২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মস্কো অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা

মস্কো অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা - ছবি : ডয়চে ভেলে

ইউক্রেন যুদ্ধের আঁচ রাশিয়ার ভুখণ্ডে আরো স্পষ্ট করে তোলার উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছে কিয়েভের নেতৃত্ব। সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের অংশবিশেষ দখল করে রয়েছে ইউক্রেন। বুধবার ভোররাতে রাজধানী মস্কোর উপর একাধিক ড্রোন হামলা ঘটেছে। শহরের মেয়র সের্গেই সোবইয়ানিন জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত অন্যতম বড় আকারের হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।

টেলিগ্রামে নিজের চ্যানেলে তিনি দাবি করেন, যে মস্কো ও সংলগ্ন এলাকার আকাশে কমপক্ষে দশটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁর মতে, এখনো পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মে মাসের পর ইউক্রেন মস্কোর উপর এত বড় আকারের ড্রোন হামলা চালায়নি। বুধবার রুশ কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন যে, সীমান্তের কাছে ব্রিয়ানস্ক ও অন্যান্য অঞ্চলের উপর ১৮টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।

গত কয়েক মাসে রাশিয়ার ভূখণ্ডে পালটা হামলা ও নাশকতার চেষ্টা জোরালো করেছে ইউক্রেন। বিশেষ করে অবকাঠামো ধ্বংস করে মস্কোর যুদ্ধের ক্ষমতা যতটা সম্ভব কমানোর চেষ্টা করছে সে দেশ। যেমন, তেল ও গ্যাস স্থাপনাগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। ইউক্রেনের ভূখণ্ডে লাগাতার হামলার জবাব হিসেবে কিয়েভের নেতৃত্ব এমন পালটা পদক্ষেপের পক্ষে সওয়াল করছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কি চলতি মাসের শুরুতে রাশিয়ার পেট্রোলিয়াম অবকাঠামোর উপর সফল হামলার জন্য সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, এমন হামলা বর্তমান সংকটের ‘ন্যায্য সমাপ্তি' আনতে সাহায্য করবে।

রাশিয়ার ভূখণ্ডে ইউক্রেনের বেড়ে চলা হামলা সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ইউক্রেনের মদতকারী দেশগুলি বিষয়টি নিয়ে কিছুটা দ্বন্দ্বে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়ার চোখরাঙানি সত্ত্বেও একের পর এক ‘সাহসি' পদক্ষেপের ঝুঁকি নিয়ে ইউক্রেন এখনো তেমন জোরালো প্রতিক্রিয়া দেখেনি। ফলে মস্কোর ‘লাল সীমা' আসলে ভাঁওতা কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার ক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলির সরবরাহ করা সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার নিয়েও কিছু দেশে অস্বস্তি রয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কিয়েভের উদ্যোগে রাশ টানার তেমন প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে না।

রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা সত্ত্বেও সে দেশের নেতৃত্ব এখনো জোরালো প্রতিরোধ দেখাতে না পারায় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের দুর্বলতা নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে। তবে মস্কোর ক্ষমতাকেন্দ্রে তা নিয়ে কতটা অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। পুটিন মঙ্গলবার চেচেন প্রজাতন্ত্রে গিয়ে সেখানকার অনুগত নেতা রামজান কাদিরভের সঙ্গে চেচেন যোদ্ধা ও স্বেচ্ছাসেবীদের পরিদর্শন করেন। প্রায় ১৩ বছর পর তিনি চেচনিয়া সফর করলেন। সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement