২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

ঢাবিতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে হত্যা

পরিকল্পনাকারী ছাত্রলীগ নেতাসহ তিনজন আটক
-

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঢাবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হলে শাহবাগ থানা পুলিশ সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ পাঁচজনকে আটক করেছে। তারা হলেন- ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো: জালাল মিয়া (২৫), মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া (২১), পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মো: মোত্তাকিন সাকিন, গণিত বিভাগের আহসান উল্লাহ (২৪) এবং জিওগ্রাফির আল হোসেন সাজ্জাদ।
জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেনকে আটক করে কয়েক দফায় পেটায় ওই হলের একদল শিক্ষার্থী। রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ থেকে জানা গেছে, উক্ত হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্বদানকারী ছিলেন হল ছাত্রলীগের সদ্য পদত্যাগকারী উপবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক জালাল আহমেদ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে বেশ কয়েক দিন ধরে মোবাইল, বই খাতা ইত্যাদি চুরি হচ্ছিল। বুধবার একদিনেই ৬টি মোবাইল ফোন চুরি হয়। সন্ধ্যার দিকে তোফাজ্জলকে হলে ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহের বশে শিক্ষার্থীরা তাকে নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের সাবেক নেতার নির্দেশে তাকে গেস্টরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে লাথি, কিল-ঘুষি এবং স্টাম্প, বাঁশ দিয়ে দফায় দফায় মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলে হলটির প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ছিলেন। প্রথম দফায় তোফাজ্জলকে মারার পর সে ক্ষুধার কথা বললে তাকে খাওয়ানোর জন্য ক্যান্টিনে নিয়ে যায় কয়েকজন শিক্ষার্থী। খাবার খাওয়া শেষে পুনরায় হলের এক্সটেনশন বিল্ডিংয়ের গেস্টরুমে নিয়ে যাওয়া হয় তোফাজ্জলকে। সেখানে আগে থেকেই ২০-২১, ২১-২২ সেশনের প্রায় ৩০ শিক্ষার্থী ছিলেন। রুমে ঢোকার সাথে সাথে পুনরায় মারধর শুরু হয়। এক ঘণ্টাব্যাপী চলে সেই নির্মম নির্যাতন। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সদ্য পদত্যাগকৃত হল ছাত্রলীগ নেতা জালাল আহমেদ তার হাত বেঁধে ফেলে এবং হাতের ওপরে স্টাম্প রেখে পা দিয়ে মাড়াতে থাকে। ঘটনাস্থলে থাকা শিক্ষার্থীরাও সেখানে তোফাজ্জলকে মুহুর্মুহু কিল ঘুষি মারছিল। দৃশ্যটি এমন ছিল যেন হতাযজ্ঞ খেলায় মেতে উঠেছে তারা। ঘটনার একপর্যায়ে জালাল হঠাৎ জোরে গোপনাঙ্গে আঘাত করলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পরে জ্ঞান ফিরলে পানি খেতে দেয়া হয়। জালাল পুনরায় উৎসাহ দিয়ে বলে, মার শালারে ইচ্ছা মতো মার; একেবারে মাইরা ফেলিস না। এ সময় দিয়াশলাই দিয়ে তোফাজ্জলের পায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় ছাত্রলীগের এই নেতা। সুমন নামের এক শিক্ষার্থী মাথার ভ্রƒ ও চুল কেটে দেয়। ওখানে থাকা এক শিক্ষার্থী জালালকে বলেন, ভাই এগুলো আপনারা কী করছেন? তা শুনে হাসতে থাকে জালাল। সে সময় হলের সিনিয়ররা বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তাদের দিকে তেড়ে যায় জালাল ও সুমন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফজলুল হক মুসলিম হলের এক শিক্ষার্থী নয়া দিগন্তকে বলেন, মারধরকারীরা চেষ্টা করছিল মারধর করে তার স্বীকারোক্তি নেবে যে চুরি হওয়া ফোন সেই নিয়েছে। মারধরের একপর্যায়ে দুই-তিনটা ফোন নম্বর দেয় তোফাজ্জল। সেই নাম্বারে ফোন দিলে অপর পাশ থেকে জানানো হয় মানসিক ভারসাম্যহীন। কিন্তু ওরা (শিক্ষার্থীরা) তা বিশ্বাস করতে চায়নি। সেখানে আসা শিক্ষকদের সামনেও তোফাজ্জলকে পেটানো হয়। শিক্ষকরা বাধা দিতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তিনি আরো বলেন, রাত ১০টার দিকে হলের হাউজ টিউটররাসহ প্রক্টরিয়াল টিম আসে। কিছু অভিযুক্তরা তাদের কাছে তোফাজ্জলকে দিতে চাচ্ছিল না। ২৫ মিনিট ধরে শিক্ষকরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু স্যারদের কথা তারা মানেনি। পরে প্রক্টরিয়াল টিম বুঝতে পারে তোফাজ্জলের অবস্থা খুবই খারাপ। এত মারলে কেউ বাঁচতে পারে না। তার মাংসগুলো খসে পড়ে গেছে। তার গোপনাঙ্গে প্রচুর আঘাত করা হয়েছে। আঙুলগুলো পুরো ছেঁচে ফেলা হয়েছে। পরে অবস্থা খারাপ দেখে একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পাঁচ-ছয়জনের একটি দল তোফাজ্জলকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসক তোফাজ্জলকে মৃত ঘোষণা করলে সরে পড়ে ওই শিক্ষার্থীরা। গতকাল হাসপাতালে এসে মো: বেলাল গাজী নামে এক ব্যক্তি তোফাজ্জলকে নিজের বন্ধু পরিচয় দিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
নিহত তোফাজ্জল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন
বরগুনা প্রতিনিধি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার তোফাজ্জল হোসেন বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানী গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন। জানা যায়, ২০১১ সালে তার বাবা, ২০১৩ সালে মা এবং ২০২৩ সালে একমাত্র বড় ভাইও মারা যান। প্রেমসংক্রান্ত বিষয়ে আরো আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন তোফাজ্জল। পরিবার ও অভিভাবকহীন হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতেন তিনি। মানসিক ভারসাম্য হারানোর আগে তিনি কাঁঠালতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
