২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

৩ পার্বত্য জেলায় থমথমে পরিস্থিতি

অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও যান চলাচল বন্ধ
-


পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় দ্বিতীয় দিনের অবরোধে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার ঢাকার সমাবেশ থেকে জুম্ম ছাত্র-জনতা পার্বত্য তিন জেলায় টানা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দেয়। খাগড়াছড়িতে আলোচিত ফার্নিচার ব্যবসায়ী মামুন হত্যাকাণ্ডে তিনজনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ পাহাড়ি ও বাঙালিকে আসামি করে মামলা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী মুক্তা আক্তার বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আসামিরা হলেন- মো: শাকিল (২৭), মো: রফিকুল আলম (৫৫) ও মো: দিদারুল আলম (৫০)। খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন মৃধা মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

গতকাল তিন জেলা থেকে দূরপাল্লার কোনো যান ছাড়েনি। খাগড়াছড়িতে অভ্যন্তরীণ যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও রাঙ্গামাটিতে তাও চলেনি। তবে বান্দরবানে পরিস্থিতি থমথমে থাকলেও স্থানীয় অফিস ও দোকানপাট সবই খোলা ছিল। গতকাল রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ওই দিকে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ থাকায় রাঙ্গামাটির সাজেকে ৮ শতাধিক পর্যটক আটকে আছে বলে জানা গেছে।
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, বাদি মুক্তা আক্তার এজাহারে অভিযোগ করেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার দিকে তার স্বামী মো: মামুনকে এবং ভোর ৫টার দিকে দোকান কর্মচারী শাহীনকে অন্য আসামিদের নির্দেশে মো: শাকিল জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তিনি জানতে পারেন যে, ফেসবুকে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কয়েকজন ব্যক্তি মিলে উল্লিখিত আসামিদের উপস্থিতিতে মামুনকে হত্যার চেষ্টা করছে। পরে জানতে পারেন তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে এবং লাশ সদর হাসপাতালে আছে।

বুধবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো: মামুনকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার জেরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন অঞ্চলসহ রাঙ্গামাটিতে। দীঘিনালায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয় অর্ধশতাধিক দোকানপাট। সহিংসতায় খাগড়াছড়িতে তিনজন ও রাঙ্গামাটি একজনসহ মোট চারজন নিহত হয়। আহত হয় বেশ কয়েকজন।
এদিকে ৭২ ঘণ্টার অবরোধে জেলায় দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ ছিল দূরপাল্লার সব যান চলাচল। শহরের ভেতর যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও খাগড়াছড়ির সাথে সব উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, জেলাজুড়ে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।

চলমান অবরোধের কারণে সাজেকে আটকা পড়েছেন আট শতাধিক পর্যটক বলে জানিয়েছেন সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী। সাজেক যাওয়ার উদ্দেশে খাগড়াছড়িতে আসা পর্যটকরাও ফিরতে পারছেন না তাদের গন্তব্যে। বাঘাইছড়ির উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিরীন আক্তার জানিয়েছেন পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি জানান, অবরোধ ও যানবাহন মালিক-শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্ট কালের কারণে রাঙ্গামাটির অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটে সব ধরনের যানবাহন ও নৌযান চলাচল বন্ধ থাকে। যাত্রী ও পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শহরজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গতকাল বেলা ১১টা থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার নেয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন।
শনিবার স্বরাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার ও পার্বত্য উপদেষ্টাসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা রাঙ্গামাটি পরিদর্শনে এসে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মতবিনিময় সভা করেন। যেকোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে রাঙ্গামাটিতে অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, জনমনে আতঙ্কাবস্থা বিরাজ করলেও জেলার সর্বত্র পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমা সবকিছুই খোলা রয়েছে। তবে বান্দরবান কাপ্তাই ও রাঙ্গামাটি সড়কে হালকা যানবাহন চলাচল করলেও যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় বাস মালিক সমিতি গত দু’দিন এ সড়কে যাত্রীবাহী বাস চলাচল থেকে বন্ধ রেখেছে। ফলে পর্যটকদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাত্রীরা চলাচল করছে রাঙ্গামাটি বান্দরবান সড়কের বিভিন্ন জায়গায়। অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে প্রশাসন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন।

রাঙ্গামাটিতে সম্প্রীতি সমাবেশ
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি জানান, রাঙ্গামাটিতে সহিংস ঘটনা পরবর্তী সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সম্প্রীতি সমাবেশে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ খান সভাপতিত্ব করেন। এ সভায় উপস্থিত ছিলেন সদর জোন কমান্ডার লে: কর্নেল মো: এরশাদ হোসেন, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, জেলা সিভিল সার্জন ডা: নুয়েন খীসা, জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু, সাধারণ সম্পাদক এড. মামুনুর রশীদ মামুন, জেলা জামায়াতের আমির মো: আব্দুল আলীম, আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজিব চাকমা, সিএনজি অটো রিকশা মালিক সমিতির সভাপতি মো: আলী বাবর, কাঠালতলী মৈত্রি বিহারের সাধারণ প্রবীর চন্দ্র দেওয়ান, জেলা ইসলামী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো: নুর হোসেন, জেলা রাজবনবিহারের সাধারণ সম্পাদক অমিয় খীসা, জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন ও চালক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান, জেলা জামায়াতের সহসাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, বনরুপা মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: আইয়ুব চৌধুরী প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, শুক্রবার রাঙ্গামাটিতে যে ঘটনা ঘটেছে তা কারোই কাম্য ছিল না। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা না ঘটে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা চাই রাঙ্গামাটিতে সব সম্প্রদায় সম্প্রীতির মনোভাব নিয়ে মিলেমিশে থাকুক।
সভায় রাঙ্গামাটি শহরকে সংঘাতমুক্ত রাখতে সব সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকে নিজ নিজ সম্প্রদায়ের মানুষকে সচেতন করার আহ্বান জানানো হয়।
কাপ্তাইয়ে সর্বাত্মক ধর্মঘট পালিত
রাঙ্গুনিয়া-কাপ্তাই (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, কাপ্তাই-আসামবস্তী সড়কে সিএনজি চালকদের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে গতকাল সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। ধর্মঘটের প্রথম দিনে কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের বারঘোনিয়া রেশম বাগান চেক পোস্ট, উপজেলা সদর বড়ইছড়ি, শীলছড়ি, ব্যাঙছড়ি ও কাপ্তাই নতুন বাজার এলাকায় রাস্তায় সিএনজিচালকরা অবস্থান নিয়ে ধর্মঘট পালন করেন। এ সময় লিচুবাগান-কাপ্তাই, বরইছড়ি-রাঙ্গামাটি, কাপ্তাই-আসামবস্তী সড়কে সবধরনের যানচলাচল বন্ধ ছিল। ধর্মঘট চলাকালে উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান সিএনজিচালক সমবায় সমিতির সভাপতি মো: আবদুল মন্নান মনু ও সাধারণ সম্পাদক মো: সোলাইমান সালমান বলেন, সিএনজিচালকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিক ও সাধারণ জনতার অংশগ্রহণে সর্বাত্মক পরিবহন ধর্মঘট পালিত হচ্ছে।

কাপ্তাই অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো: দিদারুল আলম বলেন, গত শুক্রবার বিকালে আসামবস্তী সড়কে কাপ্তাই সিএনজিচালক সমিতির সদস্য মো: মামুন, মো: ফারুকের ওপর ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে রাঙামাটি জেলা সিএনজিচালক সমিতির উদ্যোগে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। আমরা এর বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাবো।
এদিকে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল দুপুরে পরিষদ সম্মেলন কক্ষ কিন্নরী তে "উপজেলা সামাজিক সম্প্রীতির সভা" কাপ্তাই ইউএনও মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন কাপ্তাই সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্বরূপ মুহুরী, কাপ্তাই স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রুইহ্লা অং মারমা, কাপ্তাই থানার ওসি আবুল কালাম প্রমুখ।

সহিংসতার ঘটনায় নিন্দা : রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে সংঘটিত সহিংসতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাঙ্গামাটি জেলা। একই সাথে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে হামলা-লুটপাটকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় এনে জন-জীবন স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়েছেন। শনিবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাঙ্গামাটি জেলার আমির মোহাম্মদ আবদুল আলীম ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
গত শুক্রবার রাঙ্গামাটি শহরে সংঘটিত উপজাতি-বাঙালি সংঘর্ষে আহতদের দেখতে ও চিকিৎসার খোঁজ নিতে সদর হাসপাতালে যান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাঙ্গামাটি জেলা নেতৃবৃন্দ। তারা আহতদের পরিবারকে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন এবং চিকিৎসার বিষয়ে রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলেন।

এসময় রাঙ্গামাটি জেলা আমীর মুহাম্মদ আবদুল আলীম, সেক্রেটারী মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী সেক্রেটারী মানসুরুল হক, প্রচার সেক্রেটারী এডভোকেট মোঃ হারুন-অর-রশীদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সেক্রেটারী এডভোকেট জিল্লুর রহমান প্রমূখ।
পরে নেতৃবৃন্দ সংঘর্ষের সময় ক্ষতিগ্রস্ত দোকান-পাট, বাড়ি-ঘর পরিদর্শন করেন। এসময় তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে আহতদের চিকিৎসা ও ব্যবসায়ী ভাইদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তাঁরা বলেন, ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট পতিত সরকারের দোসররা পার্বত্য এলাকাকে অস্থিতিশীল করে উপজাতি-বাঙালি সংঘর্ষ বাঁধিয়ে ফায়দা লুটতে চায়। এমতাবস্থায় পার্বত্য এলাকার উপজাতি-বাঙালিসহ সকল সম্প্রদায়ের সম্প্রীতি বজায় রেখে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।
অপর এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সহিংসতায় জান ও মালের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা অবিলম্বে সংঘর্ষে জড়িতদের শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে পুনর্বাসনের দাবি জানান।

 


আরো সংবাদ



premium cement