চলতি সপ্তাহের শেষেরই প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী ঘোষণা ফ্রান্সে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১০ জুলাই ২০২৪, ২৩:৪৩
ফ্রান্সের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে মঙ্গলবারই পার্লামেন্টে ‘ওরিয়েন্টেশন সেশন’-এর জন্য পৌঁছালেন বামপন্থী নিউ পপুলার ফ্রন্টের সদস্যেরা। পার্লামেন্টে ফিরলেন ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলান্দ। এ দিনের আলোচনায় বার বার উঠে এলো শরিকি বোঝাপড়া ও জোট গঠনের বিষয়টি।
ফরাসি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে আসন ৫৭৭টি। এর মধ্যে ১৮২টি আসনে জিতেছে নিউ পপুলার ফ্রন্ট। অন্য বামপন্থী দলগুলোর আসন সংখ্যা ১২, সব মিলিয়ে বামপন্থীদের হাতে রয়েছে ১৯৪টি আসন। ইমানুয়েল মাক্রোঁর দল জিতেছে ১৬৮টি। মারিন ল্য পেন-এর ন্যাশনাল র্যালি ১৪৩টি আসনে জিতেছে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে অন্তত ২৮৯টিতে জেতা দরকার, যা কোনো দলেরই নেই।
এখন ফ্রান্সে সব থেকে বেশি যেটা প্রয়োজন, সেটি হলো প্রধানমন্ত্রীর পদে কে নিযুক্ত হবেন তা ঠিক করা। তবে নিউ পপুলার ফ্রন্টের গ্রিন পার্টি, সোশ্যালিস্ট পার্টি, কমিউনিস্ট ও অতি-বাম ফ্রান্স আনবাওডের (এলএফআই) সদস্যদের এখনো এই নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এই সপ্তাহের শেষেই প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থী হিসেবে কারো নাম সামনে আসতে চলেছে সেটা নিশ্চিত।
সোশ্যালিস্ট পার্টির অলিভিয়ে ফোরের দাবি, তিনিই হতে চলেছেন সেই প্রার্থী।
তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল পদত্যাগপত্র জমা দিলেও মাক্রোঁ তা গ্রহণ করেননি।
ফ্রান্সের রিপাবলিকান পার্টির নেতা এরিক সিয়োতি আবার মঙ্গলবারই সংবাদমাধ্যমকে জানান, তার দলের উচিত মারিনের সাথে জোট তৈরি করা। যদিও তার দলের নেতারা এই মন্তব্য নাকচ করে জানান, তিনি শুধু নিজের কথা বলছেন, দল সহমত নয়।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, জরুরি ভিত্তিতে তাড়াহুড়ো করে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির এই নির্বাচনের ঘোষণা করে আদতে ‘কপাল পুড়েছে’ মাক্রোঁর। নুতন সরকার গড়তে এখন বামপন্থীদের সাথে হাত মেলানো ছাড়া উপায় নেই তার। যার প্রভাব পড়বে ২০২৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা