০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

গুপ্তচর চেয়ে আবার সিআইএ’র বিজ্ঞাপন

-

গুপ্তচর মানেই বিশেষ এক পেশার লোক। আর যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি বা সিআইএ’র গোয়েন্দা মানে তা আরো বিশেষ কিছু। বিশ্বজুড়ে গোয়েন্দাগিরির জন্য সব মহলেই পরিচিত সিআইএ। যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র কাজ সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং উচ্চপদস্থ নীতিনির্ধারকদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করা। এবার তারা গোয়েন্দা নিয়োগে বিজ্ঞাপন দিয়েছে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে। এই কাজের জন্য এখন ভিন দেশের নাগরিকদের যোগ দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। সিআইএ’র বিজ্ঞাপনটি প্রকাশ করা হয় গত বুধবার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স, ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টেলিগ্রাম, লিঙ্কড ইনে। পাশাপাশি ডার্ক ওয়েবেও ছাড়া হয়েছে বিজ্ঞাপনটি।
এ বিজ্ঞাপন ইতোমধ্যেই ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সিআইএ চীন, ইরান ও উত্তর কোরিয়া থেকে গুপ্তচর নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছে। নিয়োগসংক্রান্ত কিছু বার্তা মান্দারিন, ফরাসি ও কোরীয় ভাষায় তারা নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেছে। বুধবার প্রকাশ করা এসব বার্তায় গোয়েন্দা সংস্থাটির সাথে নিরাপদে যোগাযোগের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আগ্রহী ব্যক্তিদের নাম, স্থান ও যোগাযোগের বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া থেকেও গুপ্তচর সংগ্রহের জন্য একই ধরনের প্রচারণা শুরু করেছিল সিআইএ। এতে সাফল্য পাওয়া গেছে বলে জানায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাটি। সিআইএ’র একজন মুখপাত্র বলেন, তারা অন্যান্য কর্তৃত্ববাদী দেশের মানুষদের নিশ্চিত করতে চায়, এ নিয়ে তাদের কাজের দরজা খোলা।

সিআইএর এ নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পর্কে সিউলের হানকুক ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজের আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ম্যাসন রিচি জানান, ইউটিউব বা অন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে এ ধরনের নিয়োগ প্রচেষ্টাটি মূলত এটিই প্রথম বলে তার ধারণা। তিনি আরো জানান, অন্তত কোরিয়ায় এমনটি হয়েছে বলে তার জানা নেই। এ পদ্ধতিতে রাশিয়ার ক্ষেত্রে সফল হওয়ায় সিআইএ আবার এমনটি করছে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু এটা উত্তর কোরিয়ায় কতটা কার্যকর হবে, সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। কারণ দেশটির বেশির ভাগ মানুষের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই বলে জানান এই অধ্যাপক।
অধ্যাপক রিচির ধারণা, যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত উত্তর কোরিয়ার সেসব মানুষকে নিশানা করছে, যারা অনানুষ্ঠানিকভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে চীনে প্রবেশ করতে পারেন। এতে করে তারা সম্ভবত ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কে প্রবেশের সুযোগ পান। সিআইএর উপপরিচালক ডেভিড কোহেন ব্লুমবার্গকে এ প্রসঙ্গে জানান, চীনে বিপুলসংখ্যক মানুষের তথ্যে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে, যারা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সরকারের প্রতি অসন্তুষ্ট।


আরো সংবাদ



premium cement