০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

২১ রানে হারল বাংলাদেশ

-

১০ বছর পর নারী টি-২০ বিশ্বকাপে জয়ের আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচেও চমক দেখাল। নাহিদা-ফাহিমারা দারুণ বোলিংয়ে শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে সাত উইকেটে ১১৮ রানে আটকে দিলো। স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা বাংলাদেশকে টানা দ্বিতীয় জয় পেতে করতে হবে ১১৯ রান। কিন্তু ওই যে ব্যাটারদের ব্যাটিং ব্যর্থতা। সেটিই কাল হয়ে দাঁড়াল। হাতের নাগালে থাকা টার্গেট টপকাতে পারেনি টাইগ্রেস ব্যাটাররা। মনের কোণে থাকা সুপ্ত জয়ের বাসনা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলো ২১ রান বাকি থাকতেই। অর্থাৎ টিম বাংলাদেশের সংগ্রহ ২০ ওভারে সাত উইকেটে ৯৭ রান। দলীয় রান ১০০ ও পার করতে পারেনি নিগার বাহিনী। বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ড করে ম্যাচ জিতেছে ইংল্যান্ড।
৭, ৬, ৪৪, ১৫, ২, ৭, ২, ৫*, ২* এই হলো ব্যাটারদের রান। বিশ্বমঞ্চে যা লজ্জার। যা একটু লড়াই করলেন সোবহানা মোস্তারি ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। বাংলাদেশ গর্ব করে একটা কথা বলতেই পারে যে কেউ শূন্য হাতে ফিরেনি। বোলাররা তাদের কাজটা শতভাগ করে দিলেও স্বল্প টার্গেটে অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠার ফল পেল হাতেনাতে।
সোবহানা মোস্তারি আউট, নিশ্চিত হওয়ার পরই হাঁটুগেড়ে বসে পড়লেন। দীর্ঘ দিন ধরে তার রান খরার কথা উঠছে। তবে এই ম্যাচে তিনি লড়েছেন একা। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং সমস্যাটা কাটেনি। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও শেষ অবধি তাই হারই জুটেছে ভাগ্যে। রান তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই তেমন সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম তিন ওভারে ১৬ রান নেয়ার পর চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে হারিয়ে ফেলে উইকেট। ১২ বলে ৬ রান করে চার্লি ডিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান দিলারা আক্তার। পরের ওভারের প্রথম বলে ফেরেন আরেক ওপেনার সাথী রানীও। ৯ বলে ৭ রান করে ইকালেস্টোনের বলে ক্যাচ দেন। তার বিদায়ের পর সোবাহানা মোস্তারিকে সাথে নিয়ে জুটি গড়েন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। কিন্তু তাদের ৪৪ বলে ৩৫ রানের জুটি ভেঙে যায় রান আউটে। ১২তম ওভারের তৃতীয় বলে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হন ২০ বলে ১৫ রান করা জ্যোতি। চার বলে দুই রান করে ফেরেন স্বর্ণা আক্তারও।

পরের লড়াইটা সোবহানা মোস্তারির একার। নিগারের সাথে ২৫ বলে ২৫ রানের জুটিতে কিছুটা সম্ভাবনাও জাগিয়ে তুলেছিলেন তিনি। এই জুটিতে ১৭ রানই ছিল নিগার সুলতানার। ইনিংসের ১৯তম ওভারে গিয়ে আউট হন তিনি। মোস্তারি আউট হন ১৯তম ওভারে গিয়ে। চার্লি ডিনের বলে এলবিডব্লিউ হন ৪৮ বলে একটি চার ও ছক্কায় ৪৪ রান করেন সোবহানা। রিভিউ নিলে দেখা যায়, আম্পায়ারস কলে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। এরপর বাংলাদেশ করতে পারেনি ১০০ রানও। লিনসে ও চালিং দু’টি করে এবং শেভিয়ের ও সারাহ গ্লেন একটি করে উইকেট পান।
এর আগে শারজায় টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়েছিল ইংল্যান্ডের। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ওপেনিং জুটিতে ৪৭ রান তোলে তারা। আর এক রান করে ভেঙে যায় এই জুটি। সপ্তম ওভারে রাবেয়া খান মাইয়া বুশিয়ারকে (২৩) নাহিদা আক্তারের ক্যাচ বানান। পরের ওভারে ফাহিমা খাতুন ন্যাট স্কিভার-ব্রান্টকে (২) এলবিডব্লিউ করেন।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। অধিনায়ক হিদার নাইটকে (৬) বোল্ড করেন রিতু মনি। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ওপেনার ড্যানি উইয়াট হজের (৪১) উইকেট নেন নাহিদা আক্তার।
ফাহিমা ও নাহিদা পরে অ্যালিস ক্যাপসি (৯) ও ড্যানিয়েল গিবসনকে (৭) নিজেদের দ্বিতীয় শিকার বানান। শেষ ওভারে চার্লিস ডিনকে (৪) স্টাম্পিং করে দ্বিতীয় উইকেট নেন রিতু মনি। নেমেই ইনিংসের একমাত্র ছক্কা মারেন সোফি এক্লেসটন। তিনি ৮ ও এমি জোন্স ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন। তাতে ২০ ওভারে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১১৮। ফাহিমা চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার। সমান উইকেট পান নাহিদা ও রিতু। একটি উইকেট পান রাবেয়া।

 

 

 

 


আরো সংবাদ



premium cement