আফসোস বাড়িয়ে বিদায় নিল তিউনিসিয়া
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৯ জুন ২০১৮, ০৫:৩৩
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দারুণ খেলেও শেষ মূহুর্তে গোল খাওয়া আর বেলজিয়ামের সাথে গতির যুদ্ধে পেরে না ওঠা আফ্রিকার দল তিউনিসিয়া শেষ ম্যাচে পানামাকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে। স্কোর বোর্ডে ব্যবধানটা ২-১ দেখে অনুমান করার সুযোগ নেই ম্যাচে কতটা দাপট ছিলো তিউনিসিয়ার।
তিউনিসিয়া-পানামার শেষ ম্যাচটি ছিল স্রেফ নিয়ম রক্ষার। শেষ ম্যাচে অন্তত একটা জয় নিয়ে বাড়ি ফেরার তাড়া ছিলো উভয়ের। কিন্তু পুরো ম্যাচে তিউনিসিয়ার খেলাই শুধু চোখে লাগল। দারুণ খেলে উত্তর আফ্রিকার দলটি তাই আফসোসই শুধু বাড়িয়ে দিলে দর্শক-সমর্থকদের।
খেলার প্রথমার্ধে পানামার খেলোয়াড়েরা বলতে গেলে বলই পেল না। তিউনিসিয়ার আক্রমণ সামলাতেই ব্যস্ত পানামা। প্রথমার্ধের ৭৩ শতাংশ সময় বল তিউনিসিয়ার খেলোয়াড়দের পায়ে ছিলো। মাঝমাঠে দখল নিয়ে ছোট ছোট পাসে খেলতে থাকা তিউনিসিয়ার খেলোয়াড়েরা একটু পরপরই পানামার রক্ষণ চিরে ডি বক্সে ঢুকে পড়ছিলেন।
তবে ম্যাচের প্রথম হাসি ফোটে পানামার মুখেই। ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে পানামা পানামার ১৯ বছর বয়সী তরুণ মিডফিল্ডার হোসে লুইস রদ্রিগেজের জোরালো শট তিউনিসিয়ার ডিফেন্ডার ইয়াসিন মেরিয়াহর গায়ে লেগে জালে জড়ায়। এতটা সময় পাত্তা না পেয়েও ১-০ গোলে এগিয়ে যায় পানামা।
৪১তম মিনিটে এসে গোল পরিশোধের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তিউনিসিয়ার খাজরি। এরপরের সময়টুকুতে তিউনিসিয়া আরও কিছু সুযোগ পায়। কিন্তু আক্রমণভাগের ব্যর্থতায় সেগুলো হাতছাড়া হয়। ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে তিউনিসিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই( ৫৩তম মিনিটে) ফরোয়ার্ড নাইম সিলতি বক্সের ভেতর থাকা সতীর্থ ওয়াহবি খাজরিকে পাস দেন। খাজরি বল বাড়িয়ে দেন বেন ইউসেফের দিকে। দলকে সমতায় ফেরাতে ভুল করেননি তিউনিসিয়ার ইউসেফ (১-১)।
৬৬তম মিনিটে তিউনিসিয়ার হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন খাজরি। উসামা হাদ্দাদির কাছ থেকে বল পেয়ে এই বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন খাজরি। তিউনিসিয়ার ফুটবল ইতিহাসে খাজরিই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি এক বিশ্বকাপে দুই গোল করেন।
গোল হজম করে আবার কিছুটা জেগে ওঠে পানামা। ৭৩তম মিনিটে এসে একটা গোলও পায় পানামা। তবে অফসাইডের ফাঁদে পড়ে সেটা বাতিল হয়।