১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ৯ রজব ১৪৪৬
`

কে হচ্ছেন আর্জেন্টিনার নতুন কোচ?

সাম্পাওলি, বিশ্বকাপ, আর্জেন্টিনা
সাম্পাওলি - সংগৃহীত

আইসল্যান্ডের সাথে ১-১ গোলে ড্র করার পর বৃহস্পতিবার রাতে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৩-০ গোলে হার মেনেছে আর্জেন্টিনা। এই হারের ফলে তারা চলে গেছে একেবারেই খাদের কিনারায়। শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে জয় পেলে এবং আইসল্যান্ড অন্য দুটি ম্যাচে হারলে সম্ভাবনা থাকবে পরের রাউন্ডে যাওয়ার। ২৬ জুন দিবাগত রাতে নাইজেরিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচে কোচ হিসেবে নাও দেখা যেতে পারে সাম্পাওলিকে। তার বদলে প্রধান কোচ হিসেবে আসতে পারেন বুরুচাগা।

গুঞ্জন উঠেছে দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের সাথে সাম্পাওলির নাকি দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। তার উদ্ভট কৌশলের সাথে খেলোয়াড়রা খাপ খাওয়াতে পারছেন না। সে কারণেই ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে খাপছাড়া পারফরম্যান্স করেছে আর্জেন্টিনা। তাই শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনার সিনিয়র খেলোয়াড়েরা চাচ্ছেন না সাম্পাওলিকে। যদি তাকে সরিয়ে দেয়া না হয় তাহলে অনেক সিনিয়র খেলোয়াড়ই অবসর ঘোষণা করতে পারেন।

আর্জেন্টিনার মুন্ডো আলবিসিলেস্তের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী নাইজেরিয়ার ম্যাচের আগেই সরিয়ে দেয়া হতে পারে সাম্পাওলিকে। তার পরিবর্তে আর্জেন্টিনা দলের দায়িত্ব নেয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন কোচ বুরুচাগা।

১৯৮৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে ৮১ মিনিটে ২-২ গোলে সমতা ফেরানোর পর আর্জেন্টিনার হয়ে ৮৪ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন বরুচাগা। বিশ্বকাপ জয়ী এই ফুটবলারের কাঁধেই উঠতে পারে মেসিদের দায়িত্বভার। তবে টেলিগ্রাফসহ বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম দাবি করছে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত হয়তো সাম্পাওলিই আর্জেন্টিনার কোচের দায়িত্ব পালন করবেন। কারণ, এই মুহূর্তে সাম্পাওলিকে বরখাস্ত করলে চুক্তি অনুযায়ী তাকে ২০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে বিদায় করতে হবে, যা এই মুহূর্তে আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থার জন্য কঠিন। - তথ্যসূত্র : মুন্ডো আলবিসিলেস্তে

 

আরো পড়ুন : গণমাধ্যমে ‘উপহাস’ মেসিদের

স্টেডিয়ামের স্ট্যান্ডে অশ্রুসিক্ত দিয়েগো ম্যারাডোনা। যন্ত্রণায় ফুঁসছে আর্জেন্টিনা। বিক্ষুব্ধ ভক্ত হৃদয়ের বাস্তব প্রতিচ্ছবি দেশটির গণমাধ্যম। উপহাসের পাত্র মেসি অ্যান্ড কোং। সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অধিনায়কের পারফরম্যান্স ও কোচ সামপাওলির ভূমিকা। বৃহস্পতিবার ফিফার ২১তম বিশ্বকাপের ডি গ্রুপে ক্রোয়েশিয়ার কাছে বিধ্বস্ত টিম আর্জেন্টিনার পারফরম্যান্সের সমালোচনা প্রধান শিরোনাম স্থানীয় গণমাধ্যমের।

লা ন্যাসিওনালের আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে কোচ জর্জ সামপাওলি। তাদের দাবি, বর্তমান কোচের আত্মবিশ্বাসবিহীন দলে পরিণত হয়েছে আর্জেন্টিনা। ফুটবলারদের মধ্যে জয়ের আকাক্সা একদমই অনুপস্থিতি। মাঠের নড়াচড়ায় মনে হয় রোগাক্রান্ত একটি দল। ক্রোনিকা টিভির একজন উপস্থাপক প্রশ্ন তুলেছেন, ‘ইস মেসি বেটার অন ভিডিও গেমস দ্যান ইন রিয়েল লাইফ’।

রাশান বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে আর্জেন্টিনার ছন্নছড়া নৈপুণ্যে চরম ক্ষুব্ধ দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন মিডফিল্ডার অসভালদো অরদিলেস। বর্তমান দলটিকে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম বলতেও দ্বিধা করেননি। কোচ সামপাওলিকে অহঙ্কারী ও অজ্ঞ হিসেবে খ্যাতি দেন আর্জেন্টাইন জার্সিতে দুই বিশ্বকাপ জেতা কিংবদন্তি। তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বের সেরা ফুটবলার হাতে পেরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো দল উপহার দিতে ব্যর্থ সামপাওলি। তার প্ল্যান ‘এ’ মেসিকে বল পাস দেয়া। এরপর অপেক্ষা ম্যাজিকের। তবে প্ল্যান এ ব্যর্থ হলে কিছুই ঘটবে না। টানা দুই ম্যাচে ওই বাস্তবতা দেখলাম।’’ বার্সেলোনা সেনসেশন মেসির সমালোচনাও এড়িয়ে গেছেন অরদিলিস। তার বিশ্বাস, মেসির জন্মভূমি হিসেবে গর্বিতবোধ করার প্রয়োজন রয়েছে আর্জেন্টিনার।

