হামলাকারী ভালুককে হত্যা নিয়ে ইতালিতে তোলপাড়
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩১ জুলাই ২০২৪, ১২:২১
ইতালির উত্তরে আলপসের পাদদেশে ট্রেনটো অঞ্চল। পাহাড়ি জঙ্গলে ঘেরা ওই অঞ্চলেই বাস করছিল একটি খয়েরি ভালুক। মা ভালুকটি গত বেশ কিছু দিন ধরে সেখানে পর্যটকদের ওপর হামলা চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। কিছু দিন আগে এক ফরাসি পর্যটকের ওপর সে ভয়াবহ হামলা চালায়। এরপর থেকেই ওই ভালুকের সন্ধানে ঘুরছিল স্থানীয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার ভালুকটিকে চিহ্নিত করা হয় এবং গুলি করে হত্যা করা হয়।
ওই ভালুকটির নাম ছিল কেজেআই। তার সাথে তিনটি বাচ্চা ছিল বলে জানা গেছে।
পশুপ্রেমীদের দাবি, ওই শিশু ভালুকগুলোকে রক্ষা করার জন্যই বার বার আক্রমণ চালাচ্ছিল মা ভালুক।
তাদের অভিযোগ, সম্প্রতি ওই অঞ্চলে পর্যটকদের যাতায়াত বেড়ে যায়। ফলে নিজেকে এবং শিশুদের সুরক্ষিত বলে মনে করছিল না ওই মা ভালুকটি।
স্থানীয় প্রশাসনের মতে, গত কিছু দিনে অন্তত সাতবার পর্যটকদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে ওই ভালুকটি। তবে ৪৩ বছরের ফরাসি পর্যটকের ওপর আক্রমণ ছিল সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। হাতে ও পায়ে ক্ষত নিয়ে কোনোভাবে এলাকা ছেড়ে পালান ওই পর্যটক। ফোন করে সাহায্য চান।
ইতালির জাতীয় পরিবেশমন্ত্রীও এ ঘটনার বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন যা করেছে, তার সাথে তিনি সহমত নন। এভাবে একটি ভালুক মেরে সমস্যা সমাধান হবে না। প্রয়োজন ভালুকগুলোকে স্টেরিলাইজ করা। তাদের বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
পশুপ্রেমী দলগুলোর দাবি, এ ঘটনার পর কার্যত অনাথ হয়ে গেল তার সন্তানেরা। তাদের দেখভাল কী করে করা হবে, তা নিয়ে প্রশাসনের কোনো পরিকল্পনা নেই।
আন্দোলনকারীদের দাবি, রাতারাতি ভালুকটিকে মারার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ফলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগটুকুও তারা পায়নি। অতীতে এমন ঘটনা ঘটেছে। পশুপ্রেমী সংস্থার মামলার জেরে প্রশাসন জারি করা নির্দেশ বদলাতে বাধ্য হয়েছে।
২০২৩ সালে ওই একই এলাকায় আরেকটি ভালুককে মারার নির্দেশ দিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু পশুপ্রেমী সংস্থাগুলোর উদ্যোগে মামলা হয়। আদালত শেষপর্যন্ত ভালুক হত্যার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে। এবারও সময় ও সুযোগ থাকলে তা করা সম্ভব হতো বলে জানায় আন্দোলনকারীরা।
তাদের বক্তব্য, ওই এলাকাটি ভালুকের থাকার জায়গা। গত কয়েকবছরে সেখানে অবাধে পর্যটকেরা ঘুরছেন। প্রশাসনের উচিত, পর্যটনে রাশ টানা।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা