জাতিকে আর বিভক্ত করার সুযোগ দেবো না : ডা: শফিকুর রহমান
- গাজীপুর প্রতিনিধি
- ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৬
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা আর এই জাতিকে বিভক্ত করার সুযোগ কাউকে দেবো না। দল, ধর্ম বা গোষ্ঠীর ভিত্তিতে জাতিকে তারাই ভাগ করে, যারা জাতির দুশমন। যারা জাতির বন্ধু, তারা জাতিকে কখনো বিভক্ত করতে পারে না। গত, আগত ও অনাগত দেখে যেন আমাদের শিক্ষা হয়। যারা ক্ষমতায় থাকাবস্থায় জনগণের অর্থে কেনা অস্ত্র ও বুলেট জনগণের বুকে ধরার দুঃসাহস করবে এমন কেনো সন্ত্রাসী আর দেখতে চাই না। পুরো বাংলাদেশকে এক করতে হবে। ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাতকে এক করতে হবে। বিশ্বকে জানান দিতে হবে দেশ ও জাতির স্বার্থে আমাদের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই। যত বিভাজন রেখা তৈরি করা হয়েছিল সবগুলোকে আমরা পায়ের নিচে ফেলে দিয়েছি।
গতকাল শহরের রাজবাড়ী মাঠে জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর মহানগর আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শাহাদতবরণকারী পরিবারের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য ডা: শফিক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা এই সমাজের দুশমন তারাই শিল্প ধ্বংস করতে চায়। তারা শ্রমিকদের আবেগকে উসকে দিয়ে রাস্তায় নামায়। তারা বলে শ্রমিকরা ঘরে বসে বেনিফিট পাবে। অবশ্য কিছু মালিক আছেন যারা কেবল শ্রমিকদের ঘাম নয়, পারলে তাদের রক্ত চুষে নিতে চায়, এটি অন্যায়। শিল্প যারা বাঁচাবে আপনি তাদেরকে বাঁচতে দিন। আপনি তাদেরকে সম্মান করবেন, তারা সব শক্তি উজাড় করে আপনাকে সব কিছু বিলিয়ে যাবে। শিল্পের উন্নতি হবে, তাদেরও উন্নতি হবে। আমরা ওই রকম বৈষম্যহীন একটা সমাজ চাই। আমরা এমন একটা সমাজ চাই, যে সমাজে জন্ম নেয়া প্রতিটি শিশুকে সরকার চারটি অধিকার- খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও সুশিক্ষা দিতে বাধ্য থাকবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে সুযোগ সন্ধানী মতলববাজরা মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে সংঘর্ষ বাধিয়ে রাখে। উদ্যোক্তা ও মালিক যদি না থাকে শ্রমিকরা কোথায় কাজ করবে। শিল্প যদি না বাঁচে কর্মসংস্থান কোথায় হবে। আমরা চাই ব্যবসায়ীরা তার জায়গায় বসে ব্যবসা করুক, কোনো দুর্বৃত্তের সাহস হবে না তার কাছে চাঁদা চাওয়ার। বাজারে স্বস্তি থাকবে, সহনীয় দ্রব্যমূল্য থাকবে, যাতে প্রতিটি মানুষ তার সামর্থ্য অনুযায়ী স্বস্তির সাথে বসবাস করতে পারে। সামজিক নিরাপত্তা এমন হবে, সে ঘরের মধ্যে দরজা খোলা বা বন্ধ হোক রাতে শান্তিতে ঘুমাবে, কোনো দুর্বৃত্ত তার সম্পদ বা ইজ্জত লুটে নেয়ার সাহস করবে না। আমরা এমন একটি সমাজ চাই।
তিনি আরো বলেন, এই দেশ রক্তের বিনিময়ে বারবার মুক্তির জন্য আহাজারি করেছে। ১৯৪৭, ১৯৭১-এর পর আবার ২০২৪ সালে। কোনো জাতি তাদের নিজেদের স্বাধীন অধিকারের জন্য এত রক্ত দিয়েছে কি না, আমি জানি না। সমানতালে যুদ্ধ করেছে নারী-পুরুষ এবং দেড় মাসের শিশুরাও। ২৪ সালে যে নতুন স্বাধীনতা বাংলাদেশের মানুষ লাভ করেছে তার মাত্র দুই দিন আগে এক মা তার দেড় মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে রাস্তায় চলে এসেছেন। পুলিশের সামনে বুক পেতে দাঁড়িয়েছিলেন। সাংবাদিকরা বলেছিল মা তুমি সরে যাও। তোমার এই কচি বাচ্চা নিয়ে তুমি এখানে থেকো না। সে বলেছে আমার তো বড় বাচ্চা নেই। আমার পরিবারের কি কেউ শহীদ হবে না? আমি এই বাচ্চা নিয়ে শহীদ হওয়ার জন্য এখানে এসেছি। আমি আমার ও আমার বাচ্চার শাহাদতের বিনিময়ে জাতি মুক্ত হয়েছে, স্বাধীন হয়েছে আমি দেখতে চাই। আমরা দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা এই মায়েদের পেট থেকে সন্তান সৃষ্টি না করে যেন যোদ্ধা সৃষ্টি করে দেয়। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বকে জানিয়ে দেবো যে, এখন থেকে বাংলাদেশের মানুষ কালোকে কালো এবং সাদাকে সাদা বলবে। আমরা চাই এমন একটা দেশ হবে, যে দেশে বৈষম্য থাকবে না।
শহীদ পরিবারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা শহীদ হয়েছে তারা চাকরি পাওয়ার জন্য বা কারো সহযোগিতার জন্য লড়াই করেনি। তারা আমাদের অহঙ্কার, মর্যাদার ও সম্মানের পাত্র। তারা নিঃস্বার্থ লড়াই করেছে জাতিকে সম্মানীত করার জন্য। জাতির দায়িত্ব এখন তাদের পরিবারকে সম্মানীত করা। এটি করতে হবে, এর বিকল্প নেই। সরকারের কাছে দাবি জানাবো তাদের সঠিক স্বীকৃতিটা যেন দেয়া হয়। প্রতিটি শহীদ পরিবার থেকে কমপক্ষে একজনকে যেন সরকার সম্মানজনক চাকরির ব্যবস্থা করে। লড়াই করে যারা আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে তাদেরকেও যেন সম্মানজনক চাকরি দেয়া হয়। তারা যেন আজীবন কারো করুণার পাত্র হয়ে না থাকে।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, আমাদের এমন একটা সমাজ প্রয়োজন যে সমাজে শিক্ষিত মানুষগুলো কলমের খোঁচায় হাজার হাজার কোটি টাকা জাতির কাছ থেকে লুটপাট করবে না। আমরা কোনো শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদকে আদালতের বিচারক হতে দেখতে চাই না। কোনো দুর্বৃত্তকে আদালতের চেয়ারে দেখতে চাই না। একজন সরকারি কর্মকর্তা রাষ্ট্রের সেবক, তিনি দল গোষ্ঠী বা ব্যক্তির সেবক না। আমরা এমন কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী আগামীতে দেখতে চাই না যাদেরকে বাধ্য করা হবে রাষ্ট্র, জনগন বাদ দিয়ে গোষ্ঠীর পূজা করার জন্য। এমন একটা দেশ আমাদের সবার কামনা। সেই দেশটা আমাদেরকেই গড়তে হবে, ইনশা আল্লাহ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাড়ে ১৫ বছর জামায়াতে ইসলামীর ওপর ইতিহাসের বর্বরতম নির্যাতন করা হয়েছে। ১১ জন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। জুলুম করে বিচারিক হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। সর্বশেষ দুঃখজনক ঘটনার শিকার হয়েছেন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে, আমরা দেখতে চাই এই জগতে সেই হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। হত্যার পরিকল্পনাকারী, মাস্টারমাইন্ড, হত্যা বাস্তবায়নকারী, আদালতে বসে যারা দুষ্ট রায় দিয়েছেন, মিথ্যা সাক্ষী দিয়েছেন, তদন্ত করতে গিয়ে যারা নাটক সাজিয়েছেন এদের কেউ যেন সেই অপরাধ থেকে রেহাই না পায়। তারা গোটা জাতিকে হত্যা করতে চেয়েছিল। সেনাবাহিনীর ৫৭ জন চৌকস দেশপ্রেমিক অফিসারদেরকে ক্ষমতায় আসার মাত্র দুই মাসের মাথায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। বিডিআর বাহিনীকে ধ্বংস করা হয়েছে। নিরীহ মানুষ যারা জেলে বন্দী আছে তাদের সবার মুক্তি চাই। আমরা বলেছিলাম প্রতিশোধ নেব না, আইন হাতে তুলে নেব না। আমাদের সহকর্মীরা চরম ধৈর্যধারণ করেছে। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে আলেমদের সাথে কী নির্মম আচরণটা করা হয়েছে। রাতের অন্ধকারে চতুর্দিকে আলো নিভিয়ে তারা ব্রাশফায়ার করে কতজনকে যে হত্যা করেছে, তা আল্লাহ ভালো জানেন। তাদের লাশটিও পাওয়া যায়নি। দুষ্ট সরকারের কয়েক মন্ত্রী ৫ আগস্টের মাত্র চার দিন আগে বলল বাড়াবাড়ি করবেন না, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বর ভুলে যাবেন না। রাত ১২টার পর আমরা সব ক’টিকে সাফ করে দিয়েছি।
গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মুহা: জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ। বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ড. খলিলুর রহমান, ঢাকা উত্তর অঞ্চল টিমের সদস্য আবুল হাসেম খান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন, গাজীপুর জেলা জামায়াতের আমির ড. জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির মুহাম্মদ খায়রুল হাসান, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাউদ্দিন আইউবী প্রমুখ।
জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই : আবদুল হালিম
নেত্রকোনা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, জামায়াতকে যারা নিষিদ্ধ করেছিল, তারা গত ৫ আগস্ট জনগণের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আল্লাহর মেহেরবানীতে জামায়াত স্বমহিমায় জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা নিয়ে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর দেশে অপরাজনীতি করেছে এবং এখনো দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সব চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
কেন্দ্রীয় সংগঠনের নির্দেশনার আলোকে ২০২৫-২৬ কার্যকালের জন্য নেত্রকোনা জেলা জামায়াতের আমির নির্বাচনের লক্ষ্যে গতকাল নেত্রকোনা পাবলিক হলে আয়োজিত এক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা সাদেক আহমাদ হারিছের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক মাওলানা এনামুল হক এবং ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের আমির আবদুল করিম।
বিচারের আগে আ’লীগকে কোনো সুযোগ দেয়া হবে না : অধ্যাপক মুজিব
