তুলে নিয়ে বেঁধে মারধর, মৃত ভেবে দুই ছাত্রদল নেতাকে ফেলে গেল দুর্বৃত্তরা
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:৪৫
চট্টগ্রামের রাউজানে দুই ছাত্রদল নেতাকে তুলে নিয়ে মারধরের পর মৃত ভেবে নদীর চরে ফেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তারা হলেন- মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন (৩২) ও সাজ্জাদ হোসেন (৩০)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। তবে তাদের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন গ্রামের বাধের গোড়ার মাঝের চর থেকে দুই ছাত্রদল নেতাকে উদ্ধার করা হয়। কর্ণফুলী ও হালদা নদীর মোহনার পাশে এই চর অবস্থিত। এ সময় তাদের হাত, পা ও মুখ বাঁধা ছিল। এর আগে বেলা ১টায় নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে দু’জনকে ১০-১২ জনের সশস্ত্র একটি দল অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়।
তুলে নিয়ে যাওয়া দু’জনের মধ্যে জয়নাল আবেদীন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্যসচিব ও সাজ্জাদ হোসেন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি। জয়নালের বাড়ি নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নিরামিশপাড়া এবং সাজ্জাদের বাড়ি কচুখাইন গ্রামে। রাজনৈতিক কারণে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করছেন বিএনপির নেতারা। তারা দু’জন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দু’জনই চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবারের সদস্য ও ইউপি কার্যালয়ে কর্মরত ব্যক্তিরা জানান, দুই ছাত্রদল নেতা জন্মনিবন্ধন সনদ নিতে ইউপি কার্যালয়ে এসেছিলেন। ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল এসে দুইজনকে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। ওখানে চৌধুরীঘাট কূলে নিয়ে দুইজনকে হকিস্টিক, রড ও লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করা হয়। মারা গেছে ভেবে এই জায়গা থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে কচুখাইন গ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদীর মোহনায় থাকা মাঝের চরে হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে দিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তবে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
আহত ছাত্রদল নেতা মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের বাবা শওকত হোসেন বলেন, অপহরণকারীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসীরা তার ছেলেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর মুক্তিপণ চেয়েছিল। টাকা না দেয়ায় পিটিয়ে জখম করে মেরে ফেলতে চেয়েছিল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা