লেবাননে ইসরাইলি হামলা অব্যাহত
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২০
- ইরানের তেল স্থাপনায় হামলার আশঙ্কায় বেড়ে গেছে তেলের দাম
- ইরানের হামলায় ইসরাইলের ২০ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ধ্বংস
বৈরুতে ইসরাইলের বিমান হামলা অব্যাহত আছে। গতকাল শুক্রবার সকালেও বৈরুত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ইসরাইলের বিমান হামলা হয়েছে বলে লেবাননের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এর ফলে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানা যায়নি। এ ছাড়া বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের শহরতলিতেও মধ্যরাতের পর ইসরাইলের বিমান হামলা হয়েছে। রয়টার্স ও আলজাজিরা।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট বলছে, হাসান নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী হিসেবে যাকে ভাবা হচ্ছে, সেই হাশেম সাফিউদ্দিনকে টার্গেট করেছে ইসরাইল। তবে ইসরাইলের সেনাবাহিনী এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। লেবাননে ইসরাইলের আক্রমণে ২৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী মারা গেছেন বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে। তারা বলেছে, ৩৬টির মতো স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হয়েছে। বৈরুতে পাঁচটি হাসপাতাল হয় পুরোপুরি বা আংশিকভাবে খালি করে দেয়া হয়েছে। জাতিসঙ্ঘের এই সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন, যেসব জায়গায় বোমা পড়েছে, সেখান থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা পালিয়ে গেছেন। তাই তারা কাজে আসতে পারছেন না। বৈরুত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকায় তারা ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী পাঠাতে পারেননি।
এ দিকে ইরানের তেল স্থাপনায় সম্ভাব্য ইসরাইলি আক্রমণ নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার এমন মন্তব্যের পর বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রায় তাৎক্ষণিকভাবেই বেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকরা বাইডেনকে প্রশ্ন করেন, ইসরাইল কি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিতে গিয়ে তেহরানের তেল স্থাপনায় আক্রমণ চালাবে? জবাবে বাইডেন বলেন, আমরা আলোচনা করছি। বাইডেনের এ মন্তব্যের পরই আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম ৫ শতাংশ বেড়ে যায়। বাইডেন অবশ্য বলেছেন সর্বাত্মক লড়াই এড়ানো যাবে বলে তিনি মনে করেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আমি মনে করি, আমরা তা এড়াতে পারব। তবে আমরা ইসরাইলকে সাহায্য করব।
জো বাইডেন বলেন, আজই কিছু হচ্ছে না। তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে ইসরাইলের হামলা তিনি সমর্থন করেন না। জাতিসঙ্ঘে ইসরাইলের দূত ড্যানি ড্যানন বৃহস্পতিবার সিএনএনকে বলেন, প্রত্যাঘাতের ক্ষেত্রে অনেক বিকল্প আছে। আমরা শিগগিরই তেহরানকে আমাদের শক্তি কতটা তা দেখাতে পারব।
গত মঙ্গলবার ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে ইরান। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, আক্রান্ত হলে তারাও প্রত্যাঘাত করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলা হলে বা কেউ যদি সীমা অতিক্রম করে, তাহলে আমাদের সেনাবাহিনী তার জবাব দেবে। ইসরাইলের হামলার বিষয়ে হোয়াইট হাউজের অবস্থান স্পষ্ট হয়নি। তবে এর আগে বাইডেন বলেছিলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ইসরাইলি হামলা তিনি সমর্থন করবেন না। ইসরাইলকে ইরানে হামলা চালাতে দেয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কী পরিকল্পনা রয়েছে জানতে চাইলে বাইডেন বলেন, ‘প্রথমত, আমরা ইসরাইলকে অনুমতি দিই না, তবে আমরা ইসরাইলকে পরামর্শ দিচ্ছি।’ এর আগে বাইডেন বলেছিলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য নির্ধারিত বিমান এয়ারফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে বুধবার সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, ‘ইসরাইলিরা কী করতে যাচ্ছে তা নিয়ে আমরা তাদের সাথে আলোচনা করব, তবে আমাদের (জি৭ দেশগুলোর প্রধানরা) সবাই একমত যে, তাদের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার আছে, কিন্তু তাদের সমানুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত।’ এর আগে বাইডেন জি৭ দেশগুলোর (যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও ব্রিটেন) সরকারপ্রধানদের সাথে ইসরাইল-ইরান সঙ্কট ও মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে আঞ্চলিক যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার যে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে কথা বলেন।
মঙ্গলবার রাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিরোধে ইসরাইলের সাথে যে তিনটি দেশের সামরিক বাহিনী কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অন্যতম। অপর দু’টি দেশ ব্রিটেন ও ফ্রান্স। যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে সতর্ক করে বলেছে, এ হামলার ফলাফল তাদের ভোগ করতে হবে। কিন্তু ওয়াশিংটন এ ক্ষেত্রে কূটনীতিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ইসরাইলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইল প্রথমে ইরানের তেল স্থাপনায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। এরপর ইরান পাল্টা হামলা চালালে ইসরাইল তাদের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাবে। বুধবার ইরানের চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাকেরি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, প্রতিশোধ নিলে তারা ইসরাইলের বিভিন্ন অবকাঠামোতে আঘাত হানবে।
হাসান নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরিকে লক্ষ্য করে হামলা
হিজবুল্লাহর শীর্ষস্থানীয় নেতা হাশেম সাফিউদ্দিনকে লক্ষ্য করে লেবাননের দক্ষিণ বৈরুতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভয়াবহ বিমান হামলা হামলা চালানো হয়েছে বলে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়। হামলায় হাশেম সাফিউদ্দিন আহত বা নিহত হয়েছেন কি না, সে সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করেনি ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম। হাশেম সাফিউদ্দিন ইসরাইলি হামলায় নিহত হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর স্বজন।
হিজবুল্লাহর দুই নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির একজন সাফিউদ্দিন। হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর পর ধারণা করা হচ্ছে, তিনি সংগঠনের প্রধানের দায়িত্ব পাবেন। সাফিউদ্দিন বর্তমানে হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদের প্রধান। হাসান নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি হিসেবে আলোচনায় আছেন সংগঠনটির উপপ্রধান নাইম কাশেমও। সাফিউদ্দিন লেবাননের টায়ার শহরের কাছে দের কানুন আন-নাহার গ্রামে ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হাসান নাসরুল্লাহর সাথে ইরাকের নাজাফ ও ইরানের কম শহরে শিয়াদের প্রধান দু’টি শিক্ষাকেন্দ্রে প্রযুক্তি বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। হিজবুল্লাহর যাত্রার শুরুর দিকেই তারা একসাথে সংগঠনটিতে যোগ দেন।
ইরানের সাথে সাফিউদ্দিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। তিনি ইরানের আলোচিত সেনাপ্রধান নিহত কাশেম সুলাইমানির মেয়ের জামাই। কাশেম ২০২০ সালে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হন। হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদে নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি সংগঠনটির শূরা বা পরামর্শ পরিষদের প্রধান সদস্য ও জিহাদ কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাফিউদ্দিন। গত সপ্তাহে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। তাকে হত্যার পর গোটা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি চরমে উঠেছে।
ইসরাইলি হামলার মধ্যেই লেবাননে ইরানি মন্ত্রী
লেবাননে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই লেবাননের রাজধানী বৈরুতে গেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। গতকাল শুক্রবার আলজাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। লেবানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, বৈরুতে বিমানবন্দরের বাইরে ইসরাইলি বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেই লেবাননে পৌঁছান আব্বাস। লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি বলছে, ইরানি একটি বিমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচিকে নিয়ে রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। জানা গেছে, লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি ও স্পিকার নাবিহ বেরির সাথে দেখা করবেন আব্বাস।
ইসরাইলি হামলায় লেবানন থেকে বের হওয়ার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত
রয়টার্স জানায়, ইসরাইলি হামলায় লেবানন থেকে চলে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। দেশটির পরিবহন মন্ত্রী আলী হামিহ রয়টার্সকে বলেছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইসরাইলি বোমা হামলা থেকে বাঁচতে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য কয়েক হাজার লেবানিজ এই রাস্তাটি ব্যবহার করত। রাস্তাটি সিরিয়ার সাথে লেবাননের মাসনা সীমান্তের কাছে অবস্থিত। শুক্রবার একটি ইসরাইলি হামলায় রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায়।
হামিহ বলেন, হামলাটি সীমান্ত ক্রসিংয়ের কাছে লেবাননের ভূখণ্ডে আঘাত হানে। এর ফরে চার মিটার (১২ ফুট) প্রশস্ত গর্ত তৈরি হয়েছে। এ দিকে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) একজন সামরিক মুখপাত্র বৃহস্পতিবার হিজবুল্লাহকে লেবাননে সামরিক সরঞ্জাম পরিবহনের জন্য ক্রসিং ব্যবহার করার অভিযোগ করেছিলেন। আইডিএফ মুখপাত্র আভিচায় আদ্রেই এক্স-কে বলেছেন, আমরা এই অস্ত্রের চোরাচালানের অনুমতি দেবে না।’ লেবাননের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইসরাইলি বোমা হামলা থেকে বাঁচতে গত ১০ দিনে তিন লাখের বেশি মানষি লেবানন থেকে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে। শুক্রবার ইসরাইলি সামরিক বাহিনী লেবাননের আরো ২০টিরও বেশি দক্ষিণ শহরের বাসিন্দাদের অবিলম্বে সরে যেতে বলেছে।
ইসরাইলের ২০ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ধ্বংস
গত মঙ্গলবার ইসরাইলের দু’টি বিমানঘাঁটি ও গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের হেডকোয়ার্টার লক্ষ্য করে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। সূত্রের খবর, এ হামলায় ইসরাইলের প্রায় ২০টি সর্বাধুনিক ও অত্যন্ত মূল্যবান এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে। টাইমস অব ইসরাইল ও মিডলইস্ট মনিটর জানায়, ইসরাইল এ ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার না করলেও বুধবার মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির দ্বারা প্রকাশিত নতুন স্যাটেলাইট চিত্রগুলোতে দেখা যায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসরাইলি সামরিক বিমানঘাঁটির বিমানের হ্যাঙ্গারগুলোর ছাদে বড় বড় গর্ত। এসব হ্যাঙ্গারেই যুদ্ধবিমানগুলো রাখা হয়েছিল। দক্ষিণ ইসরাইলের নেভাটিম বিমানঘাঁটির ওই চিত্রগুলো রানওয়ের কাছে এক সারি ভবনের ছাদের ক্ষতি দেখায়। ভবনের চার পাশে বড় বড় ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
তবে ইসরাইলের সামরিক সেন্সরশিপ ছবিটি প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। নেভাটিম ইসরাইলি বিমান বাহিনীর সবচেয়ে উন্নত বিমানের আবাসস্থল, যার মধ্যে মার্কিন উৎপাদিত এফ-৩৫ লাইটনিং ২ স্টিলথ ফাইটার জেট রয়েছে। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে স্যাটেলাইট ইমেজ সম্পর্কে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি, তবে স্বীকার করেছে যে ইরানের হামলায় তাদের কয়েকটি বিমানঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে অফিস ভবন এবং ঘাঁটির রক্ষণাবেক্ষণের জায়গাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইরানের সশস্ত্রবাহিনীর প্রধান জেনারেল স্টাফ মোহাম্মদ বাকেরি প্রেস টিভিকে বলেছেন যে, নেভাটিম বিমানঘাঁটি, নেটজারিম সামরিক সুবিধা এবং টেল নফ ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ ২’ নামে অভিহিত মঙ্গলবার রাতের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইরানের সংবাদ আউটলেট অনুসারে, ইসলামিক বিপ্লব গার্ড কর্পস তিনটি সাইটের লক্ষ্যবস্তুতে হামলায় হাইপারসনিক ফাতাহ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। ইসরাইলের সেন্সরশিপ ইরানের হামলা থেকে সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করা কঠিন করে তোলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল উভয়ই তেহরানের আক্রমণের আকার এবং প্রভাব সম্পর্কে মিশ্র বার্তা প্রেরণ করে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বুধবার রিপোর্ট করেছে যে, হামলার প্রাথমিক ইসরাইলি মূল্যায়নে সামরিক ঘাঁটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে। ইরানের হামলা নেগেভ মরুভূমিতে নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে, যেখানে ইসরাইলের কিছু এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান রাখা হয়েছিল। কিন্তু ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বিমানঘাঁটির ক্ষতির পরিমাণ জার্নালের সাথে শেয়ার করতে অস্বীকার করে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা