জিহাদের আত্মত্যাগ ধারণ করেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে : তারেক রহমান
- বাসস
- ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, শহীদ জিহাদের আত্মত্যাগের প্রেরণাকে বুকে ধারণ করেই দেশী-বিদেশী অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে।
গতকাল শহীদ জিহাদ দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের ধারা বহমান রাখতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অপরিহার্য শর্ত হলো নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার। গণতন্ত্র মানে শুধু নির্বাচন নয়, গণতন্ত্র মানে মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।’
নাজির উদ্দিন জিহাদ ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলনে ঢাকার পল্টনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন। তার রক্ত স্রোতের ধারা বেয়েই সে বছর সংঘটিত হয় গণ-অভ্যুত্থান, পতন হয় স্বৈরশাসক এরশাদের।
তারেক রহমান বলেন, ‘শহীদ জিহাদ দিবস উপলক্ষে আমি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক শহীদ নাজির উদ্দিন জিহাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তার রূহের মাগফিরাত কামনা করি।’ তিনি বলেন, শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ ৯০-এর স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে একটি অবিস্মরণীয় নাম। রক্তমাখা ওই আন্দোলন ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র, মত প্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে গিয়ে শহীদ জিহাদ পুলিশের গুলি নিজের বুকে বরণ করে নেন। শাহাদতবরণ করেন এই অকুতোভয় ছাত্রনেতা। তার রক্ত স্রোতের ধারা বেয়েই সে বছর সংঘটিত হয় গণ-অভ্যুত্থান, পতন হয় স্বৈরশাসক এরশাদের।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল স্বৈরশাসক এরশাদ। গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর দৃঢ়-প্রত্যয় নিয়েই জিহাদ নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আমরা তার সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে না পারলে তার আত্মা কষ্ট পাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা