নিম্ন আদালত খালাস দিলেও হাইকোর্টে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০৫
বিয়ের আশ্বাসে একাধিকবার ধর্ষণ; কিন্তু ভিকটিমের পেটে সন্তান আসার পর অস্বীকার। এমন পরিস্থিততে ভিকটিম আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন । এর মধ্যে সন্তানেরও জন্ম দিয়েছেন ভিকটিম।
বিচার শেষে বিচারিক আদালত আসামিকে খালাস দিয়েছেন; কিন্তু হাইকোর্ট বিভাগ আসামিকে ছাড় দেননি। দিয়েছেন যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড। ব্যয়ভার বহন করতে হবে জন্ম নেয়া শিশুর।
আর শিশুটি মাতৃকুলের পরিবারে থাকতে পারবে বলেও রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের দেয়া এই রায়ের অনুলিপি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়ছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন তৎকালীন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শরীফুজ্জামান মজুমদার।
আবেদনকারী ভিকটিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো: আমিনুল ইসলাম। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো: আক্তার হোসেন ও সৈয়দ আলতাফ হোসেন।
রাষ্ট্রপক্ষ এজাহার থেকে জানা যয়ি, বিয়ের কথা বলে ভিকটিমকে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের টিলাগাঁও এলাকার ছিদ্দিক আলীর ছেলে কাছুম আলী একাধিকবার ধর্ষণ করে। ২০০৫ সালের ৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ সেন্ট্রাল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্ট করান তিনি। টেস্টে গর্ভে সন্তান থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন। গর্ভধারণের পর কাছুম আলী তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এরপর ২০০৬ সালের শুরুতে কাছুম আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ভিকটিম। এর মধ্যে ভিকটিম একটি সন্তানের জন্ম দেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা