শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন নতুন প্রেসিডেন্ট
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
শ্রীলঙ্কার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অনুঢ়া কুমারা দিশানায়েকে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষমতা গ্রহণের পরদিনই পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন। মঙ্গলবার সরকারি এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে পার্লামেন্টে ভেঙে দেয়ার আদেশ দেন তিনি। এর ফলে আগাম সাধারণ নির্বাচনের পথ খুলে গেল। আগামী ১৪ নভেম্বর পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ২১ নভেম্বর পরবর্তী পার্লামেন্টের অধিবেশন আহ্বান করা হবে বলে দেয়া ঘোষণায় বলা হয়েছে। রয়টার্স।
শ্রীলঙ্কায় সর্বশেষ পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়েছিল ২০২০ এর অগাস্টে। আইনপ্রণেতারা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন।গত শনিবার শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দিশানায়েকে জয়ী হন। ঋণগ্রস্ত শ্রীলঙ্কা বিপর্যয়কর অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে আসছে। এ পরিস্থিতিতে দ্বীপ দেশটির ভবিষ্যৎ সংস্কারের রূপরেখা প্রণয়ণের দায়িত্ব পেয়েছেন মার্ক্সবাদী এ রাজনীতিক। কিন্তু যে রাজনৈতিক জোটের প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, সদ্য ভেঙে দেয়া পার্লামেন্টের ২২৫ আসনের মধ্যে সেই ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ারের (এনপিপি) আসন ছিল মাত্র তিনটি। তাই পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নিজের নীতি বাস্তবায়নের জন্য নতুন করে জনসমর্থন চাওয়ার দিকে গেলেন তিনি।
অর্থনৈতিক দুর্দশার জেরে ২০২২ সালে গণবিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। কোভিড মহামারীর পাশাপাশি দুর্বল রফতানিসহ নীতিগত ত্রুটির কারণে শ্রীলঙ্কায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। সরকারি ঋণের পরিমাণ ৮৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ৭০ শতাংশ বেড়েছিল মূল্যস্ফীতি। এ সঙ্কটের জন্য রাজাপাকসে ও তার সরকারকেই দায়ী করা হয়। রাজাপাকসের উত্তরসূরি প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে অর্থনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ নেয়ায় মূল্যস্ফীতি কমেছে, দেশটির রুপিও শক্তিশালী হয়েছে। কিন্তু মানুষের দুর্দশা এখনো কাটেনি।
২০২২ সালে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক সঙ্কটের পাশাপাশি লাগাতার দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক দায়মুক্তির বিষয়গুলোর প্রেক্ষাপটে দেশটির জনগণ ভিন্ন ধারার রাজনৈতিক নেতৃত্ব চেয়েছিল। জনগণের সে চাওয়াকেই সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়েছেন দিশানায়েকে। তিনি আগে থেকে বারবারই বলে এসেছেন, ক্ষমতায় গেলে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করার পরিকল্পনা আছে তার। বিবিসি সিংহলীকে দেয়া সাক্ষাৎকারেও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, নির্বাচিত হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই এ উদ্যোগ নেবেন। তার কথায়, ‘যে পার্লামেন্টে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন নেই, সে পার্লামেন্ট রাখারও কোনো মানে নেই।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা