২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

হাসিনার ইচ্ছায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট

- প্রতীকী ছবি

- দুই দফা নেতৃত্বে স্বপন ও নূর আলী, এমপিসহ ১০১ জনের সিন্ডিকেটের নেপথ্যে শেখ রেহানা!
- কমিশনের ভাগ যেত মন্ত্রী, সচিব, আইজিপি থেকে থানা ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছে

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেট বানিয়ে শ্রমিক পাঠানোর দ্বার উন্মুক্ত করেছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ইচ্ছা ও স্বাক্ষরেই। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো সারসংক্ষেপে ‘মালয়েশিয়ার সরকার কর্তৃক নির্বাচিত বাংলাদেশী ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশী কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করা প্রসঙ্গে’ এমন তথ্য উল্লেখ রয়েছে।
শেখ হাসিনার স্বাক্ষর থাকার পাশাপাশি সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও তার দফতরের সচিব বেগম শামছুন নাহার স্বাক্ষরিত চার পাতার পাঠানো ওই গোপন প্রতিবেদনটি নয়া দিগন্তের হাতে এসেছে। প্রতিবেদনে ঢাকার প্রভাবশালী ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকের সমন্বয়ে কিভাবে জি-টু-জি প্লাস পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে ‘সিন্ডিকেট’ গঠন এবং ১০ এজেন্সির প্রত্যেকের সাথে আরো ২০টি করে এজেন্সিকে অন্তর্ভুক্ত করে (২০০ রিক্রুটিং এজেন্সি) মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো হবে সেই ব্যাপারে একটি মনিটরিং সেল গঠনের কথাও ওই সারসংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়।
এ দিকে দ্বিতীয়বার সিন্ডিকেট করে পৌনে পাঁচ লাখ শ্রমিক যাওয়ার পর শ্রমবাজার বন্ধের আগ পর্যন্ত যে ১০১ জনের নাম উল্লেখ করে সিন্ডিকেট গঠন হয়েছিল তার নেপথ্যেও শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার ইশারাতেই দ্বিতীয়বার ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের মালিক রুহুল আমিন স্বপনের হাত ধরে সিন্ডিকেট করে শ্রমিক পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েও শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়া সরকারের তৎকালীন এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর হাত ধরে দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূর আলীর নেতৃত্বে আরো একটি সিন্ডিকেট গঠন হয়। ওই সিন্ডিকেট গঠনের পর সদস্য সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১০১ জনে। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান বোয়েসেলও রয়েছে।
প্রথম ১০ জনের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পৌনে তিন লাখ শ্রমিক মালয়েশিয়ায় যেতে পারে। আর দ্বিতীয় দফা সিন্ডিকেট হওয়ার পর দুই গ্রুপের পাঠানো কর্মীর সংখ্যা হয় পৌনে পাঁচ লাখ। এরপর দুই সিন্ডিকেট একে অপরের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো (অনিয়ম, ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ) শুরু করে। একপর্যায়ে অনেকটা তোপের মুখে মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশসহ সোর্স কান্ট্রিভুক্ত দেশগুলো থেকে শ্রমিক নেয়াই বন্ধ করে দেয়, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
অপর দিকে ১০১ জন রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে সিন্ডিকেট গঠন করে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বায়রার একজন সদস্য সম্প্রতি সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদ, সাবেক সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহিন, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম হাজারী, বেনজীর আহমেদ, লে. কর্নেল (অব:) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের স্ত্রী, বায়রার সাবেক মহাসচিব ও ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের মালিক রুহুল আমিন স্বপন, ইউনিক গ্রুপের কর্ণধার মো: নূর আলীসহ মোট ১০৩ জনের নাম উল্লেখ করে সম্প্রতি পল্টন থানায় মানবপাচার আইনে একটি নিয়মিত এজাহার দায়ের করেছেন। এই মামলা দায়েরের পর নানা দিক থেকে হুমকি ও চাপ পাওয়ায় একপর্যায়ে বাদি দেশত্যাগ করতে বাধ্য হন।
২০১৭ সালের ১২ জানুয়ারি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো সারসংক্ষেপে বলা হয়েছিল, মালয়েশিয়া সরকারের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী দাতোশ্রী রিচার্ড রায়ত আনাক জেইম কর্তৃক এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবর ১০-১-২০১৭ তারিখে লেখা স্মারক দেশটির বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাওয়া যায়। বর্ণিত পত্রে বাংলাদেশ থেকে জি-টু-জি প্লাস পদ্ধতিতে কর্মী প্রেরণের জন্য বাংলাদেশী ১০ রিক্রুটিং এজেন্সির নাম মনোনয়ন করা হয়েছে। এর আগে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের লক্ষ্য ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতাস্মারক স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির আওতায় যোগ্যতাসম্পন্ন ৭৪৫টি এবং ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর আরো ৩৪১টিসহ মোট এক হাজার ৮৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা চূড়ান্ত করে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। সারসংক্ষেপে বলা হয়, অনলাইন পদ্ধতিতে কর্মী প্রেরণপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কর্মী প্রেরণপ্রক্রিয়ায় সীমিতসংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সিকে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের সম্পৃত্ত করার আভাস পেয়ে বাংলাদেশী এজেন্সিগুলোর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। অধিকন্তু কোনো কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি কর্তৃক এই বিষয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে, ইতোমধ্যে একটি রিট প্রত্যাহারও হয়েছে।
উল্লেখ্য, জি-টু-জি প্লাস পদ্ধতিতে কর্মী প্রেরণ শুরু হলে বাংলাদেশী অনেক শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। রিক্রুটিং এজেন্সি নির্ধারণের বিষয়ে মালয়েশিয়া প্রান্তে সুরাহা না হওয়ার কারণে এতদিন শ্রমিক প্রেরণ করা সম্ভব হয়নি। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে সে দেশে শ্রমিক প্রেরণের দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে। এ ছাড়া মালয়েশিয়া কর্তৃক মাত্র ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে নির্বাচিত করা হলেও অধিকসংখ্যক এজেন্সিকে এই কাজে সম্পৃক্ত করার উদ্দেশ্যে ওই ১০ এজেন্সির প্রত্যেকের সাথে উপযুক্ত ২০টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে সম্পৃক্ত করে কনসোর্টিয়াম গঠন করা হয়েছে। কর্মীর চাহিদা প্রাপ্তি সাপেক্ষে ওই কনসোর্টিয়াম কী প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ার নির্বাচিত রিক্রুটিং এজেন্সির প্রত্যেকটি অপর ২০টি এজেন্সিকে ভাগ করে দেবে এবং সংশ্লিষ্ট দায়দায়িত্ব কে কিভাবে বহন করবে সে সংক্রান্ত কর্মপদ্ধতি সংশ্লিষ্ট ১০টি এজেন্সির কাছ থেকে বায়রার মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাওয়া গেছে।
সারসংক্ষেপের শেষ দিকে বলা হয়েছে, কনসোর্টিয়ামের গঠনতন্ত্রের আলোকে শর্ত অনুযায়ী মালয়েশিয়ার নির্বাচিত ১০টি এজেন্সির সাথে ২০০ বা ততোধিক এজেন্সির দায়দায়িত্ব যথাযথভাবে প্রতিপালন হচ্ছে কি না তা মনিটর করার জন্য এই মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বয়ে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ সংক্রান্ত বিষয়ে মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। এই অবস্থায় কর্মী প্রেরণের স্বার্থে মালয়েশিয়া কর্তৃক বাংলাদেশী ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে কর্মী প্রেরণ প্রক্রিয়া শুরু করার প্রস্তাব বাংলাদেশ পক্ষে গ্রহণ করা যেতে পারে। অনুচ্ছেদ ৬-এর প্রস্তাব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ বিবেচনা ও সদয় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলো। ওই সারসংক্ষেপের নিচে সায় দিয়ে (১৫-১-২০১৭) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষর ছাড়াও ডান পাশে মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব বেগম শামছুন নাহারের স্বাক্ষর রয়েছে। সারসংক্ষেপের সাথে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও ইউনিক ইস্টার্ন (প্রাইভেট) লিমিটেডের প্যাডে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের নিমিত্তে বায়রার সদস্য ২০টি এজেন্সির সমন্বয়ে কনসোর্টিয়াম গঠন প্রসঙ্গে একটি চিঠি মোহাম্মদ নূর আলী স্বাক্ষরিত চিঠি ২০১৬ সালে ১০ নভেম্বর দেয়া হয়। সেখানে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের জন্য আমার প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হলে বায়রার সদস্যভুক্ত ২০টি রিক্রুটিং এজেন্সির সমন্বয়ে আমরা একটি কনসোর্টিয়াম গঠন করে তাদের মাধ্যমে ৪০ শতাংশ কর্মী নিয়োগ করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর ফলে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে আমার প্রতিষ্ঠান ছাড়াও আরো ২০টি রিক্রুটিং এজেন্সির সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হবে। শ্রমিক প্রেরণ শুরু হলে ২০টি রিক্রুটিং এজেন্সির নামের তালিকা সংযোজন করব।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এই ১০ সদস্যের সিন্ডিকেট মালয়েশিয়ায় দুই লাখ ৭৪ হাজার কর্মী প্রেরণের পর বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে আবারো কূটনৈতিকভাবে চেষ্টার পর শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়। অভিযোগ রয়েছে, দ্বিতীয়বার শ্রমবাজার খোলার পর সরকারি প্রতিষ্ঠান বোয়েসেলসহ মোট ১০১টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে পৌনে পাঁচ লাখ কর্মী মালয়েশিয়ায় যায়। এর মধ্যে বৈধভাবে সবকিছু সম্পন্ন হওয়ার পরও অর্ধলক্ষাধিক শ্রমিককে মালয়েশিয়া সরকার ঢোকার অনুমতি দেয়নি।
গতকাল মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেটে কর্মী পাঠানোতে জড়িত একাধিক মালিক নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে নয়া দিগন্তকে বলেন, আমাদের শ্রম সেক্টরের দুই গডফাদার রুহুল আমিন স্বপন ও নূর আলীর কারণেই মালয়েশিয়াতে সিন্ডিকেট করে লোক গেছে। এর জন্য প্রতি কর্মীর বিপরীতে আমাদের গুনতে হয়েছে অতিরিক্ত এক লাখ ৫২ হাজার টাকা। প্রথমবার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ নূর আলীর হাতে থাকলেও দ্বিতীয়বারে গঠিত সিন্ডিকেটের প্রধান ছিলেন রুহুল আমিন স্বপন। পরে নূর আলী মালয়েশিয়ায় গিয়ে তার নিয়ন্ত্রণে ৩১টি এজেন্সিকে নিয়ে সিন্ডিকেট গঠন করেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন, দ্বিতীয়বার সিন্ডিকেট গঠনের নেপথ্যে ছিলেন শেখ রেহানা। তার ইশারায় সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হতো অভিযোগ করে তারা বলেন, আমরা সাধারণ বায়রা সদস্যদের নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করার পরও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারিনি। কারণ ওই প্রভাবশালীর কারণে কোনো অ্যাকশন হতো না। পরে জানলাম প্রতি শ্রমিক পাঠানোর বিপরীতে সিন্ডিকেটের সদস্যদের এক লাখ ৫২ হাজার টাকা দিলেই ওই শ্রমিকের ক্লিয়ারেন্স হয়। আবার এ-ও শুনেছি, এই টাকা থেকেই মন্ত্রী, এমপি, আমলা, ডিজি, বিএমইটির বহির্গমন শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশের আইজি, কমিশনার থেকে শুরু করে থানা, মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের জন্য প্রতি মাসের কমিশনের টাকা বরাদ্দ রাখা এবং সময়মতো অটো তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হতো। এ ছাড়াও ঢাকার মিডিয়া কর্মীদের নামেও শতকরা সাত টাকা হারে কমিশন বণ্টন করা হতো। তবে এই টাকা কোন কোন সম্পাদক ও সাংবাদিকদের পকেটে যেত সেই তথ্য তারা সঠিকভাবে জানাতে পারেননি। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন, বাংলাদেশের চ্যাপ্টার ১০ সিন্ডিকেট ও পরবর্তী সময়ে ১০১ জনের সিন্ডিকেটের সদস্যরা দেখভাল করলেও মালয়েশিয়ার চ্যাপ্টারের কমিশনের টাকা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত দাতোশ্রী আমিন নূরের মাধ্যমে বিতরণ করা হতো বলে তারা জানতে পারেন।
উল্লেখ্য, ১০ সিন্ডিকেটের সদস্যের মধ্য নূর আলী, রুহুল আমিন ছাড়া বাকি ৮ সদস্য হচ্ছেন- এ বি এম বদরুল আমিন, শেখ আব্দুল্লাহ, মোহাম্মদ বশির, গোলাম মোস্তফা, জয়নুল আবেদিন জাফর, আরিফ আলম, রুহুল আমিন (আমিন ট্যুর অ্যান্ড ট্র্যাভেল), আরিফুল ইসলাম।


আরো সংবাদ



premium cement