১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ক্রোয়েশিয়া স্মার্ট দল

বিশ্বকাপ, ক্রোয়েশিয়া
ক্রোয়েশিয়া - সংগৃহীত

দুই দলই দ্বিতীয়বারের মতো সেমিফাইনালে খেলার দ্বার প্রান্তে দাঁড়িয়ে। ১৯৬৬ সালের পর আর সেমিতে খেলা হয়নি রাশিয়ার। ৬৬তে সোভিয়েত ইউনিয়ন নামে তাদের অংশগ্রহণ। আর এখন তারা রাশিয়া। যুগোস্লাভিয়া ভেঙে স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে শেষ চারে উঠেছিল ক্রোয়েশিয়া। এবার কোনো দলের ভাগ্যে শিঁকে ছিঁড়বে। সোচির স্টেডিয়ামে কোন দলের ফুটবলারদের মুখে ফুটবে বিজয়ের হাসি। সে উত্তরের অপেক্ষায়। তবে এই নিয়ে কোনো আগাম মন্তব্য করলেন না ডাচ কোচ গাস হিডিংস। এ ক্ষেত্রে তার সতর্ক অবস্থান। এবং উত্তরটা কূটনৈতিক। তবে আকারে ইঙ্গিতে বুঝাতে চাইলেন আজ স্বাগতিকদের বিপক্ষে কিছুটা এগিয়ে বলকান অঞ্চলের দেশটি।

রাশিয়ার ফুটবলের সাথে এই গাস হিডিংসের নাড়ীর সম্পর্ক। পাঁচ বছর রাশিয়া জাতীয় দলের কোচ ছিলেন তিনি। এখন মস্কোতে অবস্থান করছেন। রাশিয়াকে নিজের দ্বিতীয় বাড়ি বলে উল্লেখও করলেন। কিন্তু গা ভাসালেন না আবেগে। বরং আজকের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচকে নিয়ে তার মন্তব্য, ফুটবলে যেকোনো রেজাল্টই হতে পারে। তবে আমার দৃষ্টিতে ক্রোয়েশিয়া স্মার্ট দল।

২০০২ সালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়াকে সেমিফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন গাস হিডিংস। যা এই এশিয়ান দেশটির সর্বোচ্চ বিশ্ব ফুটবলের সেরা এই আসরে। ২০০৬ সালে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ। সেবারই সকারুজরা প্রথমবারের মতো পৌঁছে নকআউট পর্বে। ২০০৮ সালের ইউরোতে রাশিয়া সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল। তা এই দক্ষ কোচের কল্যাণে। সুতরাং রাশিয়া দল সম্পর্কে তার ভালোই জানা।

স্পেন, সৌদি আরব, মিসরকে হারিয়ে রুশরা এখন শেষ চারে উঠার লড়াইয়ে। এই সাফল্যের জন্য তিনি পুরো কৃতিত্ব দিলেন রাশিয়ান কোচ স্টানিসলভ চেরচেভকে। গাস হিডিংসের বক্তব্য, যখন দল সাফল্য পাবে তখন কোচও প্রশংসা পান। কিন্তু দল রেজাল্ট না পেলে সব সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন কোচ।

এখন সফল কোচের তালিকায় চেরচেভ। অথচ বিশ্বকাপের আগে সাত ম্যাচে জয়শূন্য থাকার ফলে কী সমালোচনাই না হয়েছিল এই কোচের।

গাস হিডিংস অবশ্য চেরচেভের প্রশংসা করেছেন স্পেনের বিপক্ষে জয়ের পর। জানান, ‘ম্যাচটি খুব আকর্ষণীয় ছিল না। রাশিয়াতো রক্ষণাত্মক খেলেই ১২০ মিনিট পার করেছে। এরপর টাইব্রেকারে স্বপ্নের জয়। ১২০ মিনিটে তারা রুখে দিয়েছে স্পেনকে। এর নেপথ্য তাদের পাঁচ ডিফেন্স এবং আস্থাশীল গোলরক্ষক। যা ভাঙতে পারেনি স্প্যানিশরা।’

কয়েকদিন আগে রাশিয়া দলের খেলোয়াড়দের সাথে দেখা করেছেন এই ডাচ কোচ। তার মতে, আমার কাছে অপ্রত্যাশিত মনে হচ্ছে রেজাল্ট। এরপর যোগ করেন, গ্রুপে তাদের জয় সৌদি আবর এবং মিসরের বিপক্ষে। নকআউট পর্ব নিশ্চিত হওয়ার পর তারা ০-৩ গোলে হেরেছে উরুগুয়ের কাছে।

স্পেন জয়ের পর রুশদের রাস্তায় রাস্তায় আনন্দ করাটা ঠিক দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে জার্মান নাৎসিদের বিপক্ষে জয়ের মতোই। হিডিংসের মতে, ফুটবলে ধারাবাহিক সাফল্য পেতে কাজ করতে হবে যুব ফুটবল উন্নয়নে। তাহলে এক সময় বিশ্বকাপেও হাত ছোঁয়ানো যাবে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল