আলোচনায় সেই তুর্কি রেফারি
- বাসস
- ১০ জুলাই ২০১৮, ১৯:১০
আগামীকাল ফুটবল বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে লড়বে ইংল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়া। মস্কোতে বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এ ম্যাচে মূল রেফারির দায়িত্ব পালন করবেন তুরস্কের আলোচিত কুনায়েত চাকির ।
এবারের বিশ্বকাপে দু’টি পরিচালনা করেন চাকির। দু’টি ম্যাচই ছিল গ্রুপ পর্বের। ‘বি’ গ্রুপে মরক্কো-ইরান ম্যাচ এবং ‘ডি’ গ্রুপে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।
দু’টি ম্যাচে মোট ৯টি হলুদ কার্ড দেখান চাকির। চারটি ছিলো ইরান-মরক্কো ম্যাচে এবং পাঁচটি ছিলো আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচে। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে রেফারির চাকিরের সমালোচনা করেন নাইজেরিয়ার অধিনায়ক ও মিডফিল্ডার মিকেল ওবি। চলতি বিশ্বকাপে একমাত্র এ ম্যাচেই রেফারির বিপক্ষে কোন অভিযোগ তুলে কোন দলের খেলোয়াড়রা।
পুরো ম্যাচে ঠিক-ঠাক নিজের কাজ সম্পাদন করতে পারেননি চাকির, এমন অভিযোগ তুলেন ওবি। ম্যাচ চলাকালীন আর্জেন্টিনার বক্সের মধ্যে ডিফেন্ডার মার্কোস রোহোর হাতে বল লাগলে তা এড়িয়ে যান চাকির। ফলে পেনাল্টি বঞ্চিত হয় নাইজেরিয়া। শেষ পর্যন্ত ঐ ম্যাচটি ২-১ ব্যবধানে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে নাইজেরিয়া।
২০০১ সাল থেকে রেফারির হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করছেন চাকির। ২০১৪ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালসহ তিনটি ম্যাচ পরিচালনা করেন ৪১ বছর বয়সী চাকির।
আরো পড়ুন :
এমবাপ্পের ব্যালন ডি’অর পাওয়া উচিত
ক্রীড়া প্রতিবেদক
কিলিয়ান এমবাপ্পের প্রশংসা পঞ্চমুখ বেলজিয়ামের অধিনায়ক হ্যাজার্ডও। ফ্রান্সের ১০ নাম্বার জার্সিধারী ফুটবলারের যেভাবে প্রশংসা করেছেন তাতে ইতোমধ্যে তার ভক্তও হয়ে গেছেন তিনি। আজ দুই দলের মধ্যে ফাইনালে ওঠার লড়াই। এমন সময় তার জন্য সবচেয়ে বেশি হুমকিস্বরূপ সেই এমবাপ্পেকে তিনি যেন আরো উৎসাহ প্রদান করেছেন। কাল তিনি বলেছেন এমবাপ্পে যেভাবে খেলছেন তাতে ইতোমধ্যে তিনি ব্যালন ডি’অর-এর দাবিদার। সেন্ট পিটার্সবার্গে আজ দুই দল লড়াইয়ে অবতীর্ণ। ইউরোপের এ দুই দল একে অপরের বিপক্ষে বেশ ক’বার খেলেছেন। দুই দলই ভালো জানেন প্রতিপক্ষের দুর্বলতা। হ্যাজার্ড সম্ভবত দুই দলের মধ্যে ব্যতিক্রম দেখছেন শুধু এমবাপ্পেকে।
বিশ্বকাপে পিএসজির এ তারকা যেভাবে গতি নিয়ে খেলছেন তা যেকোনো রক্ষণভাগের জন্য চিন্তার কারণ। চেলসির তারকা ফুটবলার হ্যাজার্ড বলেন, ‘বিশ্বকাপে সে যে পারফরম্যান্স ইতোমধ্যে দেখিয়েছেন তাতে তার অবশ্যই ব্যালন ডি’অর পাওয়া উচিত। তার সেটি পাওয়ার যোগ্যতা তার রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি তাকে যেভাবে দেখেছি তার খেলার যে মান, সেটি অনেক উন্নত। সবার সাথে তার খেলার ধরনটা মিলিয়ে ফেলা যাবে না। সে সত্যিই এক্সট্রা কিছু দেখাতে সক্ষম। আমি মনে করি সেটা ওই কৃতিত্বের দাবিদার।’ ফ্রান্সের এ ফরোয়ার্ড দ্বিতীয় রাউন্ডে অনেকটা একাই বিদায় করে দিয়েছেন আর্জেন্টিনাকে। দুটি গোল তিনি নিজে করেছেন। প্রথম গোলটি যেটি পেনাল্টি থেকে করেছিলেন গ্রিজম্যান সেটিও তাকে ফাউল করে ফেলে দেয়ার জন্যই ফ্রান্স পেয়েছিল।
২৭ বছর বয়সী হ্যাজার্ড তার সাথে এমবাপ্পের পুরনো সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘ফোনে তার সাথে বহুবার আমার কথা হয়েছে। সে আমাকে বলেছে সে নাকি আমার অনেক ভিডিও (খেলার) দেখেছেন। যখন সে আরো তরুণ ছিল। আমি বুঝতে পারছি না- আমার কী অনেক বয়স হয়ে গেছে...। কিন্তু আমার তো তেমনটা মনে হচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘এখন আমার সময়- তার খেলার ভিডিও ফুটেজ দেখার। আমি সেটা টাইম টু টাইম দেখিও। তার খেলা দেখে তার ওপর আমার অগাধ আস্থা ও সম্মানবোধ জেগেছে। আমি অবাক হয়ে যাইÑ এমবাপ্পে কী করছে? আমি এখনো এমনটা দেখিনি যে, মডার্ন ফুটবলে একজন ফুটবলারের এতটা দ্রুত উন্নতি ঘটে।’ বেলজিয়ামের এ অধিনায়ক নিজ থেকেই এগিয়ে রাখছেন ফ্রান্সকে। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ফ্রান্স এগিয়ে। কারণ তারা ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়ন দল। এরপর বেলজিয়াম।’