২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

নিউ ইয়র্কে মোদির সাথে ড. ইউনূসের বৈঠক হচ্ছে না

-

নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
গতকাল হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, চলতি মাসে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকের জন্য আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যে টানাপড়েন দেখা দিয়েছে তা দূর করতে সাহায্য করবে- এই আশায় ঢাকা এই বৈঠকের বিষয়ে আগ্রহী ছিল। এক কর্মকর্তা বলেছেন, নিউ ইয়র্কে সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে মোদি কিছু দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. ইউনূসের সাথে কোনো বৈঠক মোদির শিডিউলে নেই। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্য এবং ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্যদের প্রায় প্রতিদিনের মন্তব্যে ভারতের সমালোচনা দিল্লির ভালো লাগেনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিষয়টির সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা বলছেন, এই ধরনের বৈঠক ভারতের এজেন্ডার অংশ নয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে মোদির তিন দিনের সফর ঠাসা শিডিউলে পূর্ণ থাকবে। মোদি আগামী ২১ সেপ্টেম্বরে ডেলাওয়ারের উইলমিংটনে কোয়াড (যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা সংলাপ) নেতাদের সাথে বৈঠকে যোগ দেবেন। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মোদির ভাষণ দেয়ার কথা আছে।
জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে ড. ইউনূসের কোনো বৈঠক হবে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ইতোপূর্বে বলেছেন, সাধারণত নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে শীর্ষ নেতাদের বৈঠক আয়োজনের একটি পদ্ধতি চালু রয়েছে। এ ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া আছে, সেই অনুযায়ী আমরা এগোবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী যদি বৈঠক করতে না চান, আমাদের জোর করার কিছু নেই।
আগামী ২২ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় জাতিসঙ্ঘ ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার সাথে সাত সদস্যের প্রতিনিধিদলে থাকবেন মেয়ে দিনা আফরোজ ইউনূস, এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, একান্ত সচিব শাব্বীর আহমদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকা তিথি। এর বাইরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থাকবেন।
এদিকে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বতিল করা হয়েছে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ম্যানহাটনের টাইমস স্কয়ারসংলগ্ন ম্যারিয়ট মারক্যুইস হোটেলের বলরুমে তাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়ার কথা ছিল। জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এবং নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন চূড়ান্ত করেছিল। কিন্তু সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে নিউ ইয়র্কে প্রবাসীদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন টানাহ্যাঁচড়া শুরু করলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ফলে নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement