ফেলাইনির আফসোস
- রফিুকুল হায়দার ফরহাদ, রাশিয়া থেকে
- ১৪ জুলাই ২০১৮, ১০:৪৭
বিশ্বকপের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল বেলজিয়ামের। ১৯৮৬ সালে মেক্সিকোর মাঠে তাদের এই যাত্রায় বাধা ছিল আর্জেন্টিনা। ৩২ বছর পর রাশিয়ার মাটিতে তাদের আবার হতাশ হতে হলো। এবার তাদের ধেয়ে চলাটা থামিয়ে দেয় ফ্রান্স। গত পরশু সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে ম্যাচের একমাত্র গোল কর্নার থেকে। যা ফ্রান্সকে নিয়ে গেছে ১২ বছর পর এই আসরের ফাইনালে। বিপরীতে ফের শিরোপার শেষ লড়াইয়ে অংশ নেয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে বেলজিয়ামকে। কর্নার নামের যে সেট পীস থেকে গোল হজম বেলজিয়ামের, এই কর্নার থেকে গোল ঠেকানোর জন্য কি অনুশীলনইনা করেছিল তারা। অথচ তাদের হার তা থেকেই। ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে এই নিয়েই আফসোস করলেন মিডফিল্ডার মারওয়ানি ফেলাইনি।
ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডে খেলা এই ফুটবলারের মতে, আমরা জানতাম ফ্রান্স এই ধরনের সেট পীসে খুব ভালো। ফ্রি-কিক কর্নার ইত্যাদি। তাই সেভাবেই প্র্যাটকটিস হয়েছিল। এরপরও আটকানো যায়নি ফরাসিদের গোল। আমরাও কর্নার পেয়েছিলাম। তা কোনো কাজে আসেনি। আরো জানান, দুই প্রান্ত থেকে ক্রসও ভাসানো হয়েছিল ফ্রান্সের পোস্টের সামনে। গোল পাইনি তা থেকেও। তাই এমন হারে খুব হতাশ আমি। তার মতে, আমাদের চেয়ে প্রতিপক্ষ দলে নামকরা ফুটবলারের উপস্থিতি বেশি এটাও তফাৎ গড়ে দেয় খেলায়।
ডিফেন্ডার জেন ভারতোগহেনের বক্তব্য, এই খেলার আগ পর্যন্ত আমরাই ছিলাম এবারের বিশ্বকাপের সেরা দল। এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নেমেছিলাম। তবে আমাদের হারতে হয়েছে ফ্রান্সের রক্ষণাত্মক কৌশলের কাছে। মাঠে তারা আমাদের চেয়ে বেটার ছিল না। এখন আমাদেরকে ১৯৮৬ সালের মতোই সেমি ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হলো।
আরেক ডিফেন্ডার ভিনসেন্ট কোম্পানির মতে, দিনটা ফরাসিদের ভালো গেছে। তবে তারা আমাদের চেয়ে ভালো খেলেনি। এই পরাজয়ে আমরা সবাই ভীষণ হতাশ হলেও গর্বিত পুরো টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্সে। সেমি ফাইনাল ম্যাচটি দুই দলের জন্যই ছিল ফিফটি ফিফটি। আসলে এটাই ফুটবল। ম্যাচে ফ্রান্স যা চেয়েছে তাই করেছে। যোগ করেন, গোলের সুযোগ পেয়েছিল দুই দলই। ফ্রান্স তাদের ডিফেন্সকে শক্তিশালী রেখেই ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করল। আর আমরা যতোই ভালো ম্যাচ উপহার দেই না কেন, দিন শেষে তো আমরা হেরেছি। ফাইনালে না যেতে পারলে এই সব ভালো খেলার মূল্যায়ন কেউ করবে না।