রেকর্ড গোলের খেলায় বেলজিয়ামের জয়, তিউনিসিয়ার বিদায়
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ জুন ২০১৮, ২০:০৫, আপডেট: ২৩ জুন ২০১৮, ২০:৪৫
ফুটবল গোলের খেলা। এখানে গোলের সংখ্যার সাথে আনন্দের পাল্লা ভারী হয় সমান তালে। শনিবার বেলজিয়াম-তিউনিসিয়ার ম্যাচে এই গোলেরই রেকর্ড হয়েছে। দুই দল মিলে জালে বল পাঠিয়েছে সাতবার। এরমাধ্যমে বেলজিয়াম ৫-২ গোলের জয় অর্জন করে বাড়ির পথ দিখিয়েছে তিউনিসিয়াকে। পরপর দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় তিউনিসিয়ার বাড়ি ফিরে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।
বেলজিয়ামের পায়ে বল ছিল ৫৩ শতাংশ সময় আর তিউনিসিয়া বল নিয়ন্ত্রনে রেখেছিল ৪৭ শতাংশ সময়। প্রথম ম্যাচে পানামাকে ৩-০ গেলে বিধ্বস্ত করেছিল বেলজিয়াম। শুরুতে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দেওয়া দলটি দ্বিতীয় ম্যাচেও দারুণ উজ্জ্বল।
আজ শনিবার মস্কোতে অনুষ্ঠিত ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই বেলজিয়াম এগিয়ে যায়। পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদ করেন এডেন হ্যাজার্ড। বক্সের মধ্যে তাকে ফউল করেন তিউনিসিয়া ডিফেন্ডার স্যাম বেন ইউসেফ। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। আর পেনাল্টি থেকে গোল করতে মোটেও ভুল করেননি বেলজিয়ান অধিনায়ক।
১৬ মিনেটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে বেলজিয়াম। মাঝমাঠ থেকে পাওয়া একটি বল নিয়ে বক্সে ঢুকে রামেলু লুকাকু চমৎকার প্লেসিং শটে জালে জড়ান বল (২-০)।
তবে দুই মিনিটের ব্যবধানে তিউনিসিয়া একটি গোলে করে ব্যবধান কিছুটা কমায়। ১৮ মিনিটে ফরোয়ার্ড ওয়াহাবি খাজরির চমৎকার ফ্রি-কিক থেকে ডিফেন্ডার ডিলান ব্রন মাথা ছোঁয়ালেই বল ঠিকানা খুঁজে পায় জালে।
প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে লুকাকু দলের পক্ষে তৃতীয় এবং ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোল করেন। টমাস মুয়েনিয়ার বড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে দারুণভাবে জালে পাঠান বল।
আসরে এটি লুকাকুর চতুর্থ গোল। এর আগে প্রথম ম্যাচে পানামার বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন ইংলিশ লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা এই স্ট্রাইকার।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলার ধারার বিপরীতে আরেকটি গোল আদায় করে নেয় বেলজিয়াম। তিউনিসিয়া যখন খেলায় ফিরতে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেছে, ঠিক তখন ৫১ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে হ্যাজার্ড আরেকটি গোল করে দলের গোল ব্যবধান আরো বড় করেন (৪-১)। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষকে কাটিয়ে জালে বল জড়ান তিনি।
ম্যাচে হ্যাজর্ডেরও এটি দ্বিতীয় গোল। লুকাকুকে সঙ্গে এদিন তারা দুজনে এতটাই উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছেন, তা সত্যিই অসাধারণ।
তবে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে বেলজিয়াম নিশ্চত কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করে। যা থেকে গোল না পাওয়া একেবারেই অমার্জনীয়। বিশেষ করে বদলটি স্ট্রাইকার মিচি বাতসুয়াই একাই চারটি সুযোগ নষ্ট করেছেন। পোস্টের সামনে বল পেয়েও কখনো গোলরক্ষকের হাতে, আবার কখনো ক্রসবারের লেগে ফিরে আসে তার শট।
অবশ্য শেষ মিনিটে গিয়ে গোলের দেখা পান তরুণ বেলজিয়ান স্ট্রাইকার বাতসুয়াই। দলের পক্ষে পঞ্চম গোলটি করেন তিনি।
ম্যাচের ইনজুরি সময়ে তিউনিসিয়ার পক্ষে অধিনায়ক ওয়াহাবি খাজরি দ্বিতীয় গোল করলেও দলের বড় ব্যবধানে হার এড়াতে পারেনি।