২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর ইন্তেকাল

বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর ইন্তেকাল -

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ও দৈনিক সংগ্রামের চিফ রিপোর্টার রুহুল আমিন গাজী আর নেই। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রুহুল আমিন গাজীর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি কিডনি ও লিভারসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে নামাজে জানাজা শেষে তাকে শাহজাহানপুর কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।
তিনি ১৯৫৬ সালের ১২ নভেম্বর চাঁদপুর সদরের গোবিন্দিয়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মৌলভী কফিল উদ্দিন, মা আয়েশা খাতুন। সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের চতুর্থবারের মতো সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি বিএফইউজের মহাসচিব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবাদিক সমাজের দাবি আদায়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ওয়েজবোর্ড গঠন ও বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
রুহুল আমিন গাজীর ইন্তিকালে দৈনিক সংগ্রাম পরিবারে পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পাবলিকেশন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুর রব, ভাইস চেয়ারম্যান মোবারক হোসাইন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোহাম্মদ নূরুল আমিন, দৈনিক সংগ্রামের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন খান গভীর শোক প্রকাশ করেন। তারা তার রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য রোববার রাতে রুহুল আমিন গাজীকে ব্যাংককে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। ওই দিন রাত আড়াইটায় তার ফ্লাইট ছিল। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়া এবং বিমানে ভ্রমণের উপযোগী না হওয়ায় বিমানবন্দর থেকে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
তারেক রহমানের শোক : সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ^াসী মরহুম রুহুল আমিন গাজী বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মহান ব্রতকে সামনে রেখে যেভাবে নিরলস কাজ করেছেন, সেটি তাঁর সতীর্থ সাংবাদিকরা চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে অনুসরণ করবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। তার শূন্যতা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। পরম করুণাময় আল্লাহর দরবারে মুনাজাত করি তিনি যেন তাকে বেহেশতবাসী করেন।’ তারেক রহমান শোকবার্তায় রুহুল আমিন গাজীর মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারবর্গ, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শোক : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক শোকবার্তায় বলেন, দেশের স্বনামধন্য সিনিয়র সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর মৃত্যুতে আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। সাংবাদিকতা জীবনে তার মতো একজন নির্ভীক সাংবাদিকের পৃথিবী থেকে চিরবিদায় দেশবাসীর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার কর্তৃক গণতন্ত্র হরণ ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের গণবিরোধী আচরণের বিরুদ্ধে তিনি সবসময়ই ছিলেন সোচ্চার। সাংবাদিকতার পেশাগত দায়িত্ব পালনে বরাবরই তিনি ছিলেন নির্ভীক ও দ্বিধাহীন। অবৈধ সরকারের রক্তচক্ষুর কাছে তিনি কখনোই মাথানত করেননি। আমি মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার, আত্মীয়স্বজন, সতীর্থ ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’


আরো সংবাদ



premium cement