১৯৭৪ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে জয়শূন্য আর্জেন্টিনা। নেশনি স্টেডিয়ামে ক্রোয়েটদের কাছে ৩-০ গোলের হার নকআউটের আগেই বিদায়ের লজ্জা হজমের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে দিয়েগো ম্যারাডোনার উত্তরসূরিরা। তবে সব আশা শেষ হয়নি আর্জেন্টাইনদের দ্বিতীয় রাউন্ডে উন্নীতের। কিন্তু সমীকরণ বড়ই জটিল। শেষ ম্যাচে জিততেই হবে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে। এরপর প্রার্থনা ও অপেক্ষা গ্রুপের অন্য খেলার ফলাফল অনুকূলে থাকার। বিষয়টির যথার্থ উপলব্ধি থেকেই কারিন হেডলাইন করেছে, ‘এখন নাইজেরিয়া হারাও ও প্রার্থনা করো’। আর্জেন্টিনার অন্যান্য গণমাধ্যমগুলো বিন্দুমাত্র সান্ত্বনার ধার ধারেনি মেসিদের জন্য অবমাননাকর হেডলাইন বেছে নেয়ায়। স্পোর্টস দৈনিক ওলে ক্রোয়েটদের কাছে হারের প্রতিবেদনের শিরোনাম হিসেবে বেছে নিয়েছে ‘ক্রোধের রাত্রি’।

 

আরো পড়ুন : ম্যারাডোনাও কাঁদলেন

নবাগত দল আইসল্যান্ডের সাথে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৩-০ গোলে হারের লজ্জা পায় দু’বারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ফলে শেষ ষোলোতে আর্জেন্টিনার যাওয়ার পথ অনেকাংশেই কঠিন হয়ে গেল।

ক্রোয়েশিয়ার কাছে হার মেনে নিতে পারেননি আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা। ঠিকই তেমনি মেনে নিতে পারেননি আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয় ও সর্বশেষ বিশ্বকাপ এনে দেয়া অধিনায়ক দিয়াগো ম্যারাডোনা।

ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারের পর গ্যালারিতে কাঁদতে দেখা গেছে ম্যারাডোনাকে। উত্তরসূরিদের এমন বড় পরাজয় মেনে নিতে পারেননি ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। তাই গ্যালারিতে বসে মেসিদের খেলা দেখা শেষে কাঁদেন ম্যারাডোনা।

ম্যাচ শুরুর আগে বেশ হাসিখুশিই ছিলেন ম্যারাডোনা। এমনকি ৫৩ মিনিটে আর্জেন্টিনা পিছিয়ে যাওয়ার পরও চিন্তিত দেখা যায়নি ম্যারাডোনাকে। কিন্তু ৮০ মিনিটে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলের পরই রেগে যান। মাথায় হাত দিয়ে, চেয়ারে বাড়িয়ে দিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এরপর ম্যাচ শেষে কাঁদলেন ম্যারাডোনা। কারণ ততক্ষণে হারের লজ্জা বরণ করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচ শুরু থেকে ম্যারাডোনার প্রতি স্পট লাইট ছিল টিভি ক্যামেরার। ম্যাচ শেষে ম্যারাডোনার কান্না ও চোখের পানি মোছার চিত্র দেখিয়েছে টিভি ক্যামেরা।

১৯৯০ বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে যাওয়ার পর কেঁদেছিলেন ম্যারাডোনা। সেই দৃশ্য এখন বিশ্বকাপের আর্কাইভে জ্বল জ্বল করছে। গত বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার হারের পর এবং গত রাতে ক্রোয়েশিয়ার কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর আবারো কাঁদলেন ম্যারাডোনা।


আরো সংবাদ



premium cement
বিভেদের রাজনীতি বাদ দিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে : সেলিম উদ্দিন ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রশিবিরের সভাপতি সুফিয়ান, সেক্রেটারি রাকিব ২০ জানুয়ারির আগেই যুদ্ধ সমাপ্তির আশা হামাসের ক্রীড়াঙ্গনে অরাজনৈতিক ঐক্য দরকার : মির্জা ফখরুল গাজায় নিহত প্রকাশিত সংখ্যার চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি : ল্যানচেট টেকনাফ মহাসড়কে মিনিট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে ১ যুবক নিহত, আহত ৩ হানিফ সংকেতের ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানে ভাঙচুর-মারামারি সমাজে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করাই জামায়াতের উদ্দেশ্য : রফিকুল ইসলাম দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা প্রধানের পদত্যাগ এমন একটি ছবি শুধু ভাবায় না, কাঁদায়ও : মুশফিকুল ফজল আনসারী শ্রীলঙ্কাকে চতুর্থবার হোয়াইটওয়াশের মিশন নিউজিল্যান্ডের

সকল