১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১, ৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের ওপর হামলায় ঢাবিতে প্রতিবাদ

-

পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কর্তৃক বাঙালি নিরস্ত্র নাগরিক হত্যা, মসজিদে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট বন্ধ ও মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী।
গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’- ব্যানারে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থানরত নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণে সন্ত্রাসীদের চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা, সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবি করা হয়। দাবিগুলো হলো : ১. পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থানরত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। ২. পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল প্রকার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে যাব। ৩. পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরস্ত্র সাধারণ নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে সেনাবাহিনীকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে এবং নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা জায়গাগুলোতে সেনা ক্যাম্প বাড়াতে হবে। ৪. পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির অসাংবিধানিক ধারাগুলো বাতিল করতে হবে।
সমাবেশে সমতলে খবর দে জুমল্যান্ডের কবর দে; আমরা সবাই বাংলাদেশী, কেউ নয় আদিবাসী; আদিবাসী বলে যারা, বাংলাদেশের শত্রু তারা; জুম্মল্যান্ড চাই বলে যারা বাংলাদেশের শত্রু তারা; মামুন ভাই মরল কেন প্রশাসন জবাব চাই ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
পাহাড়ে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য আওয়ামী লীগ ও ভারতকে দায়ী করে সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী মিনহাজ তৌকি বলেন, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর ভারতের মদদে পরিকল্পিতভাবে সারা দেশে নানা সেক্টরে অস্থিরতা, অস্থিতিশীলতা তৈরির অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক এই সংঘাত ও সন্ত্রাসী তৎপরতাও তাদের সেই চক্রান্তেরই ধারাবাহিকতা মাত্র। কেননা, শুরু থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে উপজাতীয়রা তাদের ৫% কোটার দাবিতে মিছিল, মিটিং, আন্দোলন করেছে। কিন্তু ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকেই তারা ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। তারা নিজেদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অংশীদার দাবি করে নতুন বিভিন্ন দাবিতে সংঘটিত হতে শুরু করে এবং খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে তারা ধারাবাহিক কর্মসূচিও পালন করতে থাকে। তখন থেকেই অনুমান করা যাচ্ছিল যে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের বদলা হিসেবে ভারত তাদের দোসরদের মদদ দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে আবারো ষড়যন্ত্র শুরু করবে। বাস্তবে সেটারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে সাম্প্রতিক তাদের উগ্র সাম্প্রদায়িক হামলা, হত্যা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনার মাধ্যমে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা যারা করছে তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
পাহাড়ে বাঙালিদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনারা কেউই জানেন না বাঙালিরা তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হতে পারবে না, স্থায়ী পরিষদের চেয়ারম্যান হতে পারবে না। আমাদের সেখানে জিম্মির মতো রাখা হয়। আজকে ৫০ বছর ধরে পাহাড়ে যারা মারা গেছে তারা শুধু বাঙালি নয়, তারা ধর্মীয়ভাবে মুসলিমও। যারা ইসলাম নিয়ে রাজনীতি করছেন ফিলিস্তিন নিয়ে কাশ্মীর নিয়ে তারা ব্যাপক চিন্তিত, কারণ তারা মুসলিম। আপনাদের কি পাহাড়ের নির্যাতিতদের মুসলিম মনে হয় না? পাহাড়ে বাঙালি নির্যাতনের ইতিহাস টেনে তিনি বলেন- তাদের এই খেলা নতুন নয় তারা এটা শুরু করেছে ৭৩ থেকে। প্রথমে শুরুতেই পার্বত্য চট্টগ্রামে কোনো সেনাশাসন ছিল না। যখন সেখানে পুলিশ বাহিনী অনিরাপদ হয়ে পড়ে তখনই প্রয়োজন হয় সেনাবাহিনীর। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিবেচনায় আবার চট্টগ্রামে অবস্থানরত সব বাঙালি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণে সব সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে সেনাশাসনের তৎপরতা বাড়াতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
বোয়ালমারীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু কালীগঞ্জ থানায় ওসি ছাড়াই ৩ সপ্তাহ পার ৬ উপদেষ্টার দফতর পুনর্বণ্টন জামালপুরে যুবলীগ ও আ’লীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৫ মিরসরাইয়ে বিয়ের আগের রাতে তরুণীর আত্মহত্যা বৈষম্যহীন সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে চায় জামায়াত : গোলাম পরওয়ার সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবি হেফাজতের বাসসের নতুন পরিচালনা বোর্ডে দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন কাউকে খুন করে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসেননি : বরকত উল্লাহ জুলাই গণহত্যার দ্রুত বিচার কার্যকরের দাবিতে সুস্পষ্ট রূপরেখা প্রণয়নের আহ্বান ছাত্রশিবিরের

সকল