তোফাজ্জলের চাচাতো ভাই ফারুক হোসেন বলেন, আমরা আজ সকালে শুনেছি তোফাজ্জলকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এখন ঢাকা মেডিক্যালে ময়নাতদন্তের জন্য নেয়া হয়েছে। সাথে আছেন চাচাতো ভাই শাহাদাত হোসেন। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হবেন। লাশ আনার পর নামাজে জানাজা শেষে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে। তিনি আরো বলেন, তোফাজ্জলের বাবা আবদুর রহমান মারা গেছেন ২০১১ সালে, মা বিউটি বেগম মারা যান ২০১৩ সালে এবং ভাই পুলিশের এএসআই নাসির উদ্দিন মারা যান ২০২৩ সালে। তোফাজ্জলের চাচা ফজলুল হক বলেন, তোফাজ্জলকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দুঃখ প্রকাশ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফজলুল হক মুসলিম হলে সংঘটিত অমানবিক এবং অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাটির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুঃখিত ও মর্মাহত। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুততার সাথে প্রয়োজনীয় আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রক্টরিয়াল টিম বিষয়টি অবগত হওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ ঘটনায় তদন্তে গঠিত কমিটি দ্রততম সময়ে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য ইতোমধ্যে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সব মহলকে আশ্বস্ত করা যাচ্ছে যে, এ বিষয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বদ্ধপরিকর।
তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন যারা : অনুসন্ধান ও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, তোফাজ্জলকে সবচেয়ে বেশি মারধর করেছেন ছাত্রলীগের সদ্য পদত্যাগ করা উপবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ফিরোজ, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের আব্দুস সামাদ, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মোত্তাকিন সাকিনসহ প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী। নির্যাতন করা শিক্ষার্থীদের সবাই ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থী।
শাহবাগ থানায় মামলা, আটক ৫ : গতকাল ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান তোফাজ্জল হত্যায় পাঁচজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে এ ঘটনায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ।
বিচার চেয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল : সন্দেহের বশে নির্মম প্রহারে তোফাজ্জল হত্যার প্রতিবাদে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ‘গণতন্ত্রকামী শিক্ষার্থীরা’ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল শুরু হয়ে টিএসসি-ভিসি চত্বর হয়ে হলপাড়া ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ক্যাম্পাসে লাশ কেন-প্রশাসন জবাব চাই; ছাত্রলীগের আস্তানা-এই ক্যাম্পাসে হবে না; সাধারণের আড়ালে-ফ্যাসিবাদ চলবে না; ক্যাম্পাসে লাশ পড়ে প্রশাসন কি করে, স্লোগান দেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ কার্ড ব্যবহার করে এখনো ছাত্রলীগের প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য মব জাস্টিসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থীরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
ছাত্ররাজনীতির অনুপস্থিতিতে মব কালচারের বিস্তৃতি ঘটছে : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের আলোচনাটি হঠাৎ সামনে আনা একটি ভুল পদক্ষেপ। গণতান্ত্রিক পরিবেশের অনুপস্থিতিতেই ক্যাম্পাসে মব কালচারের বিস্তৃতি ঘটছে। গতকাল বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশচন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ছাত্রদল সভাপতি রাকিব হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে কয়েক ঘণ্টা ধরে মারধর করে একজনকে হত্যা করার ঘটনাকে আমরা হল প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা বলে মনে করছি। ছাত্রলীগের পদধারী কতিপয় সন্ত্রাসী বর্তমানে সাধারণ শিক্ষার্থী নামে হলগুলোতে অবস্থান নিয়েছে। তারা বিভিন্ন সময়ে ‘মব তৈরি করে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী নামে সক্রিয় এই মবকে প্রশ্রয় না দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।
তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এ ধরনের বিচারহীনতার সংস্কৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। আমাদের দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিস্টবিরোধী সংগ্রাম, ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্যই ছিল এ দেশ থেকে সব অন্যায়, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূরীভূত করা।
তিনি আরো বলেন, একজন ব্যক্তি অপরাধী হলেও তাকে কোনোভাবেই হত্যার কোনো সুযোগ নেই। গতকালের এই দুটি ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে ছাত্ররাজনীতি ক্যাম্পাসের মূল সমস্যা নয়। গত কয়েক বছরের ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থার মধ্যে তৈরি হওয়া সিস্টেমই এখানে খুনি মানসিকতা তৈরি করছে। তাই গোটা ব্যবস্থাটির সংস্কার প্রয়োজন। কোনো কিছু উপড়ে ফেলা সমাধান নয়।


আরো সংবাদ



premium cement