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, যারা বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। অন্যায় করবে, জুলুম করবে, খুন করবে, গুম করবে, আয়নাঘরে নিয়ে অত্যাচার করবে, চুরি করবে, ডাকাতি করবে- এমন অপরাধের বিচার হওয়া ছাড়া তাদের পুনর্বাসনের সুযোগ নেই। গতকাল চুয়াডাঙ্গা শহরের আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে জেলা জামায়াতের আয়োজনে রুকন সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই দাবি তুলে ধরেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আসতে পারে; কিন্তু তাদের বিচার হবে তারপরে। বিচার হওয়ার আগেই কোনো কাজে তাদের সুযোগ দেয়া হবে না। এ জন্য সব অপরাধের বিচার চাই।
প্রশাসনের বদলি প্রক্রিয়া নিয়ে জামায়াত নেতা বলেন, পচা মানুষকে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে নিলে তারা দুর্গন্ধই ছড়াবে। তাই তাদের পুনর্বাসনের সুযোগ নেই।
চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে রুকন সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া আঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসাইন, যশোর-কুষ্টিয়ার অঞ্চল টিম সদস্য ড. আলমগীর বিশ্বাস, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবুল হাশেম, মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তাজউদ্দীন খান, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মহসিন এমদাদুল্লাহ প্রমুখ।
ঢাকা মহানগরী উত্তর : আগস্ট বিজয়োত্তর খুনিদের চিহ্নিত ও বিচার করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে দেশে মানবতাবিরোধী রাজনীতির অবসান ঘটনার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। গতকাল রাজধানীর জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদপুর পশ্চিম থানা আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বীর শহীদ পরিবারের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। থানা আমির ডা: মু. শফিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জোন পরিচালক জিয়াউল হাসান এবং মোহাম্মদপুর দক্ষিণ থানা আমির সাখাওয়াত হোসেন। প্রধান অতিথি চার শহীদ পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন এবং আর্থিক সহায়তা দেন।
বায়েজিদ থানা ও ওয়ার্ড জামায়াতের কর্মপরিষদ বৈঠক
দেশের প্রতিটি এলাকায় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন।
বায়েজিদ থানা ও ওয়ার্ড জামায়াতের কর্মপরিষদ বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
বায়েজিদ থানা আমির মাওলানা জাকির হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, নগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি লুৎফর রহমান ও নগর অফিস সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, থানা নায়েবে আমির মাওলানা ফজলুল কাদের, থানা সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন সিরাজী, থানা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও ওয়ার্ড আমির হাফেজ আবুল মনসুর, থানা সাংগঠনিক সম্পাদক ও ওয়ার্ড আমির নুরুল আলম, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মাওলানা মনিরুল ইসলাম, ওয়ার্ড আমির ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
দেশ গঠনে দুর্নীতিমুক্ত নেতৃত্ব জরুরি
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা জানান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে দুর্নীতিমুক্ত নেতৃত্ব জরুরী। নাহলে দেশের টেকসই উন্নয়ন কখনই সম্ভব নয়। বিগত ১৬ বছর পর যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে সেজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করা দরকার। এজন্য ব্যাপক দাওয়াতি কাজ করা, সূধী সমাবেশ করা, ইসলামের লোকজনদেরকে সামনে নিয়ে আসা, এর মাধ্যমে ইসলামি নেতৃত্বের সরকার গঠন হবে, দেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে, তাহলে মানবতার সেবা নিশ্চিত হবে। সেজন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। গতকাল সকালে ঢাকা জেলা (উত্তর) আমীর মাওলানা আফজাল হোসাইনের এর সভাপতিত্বে সাভার পৌর এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ বৈঠকে সাইফুল আলম খান উল্লিখিত কথা গুলো বলেন। এ সময় জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ বৈঠকে জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রউফ, জেলা সেক্রেটারি শাহাদাত হোসাইন, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি হাসান মাহবুব মাস্টার, আইন ও মানবাধিকার সেক্রেটারি এডভোকেট শহীদুল ইসলাম ও প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি আসাদুজ্জামানসহ জেলার সকল শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা