২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

অস্থিরতা অব্যাহত পোশাক খাতে

অর্ডারের ২০ শতাংশ চলে গেছে প্রতিবেশী দেশে
-


দেশের পোশাকশিল্প কারখানাগুলোতে অস্থিরতা অব্যাহত রয়েছে। এ অস্থিরতার প্রভাবে এরই মধ্যে ভারতসহ অন্যান্য দেশে বিদেশী ক্রেতারা বিপুল অঙ্কের ক্রয়াদেশ স্থানান্তরিত করেছেন বলে জানা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। তাদের মতে, বাংলাদেশে তৈরী পোশাক খাতে যত বেশি অস্থিরতা বিরাজ করবে তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ আর লাভবান হবে প্রতিবেশীরা। এ বিষয়ে সবাইকে নজর রাখার আহ্বান জানিয়েছেন দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ীসমাজ।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার অনুসারীরা এবং ভারতীয় এজেন্সি অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য বিক্ষোভে উসকানি দিচ্ছে। দেশের তৈরী পোশাক খাতে অস্থিরতার পেছনে ‘বিদেশী শক্তির’ ইন্ধনও দেখছেন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। তারা মনে করেন, ঢাকার আশুলিয়ায় অবস্থিত শিন শিন অ্যাপারেলস একটি তৈরী পোশাক (আরএমজি) কারখানা। এ প্রতিষ্ঠানে অন্য যেকোনো কারখানার তুলনায় সুযোগ-সুবিধা বেশি দেয়া হয়ে থাকে। তবে নানা ষড়যন্ত্রের কারণে প্রতিষ্ঠানটিতে শুরু হয় শ্রমিক আন্দোলন। ফলে প্রতিষ্ঠানটিতে উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

পোশাককারখানাগুলোতে অব্যাহত শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে একাধিক বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি। ফলে কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা। শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারার অধীনে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ‘কাজ নেই, বেতন নেই’ নীতি তারা গ্রহণ করেছেন।
শিন শিন অ্যাপারেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল সাদাত নয়া দিগন্তকে বলেন, শ্রমিক অসন্তোষ দূর করার জন্য ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সরকারি কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং শ্রমিক নেতাদের সাথে একাধিকবার মিটিং হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অগ্রগতি লক্ষ করা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে মোতায়েনের পরেও শ্রমিক অসন্তোষ দূর হচ্ছে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, কারখানা বন্ধ থাকায় বিদেশী ক্রেতারা যেসব অর্ডার দিয়েছে তা তৈরি করা যাচ্ছে না। তবে নির্ধারিত সময়ে শিপমেন্ট নিশ্চিত করতে তারা অন্য কারখানার মাধ্যমে প্রায় তিন লাখ পিস পোশাক তৈরি করেছেন; কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে ক্রেতারা নতুন কোনো কাজের অর্ডার দেবে কি না এ ব্যাপারে তার কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন ‘আমি এই মুহর্তে হতাশ বোধ করছি। আমরা কিভাবে আমাদের ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখব সে সম্পর্কে সত্যিই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে’। সোহেল সাদাতের মতো অনেক পোশাককারখানার মালিক তাদের ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। কারণ ৩১ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া শ্রমিকদের চলমান অসন্তোষের কারণে পোশাকশিল্প একটি সঙ্কটময় সময়ের মুখোমুখি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন যে, বিদেশী ক্রেতারা ইতোমধ্যে তাদের প্রায় ২০ শতাংশ অর্ডার বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশ যেমন ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কায় স্থানান্তরিত করেছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে এসব ক্রেতা নতুন অর্ডার দেয়ার বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। বিদেশ ক্রেতাদের মধ্যে এখনো স্বস্তি না ফেরায় ক্রয়াদেশ ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমার আশঙ্কা করছেন রফতানিকারকরা।
বিশ্ববাজারে পোশাক রফতানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। রফতানি আয়ের ৮৫ শতাংশই আসে তৈরী পোশাক খাত থেকে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর রফতানিমুখী তৈরী পোশাককারখানাগুলো পুরোদমে উৎপাদনে ফিরে আসে। তবে শ্রমিক অস্থিরতার কারণে বিদেশী ক্রেতাদের মধ্যে অনিশ্চয়তা কাজ করছে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম নয়া দিগন্তকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে পোশাক খাতে অনেক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশী বায়াররা পূর্ণ মাত্রায় অর্ডারের তুলনায় কম অর্ডার দেবেন এটিই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আমরা মনে করছি প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ অর্ডার আমাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। অর্থাৎ শ্রমিক আন্দোলনের আগে যে অর্ডারগুলো নিয়ে আমাদের সাথে কথা হচ্ছিল সেগুলো প্লেস হওয়ার কথা ছিল, অর্ডার পাওয়ার কথা ছিল; সেগুলো কিন্তু আমরা পাইনি।’
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, শুধু গত শনিবারই অন্তত ৯টি কারখানা শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা প্রয়োগ করে বন্ধ করা হয়েছে। ছয়টি কারখানার শ্রমিক কাজ করতে অস্বীকার করায় তারা উৎপাদন স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছেন।

বিজিএমইএ তথ্যানুসারে শ্রমিক বিক্ষোভ ১৯ আগস্ট ঢাকা ইপিজেড গেটে শুরু হয়। সেখানে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে কাছাকাছি কারখানায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে বিক্ষোভের প্রভাব কম থাকলেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মো: সারোয়ার আলম বলেছেন, ‘পোশাকশিল্পে অসন্তোষের পেছনে এই শিল্পের ভেতরের কেউ খেলছে কি না, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তৃতীয় পক্ষ (বিদেশী) কাজ করছে কি না, তা জানতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে।’
শ্রমিক অসন্তাষের পেছনে বিদেশী ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না প্রশ্ন করলে শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলছেন ‘আমরা ইতোমধ্যে এমন কিছু তথ্য পেয়েছি যেটি ওই বিষয়টিই ইঙ্গিত করে। এটা একটি সিজনাল বিজনেস। মার্কেটে যে প্রোডাক্টটা যাবে সেটি তিন মাস আগেই প্রস্তুত করতে হয়। সেই অর্ডারগুলো অনেক জায়গায় বাতিল হয়ে যাচ্ছে। প্রায় ১৫-২০ শতাংশ অর্ডার বাতিল হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি কিছু নির্দিষ্ট দেশের বায়াররা অর্ডারটা নেয়ার জন্য লবি করছে, উঠে পড়ে লেগেছে।’

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, ‘শ্রমিক অসন্তোষের পেছনে শ্রমিক নামধারী কিছু দুর্বৃত্ত কাজ করছে। এ ছাড়া সাবেক এক সংসদ সদস্য ও মুরাদ জং-এর অনুসারীদের হাত রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি জানান, গাজীপুরে বেতন ও হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি, মোবাইল নিয়ে কারখানায় প্রবেশসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছেন পোশাক কারখানাসহ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা।
বেতনভাতা বৃদ্ধিসহ ১২ দফা দাবিতে গতকাল কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেন কোকোলা ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা। এসময় তারা কালিয়াকৈরের মৌচাক তেলিরচালা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অবরোধ করে ও গাড়ি ভাঙচুর করে। এসময় প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে যাত্রী, চালক ও পথচারীদের।

শ্রমিকদের ১২ দফা দাবিগুলো হলো, সরাকারি গ্রেড অনুযায়ী সর্বনিম্ন বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা করতে হবে, হাজিরা বোনাস ৮০০ টাকা করতে হবে, বার্ষিক এবং সরকারি ছুটি প্রদান করতে হবে, জমাকৃত অর্জিত ছুটির টাকা বছরের প্রথম মাসে পরিশোধ করতে হবে, যথাসময়ে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে, নারীশ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি বেতনসহ দিতে হবে, কাজ করা অবস্থায় কোনো শ্রমিক অসুস্থ বা কোনো ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হলে সুস্থ হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ বহন করতে হবে, চাকরির বয়স ৬ মাস হলে ঈদবোনাস দিতে হবে, কোনো কারণে চাকরিচ্যুতি এবং বহিষ্কার করা হলে তিন মাসের বেতন দিতে হবে, প্রতি ফ্লোরে একজন করে শ্রমিক নেতা দিতে হবে, রাত ৮টার পর কাজ করালে টিফিন বিল দিতে হবে, আন্দোলনরত শ্রমিকদের মামলা, হামলা হয়রানি বা চাকরিচ্যুতি করা যাবে না এবং কারখানার আয়োজনে প্রতি বছর পিকনিকের ব্যবস্থা করতে হবে।

মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ : গাজীপুরের বাঘের বাজার এলাকায় বেতন বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে কারখানার শ্রমিকরা।
গতকাল সকাল ৮টায় পলমল গ্রুপের মন্ডল ইন্টিমিটস লিমিটেডের শ্রমিকরা কারখানায় এসে কাজে যোগ না দিয়ে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে বাঘের বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঢাকাগামী ও ময়মনসিংহগামী উভয় লেন অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে । এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। দুর্ভোগে পড়েন ওই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সদস্য ও শিল্প পুলিশ কাজ করে। শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সাথে কথা বলে মহাসড়ক অবরোধ থেকে সরিয়ে নেয় শ্রমিকদের। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

অপর দিকে, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নতুন বাজার এলাকার এ্যাসরোটেক্স লিমিটেডের শ্রমিকরা ন্যূনতম হাজিরা বোনাস এক হাজার টাকা ও টিফিন বিল বৃদ্ধিসহ গ্রেড অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে।
এছাড়াও গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক নিশ্চিন্তপুর এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বকেয়া বেতনসহ ১২ দফা দাবিতে আন্দোলন করে কোকলা ফুড লিমিটেডের শ্রমিকেরা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদেরকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেয়। পরে শ্রমিকরা কোকোলা ফুড লিমিটেডের মূলফটকের সামনে অবস্থান নেয়।

আশুলিয়ায় ৪ কারখানায় ফের শ্রমিক বিক্ষোভ, ১৯টি বন্ধ : সাভারের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির দাবিতে শ্রমিকরা কয়েকটি কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ করেছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চারটি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের জামগড়া থেকে জিরাবো এলাকায় অবস্থিত এসব কারখানায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখে কারখানার অভ্যন্তরে ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবিতে স্লোগান দেন।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, ‘ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা দাবি তুলে কয়েকটি কারখানায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘শিল্পাঞ্চলে আজও বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬-এর ১৩ (১) ধারায় কমফিট কম্পোজিট লিমিটেড, নাসা সুপার কমপ্লেক্স লিমিটেড, সেতারা গ্রুপ, শিন শিন অ্যাপারেলস লিমিটেড, জেনারেশন নেক্সট, ভিনটেজ গার্মেন্টস লিমিটেড, আঞ্জুমান ডিজাইনার্স লিমিটেডসহ ১৫টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ছিল। এ ছাড়া চারটি কারখানায় সাধারণ ছুটি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।’
শ্রমিকরা জানান, ডেকো গামের্ন্টস, এনভয় গামের্ন্টস, সেতারাসহ বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা ২৫ হাজার টাকা মজুরি নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ করে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চারটি কারখানা কর্তৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। তখন পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement