরের ১০ তারিখ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেয়া হয়। প্রত্যেক ক্ষেত্রে পুরস্কার বিজয়ীরা একটি স্বর্গপদক, শংসাপত্রসহ একটি ডিপ্লোমা এবং এক মিলিয়ন ডলার পান।
উল্লেখ্য, সমাজের ‘নিচ থেকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন’ করার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক ২০০৬ সালে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।
আগামী ১৪ অক্টোবর স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট ও বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে ছয় নম্বর ও সর্বশেষ অর্থনীতি ক্যাটাগরির পুরস্কার ঘোষণার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বছর নোবেল পুরস্কার ঘোষণা শেষ হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
খুলনায় হত্যাসহ ৪ মামলায় সালাম মুর্শেদীর জামিন নামঞ্জুর কারো লুটপাটের দায়ভার আমি নেব না : মেজর হাফিজ ‘যারা চাঁদাবাজি ও দখলবাজি করছে দেশের মানুষ তাদেরকেও বর্জন করবে’ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার দিয়ে এনসিএলের ফাইনালে ঢাকা মেট্রো দেবিদ্বারে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ রক্ষার দাবি স্থানীয়দের ‘পোল্যান্ড গেলে নেতানিয়াহুকে গ্রেফতার করা হবে’ জাতীয় স্বার্থে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ : সিলেটে জামায়াত আমির নিরাপত্তা নিশ্চিতে যা প্রয়োজন তুরস্ক করবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিদান উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক গাজীপুরে বোতাম কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট গাজায় যুদ্ধুবিরতি চুক্তি সন্নিকটে : হামাস

সকল