০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ৫ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

৬ মামলায় সাবের হোসেন চৌধুরীর জামিন, গ্রেফতারের ২ দিন পরই হলেন মুক্ত

-

পৃথক ছয়টি মামলায় জামিন পেয়ে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আলাদা দু’টি আদালত এসব মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে আদালতের হাজতখানা থেকে তিনি মুক্তি পান।
পুলিশের অভিযানে বিএনপি কর্মী মকবুল নিহতের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে থাকা সাবের হোসেন চৌধুরীকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান আসামি সাবের হোসেনের রিমান্ড শেষ না করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী তার জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান মঙ্গলবার বিকেলে তার জামিন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
সাবের হোসেন চৌধুরীর আইনজীবী মোরশেদ হোসেন জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ছয়টি মামলায় সাবের হোসেন চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আদালতে সব মামলায় জামিননামা দাখিল করা হয়েছে। আর কোনো মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি। তাই যেকোনো সময় মুক্তি পেতে পারেন সাবের হোসেন চৌধুরী।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, সাবের হোসেন গ্রেফতার হওয়া সব মামলায় জামিন পাওয়ায় তার কারামুক্তিতে বাধা নেই। যেহেতু তিনি আদালতের হাজতখানায় রয়েছেন, এখান থেকেই জামিনে মুক্ত হবেন।
জানা গেছে, দুই বছর আগে রাজধানীর নয়াপল্টনে সংঘর্ষে বিএনপির কর্মী মকবুল হোসেন হত্যার মামলায় সাবের হোসেন চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করে জানায়, তিনি অসুস্থ। এরপর সাবের হোসেন চৌধুরীর আইনজীবীরা খিলগাঁও থানায় দায়ের করা চারটি এবং পল্টন থানায় দায়ের করা দু’টি হত্যা মামলায় জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত পৃথক ছয়টি মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
খিলগাঁও থানার আলাদা চার মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান।
এ দিন পাঁচ দিনের রিমান্ড চলাকালে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হাচান আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, জিজ্ঞাসাবাদে সাবের হোসেন চৌধুরী কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারছেন না। কথোপকথনে জানা গেছে যে, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ও হৃদরোগে আক্রান্ত। তার হার্টে তিনটি রিং পরানো হয়েছে। বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতিতে পুলিশ হেফাজতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আশানুরূপ তথ্য পাওয়া যাবে না। এ জন্য আদালতের নির্দেশ মোতাবেক পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ না করে আদালতে পাঠানো হলো। এর আগে রোববার ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার ৭ অক্টোবর ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া খিলগাঁও থানার পৃথক চার হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল